আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাখিস মা রসে-বশে

যদি নির্বাসন দাও.................................................................. আমি ওষ্ঠে অঙ্গুরী ছোঁয়াবো আমি বিষ পান করে মরে যাবো! বিষণ্ন আলোয় এই বাংলাদেশ নদীর শিয়রে ঝুঁকে পড়া মেঘ, প্রান্তরে দিগন্ত নির্নিমেষ- এ আমারই সাড়ে তিন হাত তুমি।

'রাখিস মা রসে বশে'- কথাটি কিন্তু আমার নয়। কথাটি রামকৃষ্ণের। যদিও তিনি রাম ও কৃষ্ণের মিলিত রূপ তথাপি আমার ধারণা ব্যাটার ক্রোমোজমে কৃষ্ণের প্রভাবই বেশি ছিলো, নইলে এমন রসের কথা বলবেন কি করে? সেইরকম একটা গল্প বলি। একদিন এক শিষ্য এসে তাঁকে বললেন- গুরুজি, দশ বছর সাধনা শেষে আমি সিদ্ধিলাভ করেছি।

আমি এখন সাগরের উপর হেঁটে পার হয়ে যেতে পারি। শুনে গুরুজি হা হা করে উঠলেন। হায় হায়, তোর দশ বছরের সাধনাই যে বৃথা গেল। সাগর পার হওয়ার জন্য সাধনা করতে হয় নাকি? তার চেয়ে তুই একটা নৌকা জোগাড় করলেই তো পারতি!! আরেক রসিক সাহিত্যিক সঞ্জীব বাবু যিনি বেশ রসিয়ে মশিয়ে আমাদের কাছে মাপা হাসি চাপা কান্না ছাড়েন, তিনিও একটা বই লিখেছেন 'রাখিস মা রসে বশে' নামে। ভদ্রলোকের রসিকতা কিন্তু বেশ উচুঁ দরের।

তার একটা উদাহরণ দেই। গল্পটার নাম মনে করতে পারছি না। বন্ধুর স্ত্রী ছাদে উঠেছেন, উনার সাথে কথা হচ্ছিলো। এমন সময় রাস্তায় একটা টায়ার ফাটলো। বন্ধুর স্ত্রীর আবার হার্ট দুর্বল।

তিনি বুকের দিকে দেখিয়ে বললেন- ধরে দেখুন না কেমন ধুকপুক করছে। রসিয়ে সঞ্জীব বাবু বললেন- ধরে দেখবো কি? ওখানে যে মেয়েদের হৃদপিন্ড ছাড়াও আরেকটা জিনিস থাকে। কথাটি অবশ্য তিনি পাঠককে বলেছেন, বন্ধুর স্ত্রীকে না। পাঠক এখানে যদি কোন অশ্লীলতার ইঙ্গিত পান তবে সে দায় কিন্তু সঞ্জীবের, আমার না। এবার আসি আমার এক চাপাবাজ রসিক বন্ধুর কথায়।

যদিও সে সাহিত্যের ধার ধারে না কিন্তু রসের ভান্ডার একবারে কানায় কানায় পূর্ন। তাকে একদিন বললাম- 'দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অনেক ভালো ভালো কাজ করছে। সব দুর্নিতীবাজ নেতাদের ধরে ধরে জেলে পুরছে। ' সে কিছুক্ষণ ভেবে বললো- 'হুম কু্নাইন জ্বর সারাবে কিন্তু কুইনাইন সারাবে কে?' কথাটার অর্থ পরিষ্কার হলো দুই সপ্তাহ পরে। আরেকদিন সবাই মিলে ব্রুনসপার্কে পিকনিকে গেলাম।

সেখানে সাইদুল গান ধরলো- আমার গায়ে যত দু:খ সয়। হঠাত গানের এক পর্যায়ে সোহাগ হট্টগোল বাধিয়ে দিলো। আমরা জানতে চাইলাম- ব্যাপার কি? সোহাগ বললো 'গান গাও ঠিক আছে, মাগার আমার পরিবার নিয়ে টানাটানি করো ক্যান?' 'মানে?'- সবাই জানতে চাইলাম। 'মানে হইলো, ও গাইতেছিলো- সাক্ষী ছিলো চন্দ্র সুরুজ, সাক্ষী লতা পাতা, আমার বউয়ের নাম লতা আর শালীর নাম পাতা। ' 'ও আচ্ছা' - এখন আমরা বুঝতে পারি।

পাশ থেকে শিমুল আফসোস করে বলে ওঠে- 'সোহাগ ভাই আপনার শালী আছে আগে বলবেন না?' অনেক সাহিত্য রসের কথা হলো। এবার আসি ব্লগারসের কথায়। ব্লগটা কিন্তু রসে পরিপূর্ণ শুধু মাত্র একটা ত্রিমাত্রিক ক্যারেক্টারের জন্য। এখন অনেকেই দাবী তুলেছেন- এক দফা, এক দাবী, ছাগু তুই কবে যাবি? আমি এতে ভীষণ মর্মাহত এবং ঘোর বিরোধিতা করছি। কারণ কি? কারণ হলো- এই ব্লগে ছাগু বিষয়ে যত সংখ্যক অপূর্ব সাহিত্য কর্ম, অসাধারণ রম্য রচনা হয়েছে, তা ছাগু না থাকলে কি সম্ভব হতো? মোটেই না।

এক্ষেত্রে মুখফোড়কে গুরু মানতেই হয়। তার ক্ষুরধার রচনাতে ছাগু একেবারে জীবন্ত হয়ে মনিটরের উপর ম্যা ম্যা করে লাফাতে শুরু করে। আমাদের এমনিতে বিনোদনের ক্ষেত্র খুবই কম। এটাও যদি বন্ধ হয়ে যায় তবে উপায় কি? ব্লগ একেবারে পানসে হয়ে যাবে। তাই আমি চাই ছাগু থাকুক যুগ যুগ ধরে, আর জোগাতে থাকুক ক্রমাগত হাস্য রসাত্মক উপাদান।

সুধীবৃন্দ প্রশ্ন করতে পারেন, কিন্তু তাহাকে ব্লগে কাঁঠাল পাতা যোগাবে কে? উত্তর- কেন? শুয়োপোকা, ক্লাউন, খেয়ালী এরা আছে না। তাই সবাই বলুন, জিও ছাগুরাম।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৩১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.