জীবনের শুরুটা মৃত্যুরই নামান্তর। জিজ্ঞেস করি!!
আজকাল আমাগো দেশের আনাচে কানাচে রইয়াছে অনেক কবি, তাগো মাঝে অনেকে আঁতেল, অনেকে রামছাগল, আর অনেকে মহা পন্ডিত!, এবং আরো কিছু বিশেষ গোষ্ঠী আছে, তারা কিসের মাঝে পড়ে আমার জানা নাই। অনেক আগ থেকে কবিতা লিখছি কিন্তু প্রকাশের সুযোগ কোথাও পাইনি! হয়ত আমার কবিতার মাঝে তেমন কোন প্রান বা কোন ছন্দের মিল বা এটা কবিতা না হয়ে গদ্য হয়ে যায়! হতে পারে এমন কারন কবির চেয়ে পাঠকরাই ভালো বোঝেন এটার সর্ম্পকে। একটি কবিতা শুনুন
'সেদিন গিয়েছিলাম বন্ধুর বাসায়
বন্ধুর দেখা পাইনি তাই----
বন্ধুর বউয়ের সাথেই কথা বল্লাম'
নিচে আরো কিছু লাইন ছিল কিন্তু এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না। যা বলছি এই কবিতাটি কোথাও ছাপাবার যোগ্যতা রাখে কিনা আমি সন্দীহান! জেনে অবাক হবেন কবিতাটি আমাদের দেশের স্বনামধন্য একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ পেয়েছে! কবিতাটি এই রকম একটি জনপ্রিয় দৈনিকে প্রকাশ পাওয়া দেখে মনে হয়েছিল এটি মনে হয় সম্পাদক সাহেবের নিজের কবিতা! আজিজ মার্কেটে অনেক কবি ঘুরে! তো শুনুন একজনের কবিতা
'কাকটা আমায় ডাকছে
তার ভীষন দু:খ।
আহহহহ
কুকুরটা ছিড়ে মাংশ খাচ্ছে
ডাস্টবিনে ভীষন দু:গর্ন্ধ'
তো এই কবির নাকি অনেক কবিতার বই ও রয়েছে! আমি মনে মনে ভাবি তাইলে প্রকাশক তোর দুলাভাই আছিল! এরকম আরো কবির সাথে নিশ্চয় আপনাদের পরিচয় আছে।
সুস্থধারার কবির চেয়ে অসুস্থধারার কবি এবং বেশি বিরক্তিকর কবিরাই দেখতাছি সুযোগ পায় বেশি। তাই ভাবি এটাই কি কবিতার মুল ছন্দ! ছোট্ট একটা গল্প শুনুন:
এক তরুন কবি গেছে চা খাইতে কুদ্দুসের দোকানে। অনেকেই ছিল দোকানে। কুদ্দুস চা বানাইতেছে।
তার ছেলে সবাইরে চা পানি আগাই দিতাছে, তার পোলা আবার এই কবির সাথে পরিচিত নয়, কারন তার বাপের দোকানে সে নতুন। কবি বোধ করি সকালের নাস্তাটাও সারতে চেয়েছিল! তাই কুদ্দুসের পোলারে সে ডাক দিয়া কইল:
> এই সোনা খোকা তোমার নাম কি?
> জে আমার নাম করিম।
> বাহ বেশ তো! বাপ কুদ্দুস! আর ছেলে রহিম!
> কি খাইবনে কন?
> এক কাপ চা! দুধ বেশি, লিকারটা কম, চিনি চার চামচ, নাড়বে শক্ত হাতে, যেন যায় পুষিয়ে!
একটা পরোটা তাতে দুটো ডিম জড়িয়ে।
কুদ্দুসরে পোলার মাথা খারাপ হইয়া গেল, ও ওর বাপেরে গিয়া কইল আব্বা এইগ্গা হাগল ব্যাডা কিয়া কতাগিন কইছে আমনেরে আঁই কিচ্ছু বুঝি না, কুদ্দুস কাহিনী বুঝতে পাইরা কইল, ওই কবিডা আইছে না, হালেরে ধর, চা ওর নাকে দি ভর, আর ফরোডা ডিম কবির হোন্দেদি ভর। কবি মহাশয় টের পেয়ে স্থান ত্যাগ করলেন।
এই কবি আবার শাহবাগ এলাকার নাকি প্রিয় কবি!
এইরকম ই হয়ে আসছে। কেউ আঁতলামি করে, কেউ আতেঁল বনতে চায়। কিছু কিছু কবি আছে খালি ক্ষনে ক্ষনে কবিতা বানায়, যেমন আপনে একটা 'পাদ' মারলেন, দেখবেন ও একটা কবিতা বানাই ফেলবে। যেমন:
আলুটা সিদ্ধ হয়নি
পেঁয়াজের ঝাঁজ যায়নি
মিষ্টিমিষ্টি গন্ধে দুরবা বনে কিসের আভাস?
আজ বিকেল টাই মাটি!
কিছু কিছু লোক আছে নিজের কবিতাটা বারবারি আপনাকে শুনাইয়া বিরক্ত কইরা ছাড়বো। যেমন আচ্ছা আপনে কি আমার ওই কবিতাটা শুনছেন? ওই যে 'কে যায়? গন্ধ কেন আসে.................... শুনেছেন না? যদি আপনে বলেন না, তাইলে এইটা আবার আপনেরে শুনতে হবে।
অনেকে কবি আছেন নিজের কবিতার বই বাহির কইরা মানুষরে ফ্রি পড়তে দেয় এবং একটা সময় পরে আপনার কাছ থেকে কিছু ডোনেশান চায়। বলার ভঙ্গিটা এমন হতে পারে: আমার কবিতার বইয়ে যদি একটা লাইনও ভালো লাগে তাহলে বইয়ের মূল্য হিসেবে কিছু আমাদের 'কবি ঘরে' ডোনেট করুন। যদি আপনে আমতা আমতা করেন, তবে আপনার একটা কবিতা ছাপাইয়া দিব বইলাও আপনেরে লোভ দেখাইতে পারে।
তো একন সফল! কবি হইতে হইলে আপনাকে কবিতা বাজারে ছেড়ে রাখলে হবে না, তা পাবলিক কে ভরা পেট হওয়ার পরও খাওয়াতে হবে, যতক্ষন না বেচারা বমি করে সকলের মাঝে চিত হয়ে পড়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।