আপাততঃ খই ভাজি...
কমলাপুর গিয়েছিলাম আজ দুপুরে। পৌঁছুলাম যখন ট্রেন আসার তখনও অনেক বাকি। প্ল্যাটফর্ম ভর্তি মানুষে। কেউ ঘুমাচ্ছে, কেউ বসে আছে পরবর্তী ট্রেনের অপেক্ষায়। অলস সময় কাটছে খুব ধীরে।
স্টেশনের কুলি ছেলেরা জটলা পাকিয়ে আড্ডা দিচ্ছে কোথাও, কোথাও বা মেঝেতে বসে খেলছে। আমার সময়ের অভাব নাই। বসে বসে দেখি, জিজ্ঞেস করি কি খেলছে। এরকম সময়ে ফোন বেজে উঠল। কথা শেষ করে লাইন কেটে দিতেই প্রশ্ন-
আপনার এইটা দিয়া ফটু তুলা যায় না?
-হ্যাঁ যায়।
ছবি তুলে দিব?
বলতে না বলতেই তুলকালাম। কে কার আগে ছবি তুলবে, ধাক্কাধাক্কি, হল্লা। কোনমতে শান্ত করে ছবি তুলছি এমন সময় ট্রেন এসে পড়ল। ছবির কথা বেমালুম ভুলে হৈ হৈ করে দে ছুট! একেকজন লাফ দিয়ে উঠে পড়ল একেক বগিতে। তারপর দেখি আমার দিকে তাকিয়ে হাত নাড়তে শুরু করেছে আর কি যে হাসি তাদের চোখেমুখে...
এত কষ্টের জীবন ওদের তবু এরকম শুভ্র নিষ্পাপ হাসি কয়জন হাসতে পারে? আমার ঈর্ষা হয় খুব।
খুব ইচ্ছে হয় স্বার্থপরের মত ওদের আনন্দটুকু চুরি করে নিতে...
সুতোয় গাঁথা ফুলের মতন শুকনো গন্ধহীন ভালবাসা
বাদামী ঘাসের পথ বেয়ে নেমে আসে অলক্ষ্যে
হেমন্তের মায়ায়, অলৌকিক দুপুরছায়ায়।
জয় হোক আগামীর কিশোর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।