ভস্ম হই। মৃত্যুর চুমু আমার কপোল ছুঁয়ে যায়। বেঁচে উঠি আবার। নতুন দিনের আশায়। বেঁচে উঠি বারবার।
(সহজ-সরল ইন্টেলেকচুয়াল ফান। সহজভাবে নিলে খুশী হই। )
ছবিতে আমি কতগুলো স্কেচ করেছি। আমাদের ব্লগের বিভিন্ন লেখার চিত্রিত উপস্থাপনা। পুরোটাই আমার অবজারভেশন।
মানুষ লেখে কেন? কিভাবে লেখে? একজন লেখক মূলত কিছু ব্যপার উপস্থাপন বা প্রমান করতে চায় লেখায়। কিভাবে এই ব্যাপারগুলো উপস্থাপন করতে চায় সেটারই একটা দূর্বল প্রয়াশ ছবিটিতে আছে। মানুষ যা প্রমান করতে চায় ছবিতে সেটাকে "আসল ব্যাপার" হিসেবে দেখিয়েছি। আর যে সিদ্ধান্তে উপনীত হয় সেটাকে "সিদ্ধান্ত" হিসেবে দেখিয়েছি। বলাই বাহুল্য "সিদ্ধান্ত" আর "আসল ব্যাপার" এর মধ্যে ফারাক থাকেই।
আর সেটাই দেখানো হয়েছে সবুজ তীর চিহ্ন দিয়ে।
প্রথমে দেখা যাচ্ছে সরলরৈখিক লেখা। এখানে লেখক এক বা একাধিক যুক্তি দিয়ে বা ঘটনা ব্যাখ্যা করে তার থেকে সরলরেখা টেনে "আসল ব্যাপার" ব্যাখ্যা করতে চান। সাংবাদিকরা এরকম ঘটনা থেকে প্রমানের ব্যাপার বেশী করেন বলে তাদের মাঝে এধরনের স্টাইল দেখা যায়। আরিফ জেবতিক, হাসান মোরশেদ, মাঝে মাঝে আমি এই ধরনের লেখা লেখি।
তারপর দেখা যাচ্ছে সিঁড়ির মত লেখা। যুক্তির সোপান বেয়ে এধরনের লেখা "আসল ব্যাপার" ব্যাখ্যা করতে চায়। কিন্তু কখনো পারে কখনও পারে না। এধরনের লেখা লিখেন সাদিক মোহাম্মদ আলম, আস্তমেয়ে (সন্ধ্যাবাতি), আনোয়ার সাদাত শিমুল, জামল ভাস্কর, মাঝে মাঝে কৌশিক, আমি এবং আরো অনেকে।
তৃতীয় ধরন হচ্ছে প্যাঁচানো লেখা।
প্যাঁচের ঠেলায় যুক্তি, সিদ্ধান্ত আসল ব্যাপার সব ভজঘট পাকিয়ে চায়। পাঠক কনফিজউড হয়ে পাছা চুলকাতে চুলকাতে চলে যায়। এধরনের লেখা লেখেন সুমন চৌধুরী, জামাল ভাস্কর, মাঝে মাঝে শমিত এবং আরো কেউ কেউ।
চর্তুথ ধরনের লেখা হচ্ছে ছড়ানো ছিটানো। কখনো কখনো সেক্সের মিশেল বা গালাগালি ভরে দেয়া থাকে দৃষ্টিআর্কষনের জন্য।
নতুন নতুন ব্লগাররা এধরনের লেখা লেখে লিখতে জানেনা বলে। আর যারা ইচ্ছে করে এধরনের লেখা লেখেন, জাস্ট ফর ফান হয়ত তারা হলেন, কৌশিক, রাগ ইমন ইত্যাদি। (দিদি বিড়ালের লেজে পাড়া পড়ার পর যেমন করে তেমন ফ্যাঁচ করে উঠবেন না প্লীজ)
পঞ্চম ধরনের লেখা লেখা হচ্ছে পাহাড় বেয়ে উঠা লেখা। এধরনের লেখা সাধারন লম্বা হয়, পড়তে গেলে স্মুথলী আগানো যায়। মুহম্মদ জুবায়ের, আনোয়ার সাদাত শিমুল, অমিত আহমেদ এধরনের লেখা লেখেন।
আর কতগুলো লেখা হয় নদীর মতো কলকল ছলছল, ভাসিয়ে নিয়ে যায়। মূল কোন ব্যাপার প্রমানের তাগিদ নেই। জাস্ট এনজয়। বিভিন্ন কবিরা, ভালোবাসার গল্প এভাবে লেখা। কনফুসিয়াস, শমিত এরা এরকম।
কিন্তু হিমু মুখফোড়কেও এদলে ফেলে দেয়া যায় রম্যনদীতে ভাসানোর জন্য।
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।