নিজেকে নিয়ে কিছু একটা লেখার চেষ্টা, এখোনো করে যাচ্ছি . . .
“দূর্ণীতি” আমাদের পরিচিত একটি শব্দ। দূর্ণীতির কথা আমরা হরহামেশাই বলে থাকি, এখানে দূর্ণীতি, ওখানে দূর্ণীতি আমাদের সমাজের সর্বক্ষেত্রেই দূর্ণীতি।
কিন্তু একটি কথা ভেবে দেখেছেন, একজন শিক্ষার্থী যখন দূর্ণীতি করে সে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হচ্ছে তখন কি সে নিজেকে আত্মপ্ররোচিত করছেনা ? আপনি আমি জেনেও জানতে পারি আবার না জেনেও জানতে পারি যেভাবেই হোক আপনি খেয়াল করুন সরকারী মেডিকেল, ইজ্ঞিনিয়ারিং এর মত বড় বড় দেশের বিদ্যাপীঠগুলোতে ভর্তির সময় যেরকম সুক্ষ কারচুপির মাধ্যমে অনেক সময় একজন অযোগ্য ছাত্র-ও চান্স পেয়ে যায়, অথচ যে প্রকৃত শিক্ষার্থী সে সেখানে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়।
আমার প্রশ্ন একজন শিক্ষার্থী কিংবা একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক তার সন্তানের উজ্বল ভবিষ্যতের চিন্তুায় দুর্ণীতির আশ্রয় নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে ভর্তি করান তিনি কি চিন্তা করেন না, একজন শিক্ষাথী তার ভবিষ্যতের শুরুতেই দূর্ণীতির আশ্রয়ে লালিত হল। সে বড় হয়ে একজন ডাক্তার হবেন কিংবা ইঞ্জিনিয়ার কিংবা উচ্চ পদস্থ কোন আমলা তিনি যে তার শিক্ষার শুরুতেই দূর্ণীতির আশ্রয়ে বড় হলেন তার কাছ থেকে আমরা কি প্রত্যাশা করতে পারি?
বর্তমান সরকারের আমলে দূর্ণীতির বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে সরকারের উচিত এ বিষয়টি গোচরে এনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ভূয়া শিক্ষার্থী সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল, বুয়েট নয় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এ ভর্তি দূর্ণীতি অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। আমাদের লক্ষ্য ভবিষ্যতের জন্য সুনিশ্চিত এবং দূর্ণীতিমুক্ত সমাজ গড়ার তার পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে, অন্তত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দূর্ণীতি থেকে দূরে রাখতে হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।