খুব গোলমেলে, নিজেও ভাল জানি না। তবে আছে,এই ঢের।
ভাতঘুম দিতে গিয়া বিরক্ত হয়ে উঠে েসেছি। এত গরমে ঘুমের চেষ্টা করাও ভুল। ব্লগে চোখ বুলািতে আসিয়া চোখে পড়ল সাদিকের পোষ্ট, রেসিপি বিষয়ক।
কথা সত্য।
সে বহুবার কইসে রেসিপি লিখে দিতে দিতে আর আমি অলস এবং ভুলো দুটোই হওয়ার কারণে এযাবত লিখে উঠতে পারি নাই।
সাদিক,
আজকে পাবদা মাছের ঝোল খাও!
এক্ষুণি বাজারে যাও আর পাবদা মাছ কিন্যা আনো ( যদি ফ্রিজে না থাকে তবেই বাজের যাইও) । মাছে কোন আঁশ নাই কাজেই ঝামেলা নাই।
মাছটা জাষ্ট পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে নুন হলুদ মাখিয়ে তেলে ভাজো।
কড়া ভাজা না, হালকা করে ভাজো। মাছ নামিয়ে রাখো। তেলের মধ্যে কালোজিরা ফেলে দাও এক চিমটে। কাঁচা লংকা চিরে দাও। এক চা চামচ আদাবাটা দাও।
( মাছ বেশি হলে আদাবাটাও বেশি হবে আর কালোজিরাও ) এবারে পানি দাও। দু'কাপ পানি ঢেলে দাও একটুও ভয় না পাইয়া। ঢাকনা দিয়া ঢাকা দাও। পানি ভাল করে ফুটলে ভাজা মাছগুলারে ছাইড়া দাও পানিতে। আবার ঢাকা দাও।
মাছগুলানেরে নিশ্চিন্তমনে সাঁতার কাটতে দাও পানিতে। ঘাবরাইও না!
সারিষার তেল আছে তো ঘরে? মিনিট পনেরো পরে ২ টেবল স্পুন সর্ষের তেল দিয়ে দাও ঝোলে। আবার ঢাকা দাও। মিনিট দুই ঘুরে আসো, চাইলে এক নজর ব্লগেও দিয়া যাইতে পারো। বাড়ির টবে ধইন্যা পাতা আছে না? টিন চারিটা গাছ তুইলা নিয়া আসো জড় থেইকা।
ভাল করে ধুয়ে নিয়ে আস্ত গাছ জাষ্ট বিছাইয়া দ্যাও ঝোলে। নুন দেখো কি? তাইলে একটু নুন দেইখাই নাও। আর ঝালও। লাগলে আরও কয়টা কাঁচা লংকা আধ-ভাঙা করে দিয়া দ্যাও। ঘেরান আইব সোঁদর!
তোমার পাবদা মাছের ঝোল রেডি।
গরম ভাতে কাঁচা সরিষার তেলের ঝাঁঝ সমেত পাবদার ঝোল: অমৃত সম!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।