আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হুদাই গালাগালি-

অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা

বাংলাদেশের পোশাক সংস্কৃতির বিবর্তন আমার কাছে চমৎকার লাগে দেখতে- ছেলে মেয়ে দুজনেরই পোশাক সংক্ষিপ্ত হচ্ছে দিন দিন- আমাদের চাইনিজ কাট আর বুশ শার্টের ঝুল কমতে কমতে কোমরে উঠেছে- মেয়েদের হাঁটু অবধি কামিজ- শর্ট কামিজ হয়েছে-এখন আরও ছোটো হয়ে ফতুয়া- এবং সেটার দুপাশের কাটা জায়গাটাও সজীব- উর্ধগামী- গতকাল মেলায় দেখলাম এক মেয়ে শর্ট কামিজ পড়ে এসেছে- সে পাশ ফিরলো- দেখলাম তলপেট অনাবৃত- অনেকটা উপরে উঠিয়ে পেটের চর্বি দেখানো এই পোশাকের মাজেজা বুঝলাম না- বোধ হয় উর্ধে তুলে ধরবার এই প্রচেষ্টা চলতেই থাকবে- স্কার্টের ঝুলও কমেছে- মিডি থেকে মিনি থেকে সুপার মিনি- সংক্ষিপ্ত হতে হতে আর কতো ছোটো হতে পারে- আমি উৎসাহী হয়ে উঠেছি- আশা করি এ জীবনেই নতুন জাতের সংক্ষিপ্ত পোশাকের দর্শন পাবো বাংলাদেশে- সে পোশাকের একটা নমুনাও মনে মনে কল্পনা করেছি- ছেলে মেয়ে উভয়ের পোশাক সংক্ষিপ্ত এবং উর্ধগামী হওয়ার প্রবনতার শেষ হবে যে পর্যায়ে গিয়ে তখন গলায় একটা গোল পট্টি থাকবে -সেখানে পোশাক কারিগরের নাম- ব্রান্ড এবং বিভিন্ন তথ্য থাকবে-অবশ্য এমন পোশাক আমি আগেও দেখেছি- ছোটো বেলা বেওয়ারিশ কুকুর ধরবার সময় কুকুরের গলায় বেল্ট বাঁধার রীতি ছিলো- সেখানে কুকুরের মালিকের নাম লেখা থাকতো- বাংলাদেশ সভ্য এবং অগ্রসর দেশ- এখন ঠিক বলা যাচ্ছে না যে মেয়েদের পোশাকের কলার কিংবা সংক্ষিপ্ত পোশাকের সম্পূর্ন অংশ জুড়ে বিবাহপূর্ব সময়ে তাদের পিতৃ পরিচয় এবং বিবাহের পরে স্বামীর নাম লেখা থাকবে কি না- ছেলেদের কি হবে? চাকরীর আগে বাবার নাম লেখা থাকবে আর চাকুরীরত অবস্থায় কোম্পানির নাম আর পদবি? তবে এ দিক থেকে অগ্রসর হয়ে আছে আমাদের সুশীল সমাজ- তাদের সবারই কলারে নাম এবং পরিচয় লিপিবদ্ধ- এই সুশীল আওয়ামী- এই সুশীল দলীয়- এই সুশীল জামাতি- এই সুশীল সামরিক- এই সুশীল তত্ত্বাবধায়ক- খারাপ না প্রবনতা- একটা বিষয় খতিয়ে দেখলাম পূর্বে কুলীন বলতে ছিলো বুদ্ধিজীবি সমাজ= তারা কোনো ভাবেই অর্থনীতির ভাষায় উৎপাদক শ্রেনীভুক্ত ছিলো না- তাদের কথা বলানোর জন্য পয়সা দিতে হতো- তাই নতুন সুশীল সমাজের ধারণা প্রবর্তন করার পর- এখানে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে শিক্ষিত মানুষের ভেতরে ডিগ্রীধারী কিছু প্রভুখোঁজা খোজা কুকুর আর কিছু ব্যবসায়ী- স্থানীয় সুশীল- রাজধানী সুশীলের ভেতরের কৌলিনত্ব বাদ দিলে আমাদের ক্ষাত্রসেনারা যখন বিভিন্ন জেলায় আলোচনা করতে যান এদের সাথেই পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন- কোনো না কোনো ভাবে মুল্যবোধজনিত ম্যানিয়া আর অর্থনীতির নিয়ন্ত্রন তুলে নিতে পারলে হাতে ক্ষত্রিয়দের সুবিধা হয় শোষণের সুবিধা ভোগ করে তারা- তাই নম পরিবর্তন করে এখন সুশীল সমাজের আড়ালে একটা ব্রাহ্মন এবং কায়স্ত মিত্রদল গঠন করা হয়েছে- এবং এদের গলায় বেল্ট পরিয়েছে শাসকেরা- শিক্ষিত মানুষের লজ্জাবোধ লজ্জাস্থানের গুপ্ত কেশের মতোই, বার বার কেটে মর্ষকামী হয়ে ওঠার প্রবল প্রচেষ্টা শেষেও কয়েকদিন পর বেড়ে উঠে খোঁচা দেয়। আজ এক হোটেলে খেলাম দুপুরে, মোটামুটি জঘন্য রান্না, তবে সেটার দেয়ালে একটা বানী ছিলো- ভালো ভালো সব কথা বলা হয়ে গেছে ভালো ভালো বহু কাজ বাকি রয়ে গেছে আমাদের সবার না হলেও বর্তমানের উদ্ভট সময়ে অনেকের মনের কথাই এটা। পুলিশের আই জি পুলিশের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন- ভাবমুর্তি নষ্ট করার জন্য পুলিশরা নিজেরাই দায়ি- চমৎকার বক্তব্য তবে সর্বাংশে সত্য নয়, প্রশাসনের ভুমিকাও আছে- তাদের ভাবমুর্তি নষ্টের জন্য অধিকাংশ সময়েই প্রশাসনিক হস্তপে আর উর্ধতনের মন আর মাণ রাখার চেষ্টা দায়ি । পুলিশে যারা যোগদান করে প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা হিসেবে তারা যায় ঘুষের লোভে আর সাধারণ পুলিশ কিংবা ঠোলারা অবমাননা মেনে নেয় অগ্যতা না পেয়ে- এদের দিয়ে মানবহিতৈষি বন্ধু পুলিশ প্রক্রিয়া আশা না করা গেলেও চক্ষু লজ্জায় অনেক সময়ই এরা মানবিক আচরণ করে- এই ন্যুনতম মানবিকতাও রাখতে পারে না প্রশসিনিক চাপে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবার পরে সাধারণ মানুষের ীণ আশা ছিলো তারা পুলিশের মানবিক রুপটা দেখবার সুযোগ পাবে তবে তেমনটা ঘটছে না- কোনো রকম রাজনৈতিক চাপ না থাকবার পরও পুলিশ সভ্য আচরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে এর কারণ এই প্রশাসন। শেখ হাসিনা ফিরে আসবার পর বিমান বন্দরে উপস্থিত জনতাকে কেউ ভাড়া করে আনে নি- এটা স্বতঃস্ফুর্ত জমায়েত- এর পর লোকজন মিছিল করেছে- নেতার আগমনে শ্লোগান দিয়েছে- জরুরি অবস্থা লঙ্ঘিত হয়েছে- বর্তমান প্রশাসন এমনই বক্তব্য দিয়েছে- জলপাই উল্লুকের দল যেভাবে বলে সব ঘটনা আসলেই তেমন- এমন ভাববার মতো লজ্জাশীল সুশীলের সংখ্যাও কম না। অবশ্য এখন মনে হয় দুনিয়া গোল্লায় যাক- আপনি বাঁচলে বাপের নাম- তবে বাপের নাম রক্ষার জন্যই এত যন্ত্রনা হজম করা- সভ্য শোভন থাকা- পোশাকে বাচনে পারিবারিক সংস্কৃতির মাণ অক্ষুন্ন রাখার প্রানান্ত প্রয়াস- সামাজিকতা রক্ষা করতে চাওয়া- সবার মাপের খাঁচায় ঢুকে যাওয়ার পায়তারা কষেও অবশেষে অনেক সময়ই ব্যর্থ হই- কারণ তখন আমার গুপ্ত কেশ সামান্য বেড়ে শোভন অন্তর্বাসের ভেতরে চুলকায়- এটাকে বিবেকের তাড়না বলা যাবে না আসলে- শেখ হাসিনার ফিরে আসা আর হুমকি আর এর পক্ষের জনসমর্থন বিষয়টাতে তত্ত্বাবধায়কের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হলো এটা পরাজিত মানুষের ক্ষোভের প্রকাশ- তারা ক্ষুব্ধ- আমাদের অশোভন মানবপূজারী মানুষের ভূমিকা দেখে- মিলিটারি শিশ্ন চোষা সুশীলেরা যখন আহ্লাদে শিশ্ন চাটছে- তখন এরা কেনো- কি বুঝে বিমান বন্দরে যায়- কেনো মিছিল করে- তাই গন মামলা হলো- আসামী অসংখ্য- তাদের ভেতরে পরিচিতদের হয়তো ধরা সম্ভব হবে- তবে অধিকাংশই ধরা পড়বে না- এর ঝাল মেটাতে সরকার একজনকে বরখাস্ত করেছে- কয়েক জনকে কর্ম অব্যাহতি দিয়েছে- দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা- চুতমারানীর দল- ওদের কাজ ফেলে ওরা যখন অরাজনৈতিক চরিত্র হারিয়ে রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে- যখন তাদের বিবেচনা আর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষের উপরে সেটা যে তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা কিংবা অবহেলা- সেই সব চোদানীর পুতেরে বরখাস্ত করার এখতিয়ার কারো নাই- দুঃখ এইটাই- আমরা অবশ্য তেমন পরিবর্তন আশা করি না- আমাদের গুপ্ত কেশের যন্ত্রনা এড়াতেই হবে এমনও না- ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা মানিক মিয়ার ভূমিকা অনস্বীকার্য- স্বাধীনতা আন্দোলনে এবং সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে তার দৈনিক ইত্তেফাকের ভুমিকার কথা এখনও লোকজন ভক্তিতে স্মরণ করে- প্রেসনোট আসবে এর আগেই পত্রিকা ছাপিয়ে দেওয়া কিংবা মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে প্রথম পাতার একটা কলামের কিয়দংশ কালো দিয়ে ঢেকে রাখা- এমন করেই যতটা সম্ভব ততটা প্রতিবাদ জানিয়ে গেছেন তিনি- তবে তার বেজন্মা ২টা পূত্র আছে- একটা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু- আরেক জন আমাদের আইন উপদেষ্টা মইনুল হোসেন- বাবার সুনাম ক্ষুন্ন করে এরা মিলিটারি শিশ্ন চুষে কি আমোদিত আহ্লাদিত তা দেখে প্রয়াত মানিক মিয়া নিশ্চিত ভাবেই মরনের পরেও আক্ষেপ করছেন- তিনি করবেনও- বীর্য কলুষিত হলো কিভাবে আমি জানি না তবে কোনো না কোনো ভাবে কলুষিত হয়েছিলো বলেই মানিক মিয়া বীর্যে মিলিটারী ধনচোষা খানকির পোলারা জন্মায়-

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।