.......অতঃপর মৃত্যুর প্রতীক্ষা
(আমার ক্ষুদ্র পরিচিত গন্ডির মাঝে কোন নৈরাশ্যবাদী পাইনি। এমনকি অগণিত ব্যর্থতার পরও সবাই আশাবাদী। ধৈর্য মানুষকে আশাবাদের প্রেরণা দেয়। এ লেখাটি এক নৈরাশ্যবাদীর কষ্টগাথা)
পাপাচারকে আমি ভয় করেছি সেই বুদ্ধি হবার পর থেকে। সেই সাথে আজও ভয় করি সেই পাপের পরিণতিতে দানবীয় আকৃতিতে উঠে আসা অভিশাপ , দুর্ভাগ্য, আর দুঃস্বপ্নের সংস্কার গুলো, যেগুলো আমাকে সুস্থ থাকতে দেয়নি, ধ্বংস করে দিয়েছে আমার অনেক কষ্ট ও সাধনা আদর্শ আর অর্জনের বাগান।
মুহূর্তেই কালিমা লিপ্ত করেছে আমার অনেক দিনের সহজাত নৈতিকতা, শিষ্টাচার, আর রুচিবোধের ব্যাপার গুলো। নারী বা মেয়ে এসব কোন দিনই আমার ধারের কাছে ঘেষতে সাহস পায়নি। প্রবল নারী বিদ্বেষী আদর্শ নিয়ে বেচে থেকেছি।
হস্তমৈথুনের মত মহাপাপ করার সাহস এই ২৪ বছর বয়সেও কোন দিন হয়নি। গালে কোন দিন ক্ষুর ঠেকাইনি।
যাইনি সিনেমা হলে, বা কোন পার্টিতে যেখানে মেয়েদের অসংযত পোশাকের উপস্থিতি বহু পুরুষকে নীতি ও পথভ্রষ্ট করেছে শুনেছি। দাড়ি জিনিসটা আমাকে ঠেকিয়েছে নারী ঘটিত সকল পাপাচার হতে, সেই দৃষ্টিপাত (কারণে /অকারণে) হতে শুরু করে, কথা বলা, স্পর্শ ছাড়িয়ে অজাচারে।
মন থেকে শুরু করে চোখ, কান, কন্ঠের ব্যাভিচার মানুষকে জীবন ও বেচে থাকার বিশুদ্ধ তম অনুভূতি গুলো থেকে বঞ্চিত রাখে, ধ্বংস করে রুচিবোধ । পাপাচারের দুর্দমনীয় সিড়ি ভেঙ্গে পড়ে যায় ব্যাভিচারের অভিশপ্ত নরকে।
সবার কাছে এই অতি সাধারণ, নিষ্পাপ বিষয়গুলো আমাকে দংশন করতে থাকে, পাপের আত্মগ্লানি আমাকে মানসিক ভাবে অসুস্থ করে ফেলে, অতঙ্কিত হয়ে পড়ি কোন অজ্ঞাত, অনাহূত বিপদ, অভিশাপের আশংকায়।
আমার অনেক সাধনায় অর্জিত সন্ন্যাসবাদ, বিশুদ্ধতম অনুভূতিগুলো নষ্ট অরি পোকার দখলে চলে যায়, আমার বস্তুজগতে প্রচন্ড পরিশ্রমের ফসল গুলো আকসাত নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, আমার বহু তপস্যা মগ্ন রাত্রি আর অনেক রাত জাগা পড়াশোনা গুলো নিমিষেই হয়ে পড়ে অকৃতকার্যতার পোকায় কাটা কৃষ্ণপত্র।
সবকিছুকে দুঃস্বপ্ন ভেবে জেগে উঠতে যাই। চোখ মেলে দেখি আমি বাস্তবিকই সেই দুঃস্বপ্নের মহাপাপিষ্ঠ, মহা অভিশপ্ত। কোন দুষ্ট গ্রহের ফেরে আমার সূর্যকাস্ত ভাস্বর জীবন নষ্ট পোকার মত ’উদ্ধার’ ’উদ্ধার’ বলে চিতকার করতে থাকে।
ফিরে আসতে পারিনা, এক অসুস্থ মনস্তত্ত্বের শিকল বন্দি হয়ে...
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।