অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা
কত হাজার মরলে পরে মানবে তুমি শেষে
বড্ড বেশী মানুষ গেছে বানের জলে ভেসে
আসলে সব শালাই কুত্তার বাচ্চা- কারো কাছেই ভালো কিছু আশা করা যায় না।
পোশাক শিল্প নিয়ে বিস্তর ঝামেলা চলছে- সরকার এইসব শিল্পখাতকে টপ প্রায়োরিটি লিস্টে নিয়ে গেছে- অবশ্য দেশের সবচেয়ে বেশী রপ্তানীযোগ্য শিল্প বলে একটু বাড়তি সুবিধা তারা দাবী করতেই পারে- তবে তাদের মালিক কতৃপক্ষকে যখন দেখি এই বৈশাখের গরমেও স্যুট টাই ঝুলিয়ে ঘুরছে- সম্ভবনাময় শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকার বাহাদুরের কাছে আব্দার জানায় তখন আমার সব খানকির ছেলেকে ইঁদুর- বিড়াল- নেড়ী কুত্তা আর কাউয়া দিয়ে গ্যাং রেপ করাতে ইচ্ছা হয়-
না তাদের কাজ নিয়েও আমার আপত্তি নেই- তারা ন্যুনতম মজুরি নির্ধারণ করে এমন করলাখাওয়া মুখে বলে নাহ ধনে প্রাণে মারা যাবো যদি একজন শ্রমিককে ৩০০ ঘন্টার কাজের বিনিময়ে ১৭০০ টাকা দেই- বাংলাদেশে শ্রমঘন্টা ৬ টাকারও কম-
দিনে ৭০ টাকা দিয়ে একটা মানুষ কিভাবে বাঁচে এই বিষয়টা নিয়ে সরকার বাহাদুরের কোনো মাথাব্যাথা নেই-
অবশ্য আমাদের বস্ত্রবালিকাদের জন্য নিয়তিবাদ নির্ধারিত মানসিক শক্তিসঞ্চালক- ইশ্বরের অভিপ্রায় তাই তারা বিভিন্ন ঘটনায় ক্রীড়ানক-
বেতন ১৭০০ ক্ষতি নেই কিন্তু সেটাও নিয়মিত না- ব্যবসায়ীরা আব্দার করেছেন আরও বাড়তি সময় বিদ্যুত সুবিধা দিতে- এসব নিয়ে কোনো কথাই বলা যাবে না- সরকার ঘোষণা দিয়েছে যেকোনো অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা তারা শক্ত হাতে দমন করবেন-
তাই ঘটছে- শিল্পে সহযোগিতা চলছে- তবে শ্রমিকের নিজস্ব কিছু প্রয়োজন আছে- এদের ভেতরে প্রধান হলো কাজের উপযুক্ত পরিবেশ- সেটা নির্ধারণের জন্য নীতিমালাও আছে- অলিখিত কিছু সভ্য রীতিও আছে-
কাজের পরিবেশ আসলে একটা সুন্দর শব্দ তবে এই পরিবেশ সৃষ্টির জন্য কয়েকটি মৌলিক চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা করতে হয়
স্যানিটেশন সুবিধা-প্রাথমিক চিকিৎসা সুবিধা- রিফ্রেশমেন্ট সুবিধা- মানে বিনোদনের সুযোগ পাওয়া-
আরও আছে শিশুদের জন্য একটা কেয়ার সিস্টেম যেনো কর্মরত মাতারা নিশ্চিত ভাবে কাজে মনোযোগ দিতে পারে-
আরও সামনে এগিয়ে আছে ভাতা পাওয়ার সুবিধা- চিকিৎসার জন্য ব্যয় বরাদ্দা পাওয়ার সুযোগ- পেনশনের সুযোগ-সবেতন ছুটির সুযোগ-
এত কিছুর পরও আরও কিছু কিছু সুযোগ দেওয়ার দরকার ছিলো মালিক পক্ষের- তাদের কর্মচারীদের সন্তানদের শিক্ষা সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা-
অন্তত টয়লেট সুবিধা- এমন টয়লেট সুবিধা যেখানে কোনো ফোরম্যান উঁকি দিয়ে তাদের এই সময়টাতেও দেখে যৌন চাহিদা পুরণের সুযোগ না পায়-
বিভিন্ন সময়ে আগুনে পুড়ে কয়েকজন নিহত হওয়ার পর ফায়ার এক্সেপের একটা সিঁড়ি বানানো হয়েছে- সেটাও আসলে ফাঁদ- কোনো ফায়ার ড্রিল নেই- এমন অপ্রশস্ত সিঁড়ি দিয়ে কিভাবে নামবে শ্রমিকেরা সেটাও বিবেচনার প্রয়োজন নেই-
খানকির ছেলেরা অনেক মায়া কান্না কাঁদতে পারে- আমাদের বালের প্রশাসন খুশী তারা অন্ত্যজ জনের জন্য কিছু দিতে পেরেছে- তবে আইস ক্রীমের কাঠির সাথে সুপারি বেঁধে বৃহন্নলা ঘুরতে পারে সারাদিন- হয়তো মানসিক শান্তিও পেতে পারে তবে এই জিনিষ দিয়ে কোনো উৎপাদনমুখী কর্মসূচি সম্ভব না।
সেই জিনিষ উৎপাদন করতে পারে না- শ্রমিকদের কাজের যোগ্য পরিবেশ দিতে এত কুণ্ঠিত কেনো গার্মেন্টস মালিক পক্ষ? তাদের অভাবগ্রস্থতার অজুহাত কতটুকু সত্য? আসলেই আমাদের হাজার হাজার গার্মেন্টস মালিকেরা অভাবগ্রস্থ? তাদের শ্রমিকের যোগ্য মজুরি কিংবা মানবিক মজুরি দিতে কোনো সমস্যা আছে?
দেবপ্রিয় ভট্টচার্য মজুরি নির্ধারণ করেছেন- তিনি মানবিক একটা ভাষ্যও দিয়েছিলেন- সে সময় আমাদের একটা উপস্থাপক এবং বর্তমানে গার্মেন্টস মালিক পক্ষ সমিতির নেতা আনিসুল হক তার মনোমুগ্ধকর হাসি ঝুলিয়ে বলেছিলেন এতে পোশাক শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবে-
এইসব দাবি আদায়ের জন্য শ্রমিকেরা কি করবে? তারা প্রতিবাদ করতে পারবে না বকেয়া বেতনের জন্য? তাদের পুলিশ পিটিয়ে মারবে- তাদের উপর গুলি করবে এটা নিয়তিবাদের উপর দিয়ে চালিয়ে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই-
বেশ কয়েক দিন ধরে একদল পাটকল শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবীতে আন্দোলন করছেন- তাদের ক্ষুব্ধ বিক্ষোভ অবশ্য সরকারের শিল্প সহযোগিতা নীতিমালার বিপক্ষে গিয়েছে- পুলিশ পরে তাদের উপর গুলি চালায়- ৫ জন নিহত হয়- অনেক আহত হয়- এবং অনেককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ-
এই প্রসঙ্গে মইনুল সাহেব বলেছেন জরুরী অবস্থায় কারো মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে সেটা সংবিধান সম্মত-
চুতমারানি- বাঞ্চোত যখন মানুষের বেঁচে থাকবার প্রয়োজন- মানুষের শ্রমের মূল্য পাওয়ার অধিকারকে নিয়ে এমন কথা বলতে পারে- ঐ চোদানির ছেলের আসলে কোনো অধিকার নেই উপদেষ্টা থাকবার-
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে এই কথা বলার সাহস পেলে সে কখনই আসলে অধিকাংশ মানুষের প্রতিনিধি হতে পারে না-
আমি মইনুল খানকির পোলার পদত্যাগ দাবি করি-অনেক রকম অনয়ায় করেও পার পেয়ে যাওয়া যাবতীয় উপদেষ্টা পরিষদের পদত্যাগ দাবি করি-
যারাই নির্ধারিত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ তাদের পদত্যাগের দাবি জানানো উচিত এবং আত্মসম্মানবোধ থাকলে এমন অবিবেচক উক্তি করে তিনি নিজেই দায় মেনে নিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারতেন-
তবে সেটা সম্ভব না- মাংনায় এমন সংবাদ মাধ্যমের আনুকুল্য আর অর্থ গুরুত্ব পেয়ে আনন্দিত এইসব চুতমারানিদের হোগায় লাথি মেরে না সরালে সরবে না-
সবাই পদত্যাগের দাবি জানালে যদি প্রশাসনের হুঁশ হয়
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।