আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুদ্ধাপরাধের বিচার রায়ের প্রাক্কালে এম কে আনোয়ারের (মাথা খালি আনোয়ার) কিছু মর্মবেদনা - কিছু প্রশ্ন

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি দীর্ঘকাল বাংলাদেশ সরকারের আমলাগিরি করে সর্বশেষ স্বৈরাচারী এরশাদের দালাল হিসাবে যখন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের কালো তালিকা ভুক্ত হলে কুখ্যাত মাথা খালি আনোয়ার - তখন বেগম খালেদা জিয়ার পদসেবার সুযোগে রাজনীতি ঢুকে পড়ে এখন বিএনপির নীতি নির্ধারক। বিএনপির সর্বোচ্চ পর্যায়ে এই ধরনের একজন নিরেট মেধাহীন মানুষ কিভাবে বসে আছে - ভাবতেও অবাক লাগে। উনি যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে আগেও লাগামহীন বক্তব্য দিয়েছেন - এখন শেষ মুহূর্তে মর্মজ্বালায় ধরেছে উনাকে। জামাতের ম্যানুয়ালের মুখস্ত সবগুলো বিতর্কের পয়েন্ট ঝেড়ে দিয়েছেন গতকাল। দেখা যাক উনার খালি মাথা থেকে কি কি বিষয় বের হয়ে এসেছে।

১) এম কে আনোয়ার যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রসঙ্গে বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার সত্যিকার অর্থে যুদ্ধাপরাধীর বিচার করছে না। তারা বিচারের নামে প্রহসন করছে। - জনাব মাথা খালির জানা নেই যে এই বিচার আওয়ামীলীগের অফিসে হচ্ছে না - আওয়ামীলীগও করছে না - করছে সরকার। সরকারের অর্থব্যয়ে - রাষ্ট্রীয় আইনের আওতায় সকল কার্যক্রম চলছে। যুদ্ধাপরাধের সাথে রাজনীতি মিশিয়ে পানি ঘোলা করা সময় বোধ হয় শেষ হয়ে গেছে - কথাটা হয়তো উনার নিরেট মাথায় ধরছে না।

২) “আমরা সব সময় বলে আসছি, বিএনপি যুদ্ধাপরাধের বিচার চায়। তবে সেই বিচার হতে হবে স্বচ্ছ। ” - বিএনপি যে কি বিচার চায় ১৯৭৫ সাল থেকে তো জনগন দেখেই আসছে। বিএনপির সমাবেশ মানেই রাজাকারের মুক্তির ব্যানার আর শ্লোগান। মানুষকে আর বোকা ভাবার এই যে প্রচেষ্টা আর কত কাল দেখতে হবে।

বিচার অসচ্ছ হচ্ছে কোথায়? কর্নেল তাহের আর জিয়া হত্যার সামরিক বিচারের মতো স্বচ্ছতার কথা যদি বলেন তা হলে ঠিক আছে। জজ মিয়া ধরনের তদন্ত আর সামরিক ট্রাইবুন্যাল করে যারা বিচারকে পরিচালিত করেন - তাদের স্বস্ছতার সংজ্ঞা কি হবে জনগন ভালই বুঝতে পারে। ৩) এম কে আনোয়ার বলেন, “স্বাধীনতা যুদ্ধের পর আটক ১৯৫ জন পাকিস্তানি সৈন্য, যারা যুদ্ধাপরাধে জড়িত ছিল, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তাদের ছেড়ে দিয়েছিল। কেন তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে, তা বর্তমান সরকারকে বলতে হবে। ” - জনাব, আপনি মনে হয় গতকাল পৃথিবীতে আগমন করেছেন।

দীর্ঘকাল সরকারের আমলা হিসাবে আপনারই তো ভাল জানা থাকার কথা। মন্ত্রী পরিষদ সচিব হিসাবে সকল চুক্তি আর অধ্যাদেশের খবরতো মাথা খালি সাহেবেরই জানার কথা। কেন উনিই বলছেন না - কেন ১৯৫ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিলো। ৪) আওয়ামী লীগের ভেতরেও যুদ্ধাপরাধী রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “সত্যিকার অর্থে যুদ্ধাপরাধীর বিচার করতে হলে অবশ্যই আগে ক্ষমতাসীন দলের ভেতরে যারা যুদ্ধাপরাধী রয়েছেন, তাদের বিচার করতে হবে। - ইয়েস।

এ্‌ইটা একটা দামী কথা বলেছেন। ভাসুরের নামের মতো পেটে না রেখে মুখে আনুন। আওয়ামীলীগের ভিতরের যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা আর তাতের অপরাদের বিবরন প্রকাশ করুন। আমরা আছি আপনার সাথে। যুদ্ধাপরাধী যে দলেরই হয়ে থাকুক - ক্ষমা নাই তাদের।

গত চার বছর ধরে এই কথাগুলো শুনাচ্ছেন মাথা খালি সাহেবরা - কিন্তু ভাসুরে নাম মুখে আনছেন না কেন? ৫) “১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ৪৩ জন প্রার্থী সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। ” - মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অব্স্থান নিলেই যুদ্ধাপরাধী হয়ে যায় না - এই সাধারন বিষয়টি না জানার কারন কি? যদি ঐ ৪৩ জন যুদ্ধাপরাধের সংজ্ঞায় কোন অপরাধ করে থাকে - তবে দয়া করে সেগুলো বলুন - আমরা জানতে চাই। বিচারকে বিতর্কিত করার জন্যে নানান তথ্য এনে মানুষকে চমক দেখানোর চালাকী করে লাভ নেই। ৬) “তাদের তালিকা প্রকাশ করে বিচারের ব্যবস্থা করুন। তাহলে বুঝব, আপনারা যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে চান,” সরকারের উদ্দেশে বলেন বিএনপি নেতা।

- এইটা হলো পরষ্পরবিরোধী কথা বলার একটা নমুনা মাত্র। সেই বিচার কিভাবে স্বচ্ছ হবে - তার একটা বিবরন দেন দয়া করে। আপনার দাবী অনুসারে যেহেতু ১৯৫ জন পাকিস্তানীদের বিচার হচ্ছেন তাই সহযোগী বাহিনী হিসাবে রাজাকারদের বিচার প্রহসন - যদিও রাজাকার এবং পাকিস্তানীরা ১৬ ডিসেম্বরের পর্যণ্ত পাকিস্তানীই ছিলো এবং পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে যুদ্ধ করেছে। কিন্তু জামাতের না বদলিয়ে পাকিস্তানের জায়গায় বাংলাদেশ লাগানোর কারনে ৭১ এর অপরাধের বিচার থেকে মুক্তি পেতে পারে না। সেই মুখেই এখন দাবী করছেন এমন সকল মানুষের বিচার যাদের অপরাধ সম্পর্কে আপনিও জানেন না।

এই ধরনের বিতর্কিত কথা বলা কার স্বার্থে? সূত্র - Click This Link বি: দ্র: - মাথা খালি কথাটা মুনতাসির মামুনের লেখা থেকে ধার করা। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.