মাস ছয়েক আগে দেশে গেলাম। হাতে সময় খুবি কম। একটা ব্যাপারে খুবি চিন্তিত হলাম। আর সেটা হচ্ছে ফতুয়া। না বানান ভুল করে ফতোয়া কে ফতুয়া লিখছি না।
আসলেই ফতুয়ার কথা বলছি। যার আভিধানিক অর্থ হচ্ছে হাত-কাটা ছোট জামাবিশেষ। আমার এক মামা সব সময় ফতুয়া পড়তো। খুব ভালো লাগতো আমার। বিশেষ করে গরম কালে দেখে মনে হতো বেশ আরামদায়ক।
সময় কম তারপরেও যতগুলো দোকানে সম্ভব ঘুরলাম কিন্তুমামা যে ধরনের ফতুয়া পড়ে সেই ধরনের কোন ফতুয়া পেলাম না। সব দোকানে একি রকমের ফতুয়া। দোকানি বললো "এখন এইটাই ফ্যাশন; পুরোনো ডিজাইনের কোনো ফতুয়া পাবেননা"। কি আর করা মন্দের ভালো পছন্দ করার অভ্যেসতো আমার আছেই। অনেকগুলো কেনার ইচ্ছা থাকলেও শেষ পর্যন্ত গ্রামীন এর একটা আর যতদূর মনে পড়ে যাত্রা থেকে একটা কিনলাম।
আপনারা যারা এখনকার ফতুয়া পছন্দ করেন তাদের কাছে মনে হতে পারে আমি এসব কি বলছি! এতো সুন্দর সুন্দর ফতুয়া থাকতে পছন্দ না হওয়ার কি আছে। আসলে ফতুয়ার যে চিত্র আমার মনে ধরে রেখেছি তার সাথে আমি কোন মিল পাইনি। ফতুয়া আর ফতোয়া দুটোতেই মর্মাহত হয়েছি। ফতুয়ার বেলায় স্বচক্ষে দেখে আর ফতোয়ার বেলায় একটা ঘটনা শুনে। অল্প কথায় বলছি।
জামাই বউ এর মাঝে ঝগড়া হয়েছে এবং রাগের মাথায় জামাই বউ কে বলেছে সে সংসার করতে চায় না তালাক দিতে চায়। ফতোয়া দেয়া হয়েছে তাঁরা ঘর সংসার করতে পারবেনা কারণ তাঁদের তালাক হয়ে গেছে! তাঁদের ভালোবাসা টিকিয়ে রাখতে শেষ পর্যন্ত গ্রাম ছাড়তে হলো তাঁদেরকে। ওদের কাছে মনে হয়েছে ফতোয়ার আভিধানিক অর্থ বোধ হয় বদলে গেছে। আমার কাছে যেমন মনে হয়েছে ফতুয়ার আভিধানিক অর্থ বদলে গেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।