আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাননীয় এমপি সিমিন হোসেন রিমি আপনার এপিএস কর্তৃক কিশোরী ধর্ষণের বিচার কি হবে না ?

চিন্তায় আছে আইজ উদ্দিন তাজুদ্দিনের মেয়ে সিমিন হোসেন রিমি। আপনার বাপ তো ভালো মানুষ ছিলো, দেশ স্বাধীন করছেন। পরে মুজিবের হাতে বহিস্কৃত তিরস্কৃত হয়ে জীবন দিয়ে গেছেন। আপনার ভাই সোহেল তাজ স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী হয়েও শেখ পরিবারের চড় থাপ্পড় খেয়ে বিদায় নিয়েছে। এরপরে আপনি গেছেন দেশ সেবা করতে! ভালো কথা।

চেষ্টা করে দেখুন। তবে দেশের আর কোনো সেবার দরকার নাই, শুধু একটা শিশুর জীবন বাঁচান, আপনার এপিএস পরিচয় দানকারী নরপশু কাজলকে জেলে পাঠান, আর দলীয় নেতা কর্মীদের অত্যাচার থামান। এডভোকেট সালমা আলী হাইকোর্টে গেছেন, মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য আদালতের সাহায্য চাইতে। ধারনা করা হচ্ছে, ধর্ষক কাজলকে বাচাতে মেয়েটি গুম করা হতে পারে। তখন বিচারের বাণী নিরবে কাঁদবে।

কাপাসিয়া থানার ওসি দেলোয়ার সহ গোটা প্রশাসন সাহায্য করছে ধর্ষককে। কারন সে আপনার দলের নেতা ও আপনার স্টাফ। মেয়েটি কাজলের ধর্ষনে ২ মাসের গর্ভবতী ছিল। তাকে ধরে নিয়ে জোর করে ডিএন্ডসি করানো হয়েছে। পুলিশ, আওয়ামীলীগের নেতা ও স্থানীয় মেম্বাররা মিলে কিশোরীটিকে তুলে নিয়ে যায় এবং সাজানো প্রেস কন্ফারেন্সে মিথ্য বক্তব্য দেওয়ায়।

তাদের কথা না শুনলে জানে মেরে ফেলা হবে, পরিবারকে দেশছাড়া করা হবে- এই হুমকি। গরীব মানুষ মেয়েটির বাবা-মা কি করবে আর। তাও মেয়েটি বেসরকারী টিভি ও পত্রিকাকে সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেছে, ”তারা কথা বলতে না বলছে। আমাকে ভয় দেখিয়ে বলছে, কাউকে কিছু বলবি না। বলবি, কাপড় ধোয়ার সময় পানি ধরার কারণে শরীরে ঘা হইছে” ডুকরে কেঁদে উঠে মুখ খুলল কিশোরী।

এর আগে তার সঙ্গে কথা বলতেই সাহস পাচ্ছিল না সে। নানা হুমকি-ধমকিতে আতঙ্কগ্রস্ত। শনিবার দুপুরে কাপাসিয়ার বড়টেক গ্রামে পুলিশের কাছে এক সাজানো সাক্ষাৎকার দেয় সে। ওই একই বক্তব্য কাছে দিতে চাইছিল নির্যাতিত কিশোরী। তবে অভয় পেয়ে সে অকপটে বলেছে, স্থানীয় এমপির ঘনিষ্ঠজন প্রভাবশালী সাইফুল হাকিম মোল্লা কাজল ওরফে কাজল মোল্লা ও তাঁর স্ত্রী রেখার নির্যাতনের কথা।

কিশোরী কাঁদতে কাঁদতে বলে, ”মসলা বাটার পুতা দিয়ে আমার পা ছেঁচে (থেঁতলে) দিয়েছে। গরম তেলের মধ্যে হাত চাইপা ধরছে। আমার বুকে আর গলায় খামচে দিছে। খালায় আমার বুকে কামড়ও দিছে। ” মেয়েটি জানায়, আড়াই মাস আগে রাজধানীর মিরপুরে কাপাসিয়ার এমপির কথিত এপিএস কাজলের বাড়িতে কাজ করতে যাওয়ার পর থেকেই তার ওপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ।

মাঝেমধ্যেই তাকে মারধর করত কাজল ও তার স্ত্রী রেখা। ধর্ষণের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মেয়েটি বলে, ”ওই দিন খালা বাসায় আছিল না। খালু বাথরুমে আমারে জোর করে … পরে এইটা খালা জাইনা আমারে আবার মারে। ” আপনার ‘এপিএস’ হিসেবে পরিচয় দানকারী কাজল মোল্লার ঢাকার মিরপুরের বাসায় ওই কিশোরীকে ধর্ষণ ও অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। গৃহকর্তা কাজল মোল্লা তাকে ধর্ষণ করে।

এটা কাজলের স্ত্রীকে বলে দিলে স্ত্রী রেখা্ দরিদ্র মেয়েটির ওপর চালিয়েছে মধ্যযুগীয় নির্যাতন। তার দু’হাত কব্জি পর্যন্ত গরম তেলে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। থেঁতলে দেয়া হয়েছে শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গ। গুরুতর আহত অবস্থায় বাথরুমে আটকে রাখা হয়েছে এক সপ্তাহ এবং রেখার পেশাব খাওয়ানো হয়েছে মেয়েটিকে। টানা নির্যাতনের পর ৭ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে কাজল মোল্লার ড্রাইভার মুমূর্ষু অবস্থায় মেয়েটিকে প্রাইভেট কারে করে কাপাসিয়ায় তার বাড়ির প্রায় এক কিলোমিটার দূরে এনে রাস্তার ধারে ঝোপের ভেতর ফেলে রেখে যায়।

মিস রিমি, কিশোরীটিকে গুম করা হতে পারে। মেয়েটির আইনগত, আর্থিক, সামাজিক সহায়তা দরকার। আর এ সব দেয়া আপনার দায়িত্ব। হাসিনা আর মখাকে কিছু বলব না। কারন ওরা হলো ধর্ষক, খুনী আর গুমকারীদের সহায়তাকারী।

ওদের বিচার আল্লাহ করবেন, আমরা দেখব। আপনার মেয়ে আছে কি না রিমি, আমরা জানি না, তবে যদি আপনার মেয়েকে কাজল এ অত্যাচার করত, আপনি কি করতেন? দয়া করে সেটাই করুন, জনসেবা চাই না। নাকি আপনি চান, আমরা পাবলিক আগুন দিয়ে জালিয়ে দেই কাজল মোল্লা সহ জড়িতদের বাড়িঘর আর কাজলের পুরুষাঙ্গ কেটে হাতে ধরিয়ে দেই।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.