আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বজিৎ আর রাব্বির মৃত্যুর দায় কে নিবে.........??

আমি চিৎকার করে কাদিতে চাহিয়া করিতে পারিনি চিৎকার। বুকের ব্যাথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার........ আমার চিৎকার সেই বিশ্বজিতদের জন্য, যাদের তৈরি পোশাক রপ্তানির টাকা দিয়ে আমি ২০ টাকায় হলে থাকি, ১০০ টাকাই সারামাস পড়াশুনা করি। চিৎকার সেই রাব্বিদের জন্য, যাদের টেম্পু চালক বাবার ঘামের পয়সা দিয়ে আমি ডাইনিং এ ১০ টাকায় খাবার খাই। কিন্তু তার বিনিময়ে আমরা তাদেরকে কি দিয়েছি......?? রাব্বির বাবাকে দিয়েছি একটি রক্তাত্ত তরতাজা লাশ, আর বিশ্বজিতের মাকে সারা জীবনের কান্নার খোরাক...... মায়ের গৌরব, বাবার প্রত্যাশা, ভাই বোনদের অহংকার আর প্রতিবেশীদের ভালবাসা সব কিছু পাওয়ার মূল কারন আমি একজন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র। কিন্তু সেই পরিচয়টি আজ আমার জন্য সবছে বর লজ্জার কারন।

সেই দিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন সাধারন মানুষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রিদের পরিচয় জানার সাথে সাথে মুখে থুথু মারবে, ভয়ে তিন হাত দূরে থাকবে, সুযোগ পেলে লাঠি দিয়ে পিঠাবে। শুনেছি রাব্বির গ্রামের সাধারন মানুষ নাকি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি হল ভাংচুর এবং দুইটি রুমে আগুন দিয়েছে। বরই আফসুস হচ্ছে, আগুনের সাথে ঐ......বাচ্চাদের পুরাইনি কেন.........!! কেন গুটিকয়েক অছাত্রের জন্য পুরা ছাত্র জনতা কলঙ্কিত হবে......?? লজ্জাই মাথা নত করে থাকবে......?? স্মরণ করে দেখুন, ৫২এর ভাষা আন্দোলন, ৬৯এর গন অভূদান, ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ সব কিছু সম্ভব হয়েছিল শুধুমাত্র ছাত্র জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের কারনে, কোন ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন বা ছাত্র শিবিরের কারনে না। গত চল্লিশ বছরে স্বাধীনতা নিয়ে অনেক বাণিজ্য হয়েছে, অনেকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে, কিন্তু সাধারন মানুষ পাইনি সেই স্বাধীনতার স্বাধ, ফেলানিরা পাইনি জীবনের নিরাপত্তা, রিতুরা পাইনি ধর্ষকদের হাত থেকে রক্ষা। তাই সময় এসেছে আরও একটি যুদ্ধের, আরও একটি স্বাধীনতার।

সেই যুদ্ধের, সেই স্বাধীনতার বীর সৈনিক হবেন আপনি নিজে। এখন সিদ্ধান্ত নিন, নিজের নিরাপত্তার জন্য, মা-বোনের ইজ্জত রক্ষার জন্য, বাবার সম্মান রক্ষার জন্য যুদ্ধ করবেন নাকি কাপুরুষের মত পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যাবেন। যদি যুদ্ধ করেন, হাতটা বারাবেন, ইনশাল্লাহ এই ক্ষুদ্র মানুষটিকে সব সময় সাথে পাবেন.......... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।