আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমিই বিশ্বজিৎ !!

বিং হিউম্যান Picture From: Kalerkantho বিশ্বজিৎকে হিন্দু বলে যেমন পেটায় নাই, তেমনি মুসলমান ভেবেও মারে নাই। এটা বোঝার জন্য সবজান্তা শমসের হতে হয় না। আগে নাম জিেজ্ঞস করলে অন্যকথা। জামাতের মুসলমান কর্মী আর আ.লীগের মুসলমান কর্মী যদি একে অন্যকে খুনাখুনি করে তবে সেটা তথাকথিত অর্থের সেই ''ধর্ম রাজনীতি'' নয়। এটা স্বার্থের।

কিংবা আ.লীগের হিন্দু কর্মীকে জামাত-শিবির পেটালেও সেটা স্বার্থের দ্বন্দ্বই থাকে। মানুষকে নিয়ে কে কি ব্যবসা করবে সেই স্বার্থের। রেশারেশিতে ধর্মটা তারা ''ব্যবহার'' করে মাত্র। আর ''চোর না শুনে ধর্মের কথা'' এটা তো জানা কথাই। যদি ধর্ম না থাকে, তাহলে এসব আওয়ামী-জামাতি খুনিরা অন্য জিনিস ব্যবহার করবে।

এমন রাজনীতি করার জন্য ছুতার অভাব হয় না। ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেই কি আর না হলেই কি। যাইহোক, এখন স্রেফ সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিতে এই খুনের ব্যাখ্যা করবেন, নাকি তার সাথে আরো আরো রাজনৈতিক করিৎকর্মা বিষয় জড়িত আছে সেসব নিয়ে ভাববেন? আপনারাই ভালো জানেন। এখন বিশ্বজিৎ নামের হিন্দুকে মারল সেক্যুলার আ.লীগ। ছেলেটা ধর্মে হিন্দু বলে নয়, জামাতি মুসলমান ভেবেও নয়।

মেরেছে আ.লীগের স্বরাজনৈতিক স্বার্থের কারণে। এটা হচ্ছে সরলীকরণের মহত্বম দিক। কিন্তু মরার পরই তো আমরা আবিষ্কার করলাম বিশ্বজিৎ হিন্দু। তাহলে সে কোন পার্টি করে? জামাত-শিবির, নাকি বিএনপি? নামের কারণে জামাত মিলছে না। বাকী আছে বিএনপি।

তাহলে বিশ্বজিৎ বিএনপি কর্মী। ব্যাস আ.লীগ চমৎকার সেক্যুলারই রইল। তাহলে নিজেদের কর্মী বলে বিশ্বজিৎকে নিয়ে দান খেলবে বিএনপি, এই তো হিসাব। যদি ঘটানাক্রমে গণেশ উল্টে যেত: ছাত্রলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে খুন করেছে ছাত্রশিবির। সে নিহত হিন্দু।

তবে আপনারা এটাকে কিভাবে ব্যাখ্যা করতেন মশাই? এবার আসুন মূল কথায়: বাংলাদেশে একটা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা আছে। পাশ্ববর্তী অন্যান্য দেশেও ভূতগুলো নেমে এসেছে। আগামী দিনগুলোতে বিশ্ব দক্ষিণ এশিয়ার মার্কিন পরিচালিত নাটক দেখবে। হিন্দু-মুসলমান, ­ বৌদ্ধ-মুসলমান, নাস্তিক আর আস্তিক কাটাকাটি মারামারি করে জটিল পরিস্থিতি তৈরীর চেষ্টা আছে। যেটা থেকে সুবিধা লুটবে হোতারা।

আর, গোপনে হিন্দু মেরে আ.লীগও তালের আঁটি খায় এটাতো সবাইজানেন নিশ্চয়। রামুতে বৌদ্ধ পোটাতেও আ.লীগকে নেতৃত্বে দেখা গেছে এটা নিশ্চয় ভুলে যাননি। জামাত-বিএনপি ধর্মের নখরামি করে জনতার মনোযোগ আকর্ষন করতে চায় বটে। এরা সকলেই জানে এই উপমহাদেশে ধর্মকে ব্যবহার করে কতকত সুযোগ সুবিধা পাওয়া গেছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করা গেছে, ঠকানো গেছে, খুন করা গেছে।

যাইহোক, সামনে 'সম্ভাব্য ১/১১'র দ্বিতীয় নাটক মঞ্চস্থ হবে। তবে এবার আর আগের প্লাস মাইনাস হিসাব নয়। কেননা, গণতন্ত্রের লেবাস জরুরী আমল পরিচালনা সহজ। ***পুরান ঢাকায় নিরীহ টেইলারিং ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসের হত্যাকারীরা পুলিশের কাছে এখনো অজ্ঞাতপরিচয়, সূত্রাপুর থানায় এভাবেই একটি মামলা করেছে পুলিশ। ***মির্জা ফখরুল গ্রেফতার হয়েছেন।

খুবই ভাল কথা, তিনি নাকি গাড়ি পুড়ানোর মদদ দিয়েছেন তাই গ্রেফতার হয়েছেন। উচিৎ কাজ হয়েছে... কিন্তু, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী... কি করবো বলুন আমরা কেন জানি একটু বেশি বুঝি। তাই আবারো স্বভাব দোষে জানতে চাই কিছু কথা... ************************ ১. যারা গাড়ি পুড়িয়েছে তাদের চেহারা দেখেছেন? তাদের ধরেছেন? ২. না ধরলেও ঝামেলা নাই, কান টানলে মাথা আসবে। মির্জা গেলে বাকী গুলাও থামবে বুঝলাম। ৩. বিশ্বজিৎ কে যারা মেরেছে তাদের চেহারা দেখেছেন? আপনি না দেখলেও ক্ষতি নাই আমাদের সবার কাছে আছে, দেখে নিয়েন।

৪. বিশ্বজিতের খুনিদের ধরেছেন আজকে? ৫. আচ্ছা যান, ওদের না ধরল নাই, বাদ দেন। আচ্ছা মির্জা যদি গাড়ি পুড়ানোর জন্য গ্রেফতার হয়, তাহলে ছাত্রলীগের মদদদাতা হিসাবে কাকে ধরা উচিৎ?? আরে না না, আমাদের কথা সিরিয়াসলি নেয়ার দরকার নাই। আমরা সিরিয়াসলি বলতেছিনা, এমনি সন্ধ্যায় চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে কিছু সমীকরণ মিলালাম। আমরা তো জানি মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আপনি আজ খুনিদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন!! আপনারা মুরুব্বি মানুষ, এই সময়ে যে জোরে হুঁশিয়ার করছেন এই কি বেশি না বলেন? ***আজকে বিশ্বজিত যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েটের কোন ছাত্র হত, তাহলে ছাত্ররা দফায় দফায় মিছিল করত, গাড়ি ভাঙচুর করতো। আজকে যদি বিশ্বজিত ছাত্র দলের কোন কর্মী হত, তাহলে আরও একদিন হরতাল দিত বিএনপি।

আজকে যদি বিশ্বজিত শিবির এরকোন কর্মী হত, তাহলে তার আব্বুর গর্বে বুক ভরে যেত সন্তান শহিদ হয়েছে বলে। আজকে যদি বিশ্বজিত ছাত্র লীগের কোন কর্মী হত,তাহলে পুলিস তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেত, এভাবে বিনা চিকিৎসায় সে মরত না। হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী তাকে দেখতে আসতেন। পরিবার বিশাল অঙ্কের অনুদান পেতো। কিন্তু বিশ্বজিত এসবের কিছুর মধ্যেই ছিল না।

বিশ্বজিত ছিল সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষকে হত্যা করলে তার কোন বিচার হয় না.....  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।