যে ঘড়ি তৈয়ার করে - সে - লুকায় ঘড়ির ভিতরে
অসংগতি দেখতে দেখতে আমরা এতটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছি যে অসংগতির দিকে আঙ্গুল তুলে কথা বললে সবাই হারে রে রে কইরা উঠে। বিশ্ব এজতেমার অসংগতি নিয়াও একই কথা।
তারপরেও ভালো কাজের নিদের্শ আর মন্দ কাজের প্রতিরোধ, সমালোচনা, অপছন্দ জানানো আমার ধর্মের মোরাল শিক্ষা। সেইখান থেইকাই অসংগতি নিয়া কথা বলি।
যে ঘটনার কথা বলতেছি সেইটা সত্য ঘটনা।
এইবারের এজতেমার সময়ের ঘটনা। 2 দিন আগেকার।
টঙ্গীর কাছাকাছি ঢাকার বাইরে থেইকা আসা একটা ট্রেন দাড়াইয়া আছে রেগুলার সময়ে, রেগুলার স্টেশনে। ট্রেনের ভিতরে আমার এক বন্ধুর বন্ধু ও তার পরিবার বসা। যথারীতি বিরতির পরে যখন ট্রেন ছাড়ার সময় প্রা য় সমাগত তখন হঠাৎ দূর থেকে দেখা গেল টুপি লুঙ্গি পরা একদল মানুষ মহা তোড়জোড়ে দৌড়াইয়া আসতেছে ট্রেনের দিকে।
হইচই মাতম শুইনা ভিতরে মানুষজন ভাবতেছে ট্রেনে না আগুন লাগায়ে দেয়!
প্রচন্ড আগ্রাসী সেই মানুষগুলারে আসতে দেইখা ট্রেনের কর্মকতর্া ট্রেনের বগীর বাইরে দৌড়ায়ে বলতেছে জানালার শাটার বন্ধ করেন, শাটার বন্ধ করেন। ভিতরে আতংকিত মানুষজন দ্রুত শাটার বন্ধ করতে লাগলো। এর মধ্যে টুপি লুঙ্গি বিশাল বাহিনী পৌছায়ে গেছে। শাটারে দুমাদুম কিল। কেউ কেউ বাড়ি দিয়া জানালার কাচ ভাইঙ্গা ফেইলা জানালায় পা দিয়া ছাদে উঠার প্রতিযোগিতা শুরু করছে।
ট্রেনের কামরা বন্ধ, তাই ভিতরে উঠতে না পাইরা
ইজতেমার হেদায়েত প্রাপ্তরা কেউ কেউ ট্রেন লাইনে দাড়ায়ে পড়লো। না যাইতে দিলে ট্রেনের যাওন নাই। খোদার নেক বান্দা বইলা কথা। রহমত টুপিতে কইরা ঘুইরা বেড়ায়। অত:পর ট্রেনের ছাদ ভর্তি হওন, অনেকগুলা জানালার শাটার তোবড়ানো মোচড়ানো, অনেকগুলা জানালার কাচ ভাঙ্গন হইলো।
2 টায় কমলাপুর পৌছানোর কথা যে ট্রেনটার সেইটা বিশ্ব এজতেমার আখেরী মোনাজাতকারী নেক (!) বান্দাদের, হদায়েতপ্রাপ্তদের সৌজন্যে পৌছাইছিলো বিকাল 5টায়।
আখেরী মোনাজাত কোথায় যেন পৌছায়?! কার কাছে?!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।