বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।
বেগম জিয়ার আজকের এই অসহায়ত্ব দেখে খারাপ লাগছে, দুঃখ হচ্ছে। সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে গত 3 বছর ধরে আমি যেসব কথা বলে এসেছি তিনি যদি সেগুলোর একটিও কানে নিতেন তাহলে আজ এ দশা হতো না। তার দাম্ভিকতা, অহঙ্কার ও মেজাজ দেখে আমি অবাক হয়েছি। হেসেখেলে তিনি আমার সব কথা উড়িয়ে দিয়েছেন।
এজন্য আজ শুধু বলবো_ আল্লাহ মহান।
গতকাল আমাদের সময়কে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ মনত্দব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির পদত্যাগী সদস্য, এলডিপি নির্বাহী সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমদ।
বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কর্নেল অলি বলেন, জিয়াউর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে যে দল প্রতিষ্ঠা করেছিলাম তা আজ সন্ত্রাস ও দুর্নীতির কাঠগড়ায় আসামি। কাজেই খারাপ তো লাগবেই।
তিনি বলেন, সুযোগ সন্ধানের জন্য আমি বিএনপি ছাড়িনি।
কেউ আমাকে বেরও করে দেয়নি। ভালো লাগেনি বলে ক্ষমতায় থাকাকালেই অনেক সহকর্মী রেখে চলে এসেছি। সুতরাং আমাদের দল করা আর অন্যদের দল করার মধ্যে তফাৎ রয়েছে।
এলডিপি নেতা বলেন, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির গডফাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ড. ফখরুদ্দীন আহমদের সরকারের কাছে সব উপাদান আছে। আটককৃত ফালু-মামুনের মাধ্যমে দুর্নীতির গভীর সুড়ঙ্গে প্রবেশ সম্ভব।
কে কোথায় কীভাবে লুটপাট করেছে তা উদঘাটনের পথ তারাই দেখিয়ে দেবে। ধুঁয়া ছেড়ে সুড়ঙ্গে প্রবেশ করতে হবে না। গর্তের ইঁদুর নিজে থেকেই ধরা দেবে।
যৌথবাহিনীর হাতে 15 শীর্ষ নেতার আটক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনগণ যেখানে খুশি, আমিও সেখানে খুশি। রাজনীতিকে স্বচ্ছ ও দূষণমুক্ত করতে দুর্নীতিবাজদের কঠোর শাসত্দি পেতেই হবে।
জনগণের সম্পদ লুণ্ঠনকারীরা আগামীতে যেন আর রাজনীতি করতে না পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ অতীতে দেখা গেছে, দুর্নীতিবাজরা ছাড়া পেয়ে ফের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে আশ্রয় নেয়।
অলি আহমদ বলেন, নির্বাচন কমিশন, বিচারবিভাগ, সিভিল প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে ঠিক না করে নির্বাচন দিয়ে লাভ নেই। কারণ দুর্নীতিবাজরা অত্যনত্দ শক্তিশালী। তারা যেন আগামী 50 বছরেও নির্বাচন করতে না পারে বর্তমান সরকারকে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
লুটেরাদের দখল থেকে জনগণের সম্পদ উদ্ধার করে তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি প্রসত্দাব করেন, নির্বাচনে যারা প্রার্থী হবেন তাদেরকে নূ্যনতম গ্র্যাজুয়েট হতে হবে। তা না হলে অশিক্ষিত লোকেরা সংসদে গিয়ে কী করবে। আন্ডার গ্র্যাজুয়েট প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী হয়ে কীভাবে ডক্টরেটধারী সচিবদের সঙ্গে কথা বলবেন? এজন্যই বলি_ আলু, ফালু, বুলু, দুলু, মুলা বা পটলদের দিয়ে দেশ চালানো সম্ভব নয়। কর্নেল অলি বলেন, এ সরকার কিছু সময় নিক, এতে সমস্যা নেই।
সরকার ধীরে ধীরে এগুচ্ছে। তাদেরকে আনত্দরিক মোবারকবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।