আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্ষণের অভয়ারণ্য, ব্যাভিচারের পূণ্যভূমি

.......অতঃপর মৃত্যুর প্রতীক্ষা

নারীদের অন্যায় বাড়াবাড়ির ফিরিস্তি দিতে গিয়ে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। আমি নাকি ধর্ষণের পক্ষে সাফাই গাই। খোদ তসলিমা নাসরিনও চরম পুরুষ বিদ্বেষী বক্তব্যের জন্য বিপুল বাহবা কুড়িয়েছেন। আমারই ভুল হয়েছে, নারীরা হলো মা-বোনের জাত, তারা পাপ বা অপরাধ করতে পারেননা। এক নারীকে বেশ্যা বলে গালি দেয়া মানে নিজের মা বোন সহ সমস্ত নারীর ইজ্জতকে কলঙ্কিত করা।

পুরুষরাই কেবল পাপিষ্ঠ , নরপশু, নরাধম, কাপুরুষ, পক্ষান্তরে নারীরা ফুলের মত পবিত্র, নিষ্পাপ ফেরেশতা। লেখাটি সেই বিষয়টি তুলে ধরে পাপের প্রায়শ্চিত্য করার প্রয়াস। (জাবিতে বিশেষ প্রতিনিধি দল , তথাকথিত ঝোপ জঙ্গল ঘুরে বিপুল পরিমাণ কনডমের প্যাকেট উদ্ধারের সূত্রে এ লেখার অবতারণা) মানিক প্রথম ধর্ষণের স্বাদ নিলো। স্বাক্ষী ছিল কেবল ইশ্বর । স্বাক্ষীর অভাবে ধামাচাপা পড়ে গেল।

মানিক 2য়, 3য়, 4র্থ করে 10ম ধর্ষণটি সারলো। উচ্চ শিক্ষিত জাবির প্রগতিশীল নারী পল্ল্লী আজ ভয়ংকর নীরব। মানিক দশ গ্লাস পানি খেয়েছে, এ আর এমনকি? মানিক 20টি ধর্ষণ সম্পন্ন করলো । জান আর ইজ্জত হারানোর লজ্জায় 20 বঙ্গ উচ্চশিক্ষিত অথচ অবলা নারী মুখ খুলে কাউকে কিছু জানালোনা। দেয়ালেরও কান আছে, বাতাসের ও চোখ আছে।

অতএব চুপ। মানিক 30টি ধর্ষণ সম্পন্ন করলো । পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী স্বৈরাচারী দানব হয়ে উঠেছে মানিক। প্রতি সপ্তাহে বিনা বাধায়, বিনা হুমকিতে, বিনা অভিযোগে নতুন নারীর স্বাদ। ঈশ্বর ছাড়া এ দৃশ্য কেউ দেখেনি, জানেনা, জানলেও কেউ কাউকে বলেও না সাহস করে, মুহূর্তেই সব কলঙ্ক বাতাসে মিলে যায়।

মানিক 40টি ধর্ষণ সম্পন্ন করলো । গণধর্ষণ নয় বরং প্রতি সপ্তাহে একটা একটা করে 40 টা। এই 40 ধর্ষিতা উচ্চশিক্ষিত প্রগতিশীল নারীদের কেউ কাউকে জানায়নি তাদের ইজ্জত হারানো গল্প। মানিক পানি খেয়েছে, এমন কি বলার মত ঘটনা? জাবি পাড়ায়, হলে ভৌতিক নিরবতা। মানিক 50টি ধর্ষণ সম্পন্ন করলো ।

মানিক আজ ছাত্রী ছেড়ে শিক্ষিকার দিকে কুনজর দিয়েছে। মানিক আজ ফ্র্যাঙ্কেস্টাইন হয়ে উঠেছে। গোটা জাবির কেউ তার বিরুদ্ধে টু শব্দটি করতে পারেনা। প্রগতিশীল নারীরা নারী মঞ্চে উঠে নারীবাদ, নারী নির্যাতনের ভাঙ্গা কোরাস গায়, তবুও তাদের কেউ বলেনা মানিকের কথা, ঘরে বা জাবির বাইরে। মানিক 60টি ধর্ষণ সম্পন্ন করলো ।

আশ্চর্য পৃথিবী, অতি আশ্চর্য্য জাবি। একটা নয় দুটো নয় 60 টা ধর্ষণ হয়ে গেলো, কোন আওয়াজ নাই জাবিতে, সবাই নিজের কাজ করে যাচ্ছে। ধর্ষিতাদের চোখে মুখে উল্ল্লেখ করার মত নেই কোন অবসাদ বা গ্লানিময় অভিব্যক্তি। মানিক 70টি ধর্ষণ সম্পন্ন করলো । আরে!!!! মারাত্মক ঘটনা!!! কেউ জানেনা নাকি? 70 জন ধর্ষিতার একজনও যদি কথা বলে, প্রতিবাদী হয়, জানায় কোন পুরুষকে তাহলেই তো হয়।

এর পরের শিকার কে? বাবা মা রা কোন সাহসে মেয়েদের এখানে পড়তে পাঠান? আরে বাবা! এতে লজ্জার কি? উচ্চ শিক্ষিত নারীরা এইটা বুঝলোনা যে, একটা পাপ গোপন থাকলে 10 টা পাপ প্ররোচনা পায়। একটা ধর্ষণের বিচার না হলে 10টা ধর্ষণের উষ্কানি পায় মানিকরা। মানিক 80টি ধর্ষণ সম্পন্ন করলো । যদি এ ঘটনা এতদিনে কেউ জেনে থাকো, তবে তোমরা বোবা মেরুদন্ডহীন, ভীতু নারীর দল। সেঞ্চুরির আগে যে এই দানবটাকে আটকাতে হবে ।

ওরে !!!! তোরা কেউ গোপনে কর্তৃপক্ষ বা মিডিয়াকে জানিয়ে দিয়ে আয়, কোন ভয় নেইরে..... তোকে কেউ খুজবেনা.....। আমরা চাইনা আর একটা বোনের ইজ্জত হারাতে। মানিক 90টি ধর্ষণ সম্পন্ন করলো । চবি আর বাকৃবির কথা মনে পড়ে গেলো। ছাত্রীকে এক শিক্ষক অশোভন প্রস্তাব দেয়ার অপরাধে, বরাখাস্ত, মান সম্মান নিয়ে টানাটানি মিডিয়ায় হৈ চৈ, লেখালেখি।

এই বোনদ্বয় নারী জাতির গর্ব। এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করার অপরাধে শাবিপ্রবিতে ঘটে গেছে মহা ধ্বংসযজ্ঞ। গুলিতে গেছে ছাত্রের প্রাণ, মহামূল্যবান একটি শিক্ষা বছর। আর জাবিকে দেখে মনে হয়, চোখ বুজে মানিক নামের মদন দেবকে সপ্তাহান্তে একটি করে মেরুদন্ডহীন উচ্চশিক্ষিত নারী ভেট দেয়া হচ্ছে, চোখ বুজে, সকলের অজ্ঞাতে, হায়রে নারীর মর্যাদা, হায়রে মা বোনের ইজ্জত!!!!! মানিক 100টি ধর্ষণ সম্পন্ন করলো । সকালে উঠেই পনের কেজি মিষ্টি কিনলো, সকলকে শুভেচ্ছা আর কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য, এহেন বিশাল অভিজ্ঞতা, সকলের অকান্ত সহযোগিতা ছাড়া কি সম্ভব? কিন্তু না , মানিক আজ ধরা পড়ে গেলো, জেনে গেলো মিডিয়া, দেশবাসী, মানিকের বিপরীত রাজনৈতিক দল আর চকটদার পত্রিকাগুলো ঘটা করে ছাপালো শত ধর্ষণের খবর, চারিদিকে ধি্বক্কার।

তবে কি মিষ্টি খেয়ে বন্ধুদের বিশ্বাসঘাতকতা?!!!!! না ! তা নয়!! ব্যভিচার হয় গোপনে, আড়ালে, সবার অজ্ঞাতে, শিক্ষিত মানুষের ভদ্রতার মুখোশ ধরে রাখার স্বার্থে। আর একটি মাত্র ধর্ষণ -- তা অজ্ঞ অজ নিভৃত বহুদূর পল্লীতে হলেও দেশবাসী জেনে যায় প্রত্রিকা মারফত। মানিকের শত ধর্ষণের কাহিনী কেউ জানেনি, কেউনা..... কেননা তা ছিলো গোপন ব্যাভিচার। ব্যবসার স্বার্থে শত ব্যাভিচারকে শত ধর্ষণে রূপ দিতে নারীবাদী, সমাজের তথাকথিত উগ্র আদর্শবাদীদের এক মুহূর্ত লাগেনা। এতে লাভ হয় নারীর, নারী নির্যাতনের কথা বলে পুরুষ জাতির মুন্ডুপাত করে, মিথ্যা অভিযোগ করলেও সবাই চিরন্তন স্বাভাবিক মহাসত্য বলে মেনে নেয় ---হাজার হলেও নারী নির্যাতন, অবলারা আড়ালে থেকে ব্যভিচারের সবদায়ভার লম্পট পুরুষ জাতির উপর চাপিয়ে দেয়।

বাপ-ভাইদের তো ইজ্জত হারানো ভয় নাই। বেচারা 100 জন ধর্ষিতা উচ্চশিক্ষিত নারী আড়ালেই থেকে গেলেন, দেশবাসী তাদের চিনলনা, জানলো তারা কেনো ধর্ষিতা হবার দিনই তারা অভিযোগ করেননি, কেন চুপ থেকে গেলেন আজীবন কলঙ্কের বোঝা নিয়ে, এটা কি উচ্চশিক্ষার কুফল? তারা আজ বিবাহের পর ভালো পাত্রের ঘরনী । আর পুরুষ জাতি মানেই স্বীকৃত শত ধর্ষকের প্রতিভূ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.