রাজপথে পুলিশ ও র্যাব কঠোর অবস্থানে থাকায় পিকেটিং করতে পারছে না হরতালকারীরা।
জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক ও সভাপতিসহ জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে সোমবার জেলায় আধাবেলা হরতাল ডেকেছে বিএনপি।
নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে বিএনপির কার্যালয় ভোর থেকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে দাঙ্গা পুলিশ। এই এলাকা থেকে ককটেলসহ আটক করা হয় জেলা যুবদলের যোগাযোগ সম্পাদক এনায়েতকে।
দলের জেলা আহ্বায়ক মোজাফফর হোসেনের দাবি, শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল করছেন তারা।
নেতাকর্মীদের পুলিশ মাঠেই নামতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
কোতোয়ালি থানার ওসি সৈয়দ শাহাবুদ্দিন খলিফা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকাল ৬টার দিকে নগরীর মাহিগঞ্জ শরেয়ারতল এলাকায় রংপুর-পীরগাছা সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে হরতাল সমর্থকরা।
এছাড়া বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে রংপুর-বগুড়া মহাসড়কে অবরোধ দেয় তারা। পরে পুলিশ তা সরিয়ে ফেলে।
হরতালের আগে রোববার রাতে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় একটি নৈশকোচ, তিনটি ট্রাক, আটটি পিকআপ ও ১৮টি অটোরিকশা ভাঙচুর করে হরতাল সমর্থকরা।
এ ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মীর নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেছে।
হরতালে দুরপাল্লার যান বন্ধ থাকলেও অভ্যন্তরীণ বাহনগুলো স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করছে।
রংপুর রেলস্টেশনের তত্ত্বাবধায়ক মোজাম্মেল হক জানান, সকাল থেকে বেলা ৯টা পর্যন্ত বিভিন্ন রুটে যথারীতি ছেড়েছে তিনটি ট্রেন।
পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে এবং নৈরাজ্য ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।