আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভিন্ন আঙ্গিকের কবিতা//ইঁদুরের বিবেচনার সাথে মাপকাঠি

[অন্যর দোষ না খুঁজে আগে যদি সবাই নজের দোষটা খুঁজত তাহলে বোধহয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত]............... [পথের শেষ নেই, আমার শেষ আছে, তাইত দ্বন্দ্ব] http://mamunma.blogspot.com/

গর্ত থেকেই মুখ বের করে লাফটি দেয়না নেংটি ইঁদুর দেখে নেয় আশপাশ ঘার ঘুরিড়ে চোখ পিট পিটিয়ে প্রথমেই। ইঁদুর বলেই করে আচরণ বোধহয় ওমন, ইতর শ্রেনীর তো। কিন্তু কর্মটি নিঃসন্দেহে কিন্তু বিবেচনাপূর্ণ, স্বপ্রতিভ, যুতসই। মানে বলতে চাইছি অভিযোজনের জন্য বেশ উপোযোগী ওদের। ধরলাম ইঁদুর এর ঐ বুদ্ধি কর্মটিকে এক মাপকাঠি... যে তাহলে লাফ দেয় গর্তের কিবা বসতের ধারে এসেই যাচাই বিনেই সে হবে ইঁদুর অপেক্ষা নিম্ন বুদ্ধির , নিম্ন সাবধানী। আর যে আরও বেশী করে বেশী সাবধানী হয়ে পর্যবেক্ষণ করে নব আশপাশ-সে হবে আরও স্বপ্রতিভ , অতি বিচক্ষণ, বুদ্ধিমান। মানুষ নামের প্রাণীর একপালকে দেখেছিলাম ... আগুন জ্বলছে, বোমা ফুটছে, রক্তের বন্যা বইছে..এমন এক সঙ্কুল পরিবেশ, তারপরও অত ভাবনা নেই , সাবধানী চোখ নেই, দরজা খুলে খুলে ঝুপঝাপ নেমে পড়ছে মাঠে; যুদ্ধের ময়দান নামছিল মাঠটার, দেশ মাতার সম্ভ্রম রক্ষার যুদ্ধ। ইঁদুর দিয়ে আর মাপকাঠি বানানো গেলোনা, কি করে যাবে? ঐ মানুষ দল কে আরও বেশী বেশী উপাধী তে সমৃদ্ধ করতেই হয়- সাহসী, দেশপ্রেমিক অথবা শহীদ কেউ কেউ। মানলাম মানুষের জন্যে রীতিনীতিই আলাদা.... কিন্তু ঐ যে নারীশ্রেণীর দুটো শ্রমজীবী মানুষ কর্মখানার দরজা খুলে রাতে আঁধারে পথে নামে , চেনা পথের ফাঁকা পরিসর ধরে হাসতে হাসতে হাঁটে আর পুরষ শ্রেনীর আরও জনা তিনেক মানুষ তাদের উপর চড়াও হয়, চরমভাবে লাঞ্চিত করে বেঁচে থাকার ইচ্ছে তাদের করে হরণ, ..... তখন কি বলব? কি করে মাপব ঘরের বাইরের সতর্ক বিচক্ষণতা? বলবো কি কম বা বেশী ইঁদুরের জগতের মাপকাঠির?- না ,মোটেইনা , ইঁদুরের জগতের সেই স্বচছতার মাপকাঠি কি আর মানুষের জন্যে! মানুষ যে আরও অনেক অনেক বেশী বিচক্ষণ আর চিন্তাময় জীব! ১৫/০১/০৭

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.