আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উলটো হয়ে ঝুলে আছ/আছি

বেঁধেছে এমনও ঘর শুন্যের ওপর পোস্তা করে..

ছবিটা উলটো হয়ে ঝুলছিল প্রায় 10 মিনিট ধরে। ছবির মধ্যে তুমিও উলটো হয়ে ঝুলছিলে। কারন ইহার নাম অংক, ইহার নাম বিজ্ঞান। আমার সামনে জ্যান্ত তুমি দাড়িয়ে আছে চোখ পাকিয়ে বেশ সুন্দর পালটা, অথচ তার ঠিক পেছনের ছবিটাতে তোমার মাথা নিচে, পা ওপরে। রীতিমত ম্যাজিক, নাকি বলো? এই ম্যাজিকের ম্যাজিশিয়ান তুমি নিজেই।

তুমিই তো ক্ষেপে গিয়ে তোমার লম্বা লম্বা নখগুলির চোখা অংশ আমার চোখ বরাবর তাক করে হঠাৎ করে ঝাপ দিলে। আমার আর কি দোষ মরন ভয়ে সরে গেলে? তোমার ভারসাম্যহীন শরীর তখন তোমার ওপরে গিয়েই পড়লো। মানে তোমার ছবির ওপর। তখন থেকেই তো কি যাদু করিলা, উলটো হয়ে ঝুলিয়া থাকিলা। সে প্রায় 13 মিনিট আগের কথা।

তুমি সম্ভবত একটু টায়ার্ড হয়ে পড়ছিলে, নখগুলিও গুটিয়ে নিচ্ছিলে। ঘনঘন নিঃশ্বাসের ভীতিকর শব্দ স্বাভাবিক হয়ে আসছিলো। আগুন ঝরা পাকানো চোখ কোমল না হলেও সহনীয় হচ্ছিল, ঠিক সেই মূহুর্তেই চরম ভূলটা আমি করলাম। শাড়ি পড়া তোমার উলটো হয়ে ঝুলে থাকার ভঙ্গিটি দেখে আমার হাসি পেয়ে গেল। হাসি আটকাতে পারলেও মুখের ডগায় চলে আসা কথাটি আটকাতে পারলাম না।

চোখেমুখে বিস্ময় ফুটিয়ে বলে ফেললাম, ব, তুমিনা উলটো হয়ে ঝুলে আছো। আমি আসলে ছবির কথাটি বলছিলাম। কিন্তু তুমি তা বুঝলে না। কারন উত্তেজনার বশে তুমি তো এটি খেয়ালই করনি। তোমার সহনীয় হয়ে আসা চোখ আবারো আগুন হয়ে গেল।

নখগুলি তো মনে হচ্ছিল শান দেয়া কোরবানীর মাংশ কাটা ছুরি। তারপর চেয়ার টা যখন তুললে তখন আমার মাথা কাজ করতে শুরু করেছে। বুঝলাম এখন সময় নিস্ক্রান্ত হওয়ার। চোখের পলকে হাওয়া আমি নিজেকে আবিস্কার করলাম সিড়ির শেষ প্রান্তে। কি আশ্চর্য! আমি হাটতে পারছিনা।

হাটবো কিভাবে? পা উপরে আর মাথা নিচে থাকলে কি হাটা যায়?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.