সযতনে খেয়ালী!
[গাঢ়]মাসকাওয়াথ আহসানের 'পরাজিত মেঘদল' এখন একুশের বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে। [/গাঢ়]
কিন্ত-
বইটা শেষ করা থেকেই নানা ঝামেলা শুরু হচ্ছিলো। একবার ভাবলাম নিজেরাই কম্পোজ করে তারপর দিই যাতে প্রকাশকের খাঁটুনিটা একটু কম হয়। এমনিতেই নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে পান্ডুলিপি তৈরী হয়েছে, তারওপর সাম্য ভাইয়ের মতো একজন অতি মাত্রায় ভদ্্রলোক, মাই ডিয়ার টাইপের লোকটাকে আরোও গ্যাড়াকলে ফেলতে ইচ্ছে করছিলো না। কিন্ত ওইযে কপালের ফের, কি আর করা! সময়ই করে ওঠা গেলো না বইটা কম্পোজ করার জন্য, পাঠাতে হলো স্ক্যান করেই।
প্রচ্ছদের কাজে হাত তখনো দেয়া হয়নি। অথচ প্রচ্ছদটাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একদিন মারুফ ভাইয়ের সেই 'লিটল হাউজ অন দ্যা প্রেইরী'-র বাড়িতে গেলাম। বিয়ানকা ভাবী অনেক কিছু করে খাওয়ালেন, কাজের কাজ হলো খুব সামান্যই। শেষ করা হলো আর সেদিন প্রচ্ছদটা, দিন কিন্ত ধীরে ধীরে কমেই চলেছে।
অবশেষে একদিন, একেবারে শেষ সময়ে এসে যখন দেখা গেলো এবার না করলেই নয়- টনক নড়লো আমাদের। আবারো হানা দেয়া হলো মারুফ ভাইয়ের 'লিটল হাউজ অন দ্যা প্রেইরী'-তে। এ্যাট দ্যা ইলাভেন্থ আওয়ারে সব কিছুই করে অভ্যস্ত আমি, মাসকাওয়াথ ভাইয়ের অভিজ্ঞতাও অনেকটা সেরকমই। বিয়ানকা ভাবীর সেদিনের সেই ভারী ভোজনটাকে পাশ কাটিয়ে আমরা লেগে গেলাম কাজে। মারুফ ভাইয়ের মতো ট্যালেন্টেড লোকের সাথে আমার মতো গাধার কাজ করার অভিজ্ঞতাটাই অন্যরকম! অনেক খেঁটেখুটে, খুঁটিনাটি শেষ করতে করতে রাত প্রায় দুপুর।
পরদিন সকালে পাঠানো হলো স্বপন ভাইয়ের কাছে। কিন্ত ফোনে তাঁকে ধরা গেলো না। তখন দেশের অবস্থা করুণ। কোন ফোন লাইনই লাগে না দেশে। অথচ প্রচ্ছদের ফ্ল্যাপের লেখাটার নির্দেশনার জন্য স্বপন ভাইকে দরকার।
হলোনা দেখে ছোট ভাইকে বললাম সে যেনো পৌঁছে দেয় 'জনান্তিকে'।
[গাঢ়] অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তবে গতকাল, ভ্যালেন্টাইন দিবসে বইটি মেলায় প্রবেশ করে, জনান্তিকের হাত ধরে। [/গাঢ়]
একজনকে অনুরোধ করেছিলাম আমাকে যেনো বইটার বর্তমান অবস্থা আমাকে জানায়। এতো কিছু হলো বইটার শুরু থেকেই, খুব জানতে ইচ্ছা করছিলো - 'সব ঠিকঠাক মতো হলো তো'। অবশ্য সাম্য ভাই কিংবা স্বপন ভাইয়ের ওপর নিষ্ঠা মাসকাওয়াথ ভাইয়ের প্রবল, এটা আমি জানি।
একটা ভুল বুঝাবুঝির কারণে বইয়ের আভ্যন্তরীণ ভাগ গুলো নিয়ে সংশয় দেখা দেয় আমার মনে। খুব খারাপ লাগছিলো তখন, আমি শালা যে কাজেই হাত দেই সেটাতেই একটা ঘাপলা হওয়া লাগবে? মেজাজটা গেলো খারাপ হয়ে...। একের পর এক ফোন, কিন্ত পরে জানা গেলো সেটা নিতান্তই একটা ভুল। সব কিছুই ঠিক আছে, মাঝখান থেকে বেচারা স্বপন ভাইকে টেনশনে ফেলে দেয়া হলো। এর জন্যও খারাপ লাগছিলো পরে... ধ্যাৎ!
ভুল বুঝাবুঝি হোক আর যাইহোক, সব চাইতে বড় কথা হলো যাকে আমি খবরটা নিতে বলেছিলাম সে অনেক চেষ্টা করেছে এর জন্য - আন্তরিক ধন্যবাদ তাঁকে।
পাশাপাশি দারুন উপন্যাসটা অবিকৃত অবস্থাতেই পাঠকেরা বইমেলা থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন [গাঢ়] জনান্তিকের[/গাঢ়] স্টল থেকে।
'সম্পূর্ণ উলটো দৌড়ের' এই উপন্যাসের মাঝে আখ্যায়িত আছে এমনই এক উপাখ্যান যার জন্য বেছে নিতে হয়েছে 14ই ফেব্রুয়ারীর মতো একটি দিন, ভ্যালেন্টাইনস দিবস বা [ইটালিক]ভালোবাসার দিন[/ইটালিক] ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।