আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এভারটনের কাছে চেলসির হার

পুরো খেলাতেই প্রাধান্য ছিল চেলসির। কিন্তু ম্যাচ শেষে জয়ী দল এভারটনই। একগাদা গোলের সুযোগ নষ্ট করার খেসারত বেশ চড়া দামেই দিল হোসে মরিনহোর দল। প্রথমার্থের ইনজুরি সময়ে স্টিভেন নাইস্মিথের হেডের গোলে এবারের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে প্রথম হারের তেতো স্বাদ পেল স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের সেনানীরা।
গুডিসন পার্কে এভারটনের এই জয় কোচ হিসেবে রবার্টো মার্টিনেজের প্রথম সাফল্য।

ম্যাচ শেষে এই জয়ের পুরো কৃতিত্ব তিনি দিয়েছেন তাঁর দলের খেলোয়াড়দের। মার্টিনেজের মতে, ম্যাচের শেষ অবধি স্নায়ু ধরে রেখে তাঁর ছেলেরা বড় দল চেলসির বিপক্ষে এক দুর্দান্ত জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে।
কাল চেলসির হয়ে অভিষেক ঘটেছিল ক্যামেরুন স্ট্রাইকার স্যামুয়েল ইতোর। কিন্তু তিনি অভিযুক্ত হবেন গোলের সহজ কিছু সুযোগ নষ্ট করার দায়ে। তবে ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড অস্কারকে দ্বিতীয়ার্ধে ডি-বক্সের মধ্যে ফেলে দেওয়ার পরও পেনাল্টি না দেওয়ায় চেলসির খেলোয়াড়েরা দুষতেই পারেন রেফারি হাওয়ার্ডকে।


ইতো প্রথম একাদশে থাকায় ডাগ আউটে চলে যেতে হয়েছিল স্প্যানিশ স্ট্রাইকার ফার্নান্দো তোরেসকে। দ্বিতীার্ধে আন্দ্রে স্কুরলের জায়গায় তোরেস মাঠে নামলেও ততক্ষণে চেলসির যা সর্বনাশ হওয়ার তা হয়ে গেছে।
খেলার প্রথমার্ধেই এগিয়ে যেতে পারত চেলসি। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে র্যামিরেসের দারুণ এক ক্রসে ইতো মাথা ছোঁয়ালেও তা বারের ওপর দিয়ে চলে যায়।
২৯ মিনিটে এভারটন গোলরক্ষক টিম হাওয়ার্ডের ভুলে আবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় চেলসি।

হাওয়ার্ড বক্সের মধ্যে ভুল পাস দিলে তা পেয়ে যান ইডেন হ্যাজার্ড। হ্যাজার্ডের ক্রসকে ফাঁকা পোস্টে কেবল ঠেলে দেওয়ার ছিল ইতোর। কিন্তু দারুণভাবে তাঁর শট গতিরোধ করেন গ্যারেথ বেরি।
এই দুটি সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করার পরও চেলসির সামনে সুযোগ এসেছিল আরও কয়েকটি। এর মধ্যে সবচেয়ে হতাশাজনক ছিল প্রথমে র্যামিরেস এবং পরে স্কুরলের প্রাপ্ত সুযোগ দুটি।


প্রথমার্ধের শেষ বাঁশি বাজার লগ্নে চেলসি গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে। বার্কলের ক্রস প্রথমবারে জেলাভিচের মাথায় গিয়ে পড়ে। জেলাভিচ হেড করে তা দ্বিতীয়বারের দিকে ঠেলে দিলে তা থেকে গোল করেন নাইস্মিথ।
দ্বিতীয়ার্ধেও এভারটনের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছিল চেলসি। কিন্তু কোনোভাবেই চেলসি ফরোয়ার্ডরা এভারটনের প্রতিরোধ ভাঙতে পারেননি।


হুয়ান মাতার বদলে এই অর্ধে মাঠে নামেন অস্কার। নেমেই দারুণ কাঁপন ধরিয়েছিলেন এভারটন রক্ষণে। কিন্তু তাঁকে ঠেকাতে এভারটনের দুই রক্ষণ সেনাবক্সের মধ্যে ফাউল করে বসলেও তা এড়িয়ে যান রেফারি।
৭০ মিনিটের সময় ব্রানিস্লাভ ইভানোভিচের ক্রসে পা ছোঁয়াতে পারেননি র্যামিরেস। পুরো ম্যাচে চাপের মধ্যে থাকলে এভারটনের ফরোয়ার্ডরা চেলসির জন্য বারবার বিপজ্জনক হয়ে উঠছিলেন প্রতি-আক্রমণের কারণে।

গোল শোধে মরিয়া চেলসি অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক থাকায় বারবারই তাঁদের রক্ষণে সৃষ্টি হচ্ছিল বড় বড় ফাটল। ওই ফাটলগুলো কাজে লাগিয়ে এভারটনের প্রতি-আক্রমণগুলো বিপদের শঙ্কা তৈরি করলেও দ্বিতীয় গোলের জন্য যথেষ্ট ছিল না। তবে ৮৮ মিনিটে দুর্ভাগ্যের কারণেই দ্বিতীয় গোলটি পায়নি এভারটন। লেইটন বেইনসের ফ্রি-কিক প্রতিহত হয় চেলসির গোলপোস্টে লেগে। সূত্র:রয়টার্স।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।