বাবারা আমার নাতির জন্য একটা জাম্পার দ্যাও। জাম্পারের অভাবে নাতিডা এস্কুলে যাতি পারে না। এভাবেই বলছিলেন দাদি বয়সী একজন ভদ্র মহিলা।
অনেকেই আমাদের দিকে ছুটে আসছিলেন, কেও আমাদের বয়সী ,কেও বাবা মার বয়সী, আমার কেও দাদি নানিদের বয়সী। সবারই চাওয়া একটা গরম কাপড়।
শীতবস্ত্র পাওয়ার পর ওদের চোখেমুখে যে আনান্দ দেখেছি তা প্রকাশ করার ভাষা আমার জানা নেই।
গতদুইদিন ধরে আমরা কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের কয়েকজন বন্ধু মিলে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে চলছি। প্রথমে মজম্পুর গেট হয়ে মজম্পুর ইউনিয়ন , তালবাড়িয়া ইউনিয়ন, কুষ্টিয়া বড়বাজার বাধসনলগ্ন চরাঞ্চল, কুষ্টিয়া রেলস্টেশন সহ প্রভৃতি জায়গায় শীতবস্ত্র বিতরণ করি।
এটা ছিল আমাদের প্রথম সফল উদ্যোগ। আমরা কিছুদিনের মধ্যেই ডাক্তার বন্ধুদের নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটা চিকিৎসা ক্যাম্প করবো ।
চিকিৎসা সেবা এবং জনসচেতনা বাড়ানোই হবে আমাদের লক্ষ্য।
প্রথম থেকেই যেসব বন্ধু উৎসাহের সাথে জড়িত ছিল তারা হল প্রকৌশলী সাব্বির, কৃষিবিদ হাফিয, ডাঃ রুমন, মেজর চয়ন , ব্যাংকার শিবলি , সুব্রত, মধু, তন্ময় ও চুয়েট লেকচারার রাসেল।
এছাড়াও দেশের বাইরে থেকে বন্ধু প্রকৌশলী জুয়েল ,প্রকৌশলী জোহা বড়ধরণের ফান্ড দিয়ে সহযোগিতা করেছে। বিদ্যুৎ, বাপ্পি, প্রকৌশলী জনি, মস্তফা, আর্কিটেক্ট সজল সহ আরও অনেক বন্ধুর আন্তরিক সহযোগিতায় আমাদের উদ্যোগ সফল হয়েছে।
বেঁচে থাকুক মানবতা, বেঁচে থাকুক মানুষের প্রতি মানুষের মমতা, ভালোবাসা।
এভাবেই একদিন আমরা এগিয়ে যাব। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।