ভালোবাসার ঊর্বশী বুকে লেখা আছে এক নাম- সে আমার দেশ, আলগ্ন সুন্দর ভূমি- বিমূর্ত অঙ্গনে প্রতিদিন প্রতিরাত জেগে ওঠে তার উদ্ভাসিত মুখ
এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যাচ্ছে দেশ, অস্থিরতা বাড়ছে সমাজ-সংসারে। এ সমাজ ব্যবস্থায় নিত্য জীবন চলা আরও হয়ে উঠছে অনিশ্চিত। দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে স্বল্প আয়ের মধ্যবিত্তের দিনযাপনে উঠছে নাভিশ্বাস। রাজনৈতিক নেতাদের অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত দেশটাকে খুবলে খাচ্ছে। একদিকে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার প্রবণতা অন্যদিকে ক্ষমতা পুনরোদ্ধারের চেষ্টা।
আড়ালে আবডালে বিদেশী প্রভুরা কলকাঠি নাড়ছে। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা তাদের এ দেশের অস্থিরতায় পাঠাবে তারা শান্তি মিশন। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরা এদেশের ব্যবচ্ছেদ করবে শান্তির ধ্বজাধারী গণতন্ত্রের কান্ডারীরা।
আবার শুরু হচ্ছে হরতাল-অবরোধ। গাড়ি-ঘোড়া চলবে না, আমদানি-রপ্তানি-ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে, স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত খুলবে না।
সব কিছুই অচল হয়ে যাবে কিন্তু নেতাদের কিছুই হবে না, কিচ্ছুই আসবে না যাবে না। কারণ তাদের আছে সুইস ব্যাংক, ইউরো, পাউন্ড, ডলার। তাদের ছেলেমেয়ে এদেশে পড়ালেখা করে না বা সবাই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। দেশের এ অবস্থার জন্য দায়ী একমাত্র রাজনীতিকগণই। একেই কী বলে চৌদ্দ কোটি জনগণের সংগ্রাম, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা বা পঁয়ত্রিশ বছর পরে এসে স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন!?
নিজের আখের নিয়ে চিন্তাভাবনা করিনি কখনও।
এনজিওতে চাকরী করতে গিয়ে নিজের আসল পেশার মূল্যায়ণও করিনি। তদুপরি করি লেখালেখি, হৃদয়ের চর্চা। এ নেশা আমার বৈষয়িক দিকটাতে আরও ভোঁতা করে দিয়েছে। সারাদিনের মাঝে এক-দুইবার ব্ল্লগে না এলে যেন ঘুমই আসে না। এ ব্যাপারটা আরও ভালোভাবে বুঝেছি গতকাল।
সামহোয়্যারইন-এর ডাউন টাইম চবি্বশ ঘন্টার সময়টাকে আমার কাছে সাত দিনের মতো মনে হয়েছে। মনে হয়েছে কতোদিন ব্ল্লগের লেখা পড়ি না, মন্তব্য লিখি না!
বলছিলাম নিজের বৈষয়িক দিকের কথা। নিজের পেশার অবমূল্যায়ণের কথা। না হলে এতোদিন ঢাকা শহরে বাড়ি-গাড়ি হয়ে যেতো। তাই দেশের এ অবস্থায় নিজের ভিতরটা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে সারাক্ষণ।
টিকে থাকতে পারবো তো ঢাকা শহরে? নাকি ফিরে যেতে হবে আবার সেই গ্রামে। নিজ গ্রামে আমার নিজের জীবনযাপনে অনীহা নেই। জনসেবা করলে জনগণই আমাকে খাওয়াবে। তারপরও থেকে যায় ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার চিন্তা। নিজের লেখালেখি হয়তো থামবে না।
কিন্তু কী হবে নেটে আমার লেখালেখির ব্যাপারটা! ছেলেমেয়ের পড়ালেখার ভবিষ্যত-ই বা কী হবে- এর উত্তর জানা নেই কোনো। সব কিছুই চলে যাচ্ছে অনিশ্চয়তায়!
19.12.2006
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।