ইসু্যভিত্তিক আন্দোলন
একাত্তরের 16 ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে ঘাতক রাজাকার-আলবদরদের হাতে নির্মমভাবে নিহত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার অসংখ্য মানুষ এসেছিলেন রায়েরবাজার স্মৃতিসৌধে। তাদের পাশাপাশি এসেছিলেন অনেক শহীদ পরিবারের অসহায় পরিবার-পরিজন ও আত্দীয়-স্বজন। বেদনাবিধুর পরিবেশে স্মরণ করেছেন শহীদ বীর সন্তানদের। রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি নানা আয়োজন ছিল শিশু সংগঠন ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের। কেন্দ্রীয় খেলাঘর স্মৃতিসৌধের উত্তর প্রাঙ্গণে আয়োজন করেছিল কৃত্রিম বধ্যভূমি। সংগঠনের সদস্যরা বধ্যভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিথর শব হয়ে শুয়ে থেকে সৃষ্টি করেছিল একাত্তরের সেই নির্মম আবহ। ঘাতকরা সেদিন যেভাবে বুদ্ধিজীবীদের রায়েরবাজারের বধ্যভূমিতে ফেলে রেখে গিয়েছিল আজকের শিশুরা হুবহু সেই মর্মান্তিক দৃশ্য তৈরি করে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও হানাদার বাহিনীর পাশবিক নির্মমতার কথা।
আমরা এখনো দেখতে পায় সেই দিনের ঘাতকরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে স্বাধীন এদেশের মাটিতে। কিন্তু যাদের আত্মত্যাগে এদেশ স্বাধীন তাদের অবস্থান কোথায়? তারা কেন বুক ফুলিয়ে, মাথা উঁচু করে চলতে পারছেন না? এর জন্য দায়ী কে? আসুন রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও হানাদার বাহিনীর দোসরদের শিকড় চিরতরে মুছে ফেলতে একতাবদ্ধ হই।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।