আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যেমনে পা দিলাম বাইশে

আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুস্পের হাসি

কাল ছিলো আমার জন্মদিন। 12 ডিসেম্বর রাত 11 টা 50 মিনিটে আমার খুব ভালো এক বন্ধু ফোন করলো। সে আর কাউকে সুযোগ দিতে চায় নি। প্রথম সুযোগটা। ঠিক 12 টা 35 এ সে ছাড়লো ফোন।

এরই মধ্যে এসে গেছে গোটা দশেক এসএমএস। সব এসএমএসকারীর একই প্রশ্ন ফোন ব্যস্তকেন? আমার ছোট বোনটি তো অভিমান করে এসএমএসে শুভেচ্ছাই জানায় নি। শুধু লিখেছে- ফোন কেন বিজি, দাদা? প্রথম ফোনটা রাখার পর রাত আড়াইটা পর্যন্ত আরো গোটা সাতেক এসএমএস এবং 5 টি কল রিসিভ করতে হলো। তারপর ঘুম। ভোরের ঘুমটা ভাঙলো বড় আপার কলে।

তার ভাইয়া, দুলাভাইয়ের ফোন। ক্যাম্পাসে ঢুকলাম সাড়ে 9 টায়। যাদের মনে আছে তাদের শুভেচ্ছা পেলাম। দুপুর পর্যন্ত ব্যস্ত ছিলাম ক্যাম্পাসে নিউজ সংগ্রহে আর ভর্তিচ্ছুদের সহযোগীতা করতে। আর সারাদিন মিলিয়ে কত ফোন যে রিসিভি করলাম তার সংখ্যা মনে করতে পারছিনা।

আর এসএমএস সব মিলিয়ে 43 টি এসএমএস। যার মধ্যে গোটা পাঁচেক ছিলো অপরিচিত নাম্বারের। তবে তারা একটি পরিচয় দিয়েছেন। - তারা নাকি আমার ভক্ত। অবাকই হলাম।

আমার আবার ভক্ত! অফিসে কাউকে বলিনি। হঠাৎ কারো ফোনে জন্মদিনের কথা শুনে সহকর্মী কেএস মান্না আনালেন একটা কেক, 3 টা মোবাতি, একটা ধূম্রকাঠি এবং দুটো রজনীগন্ধ্যার স্টিক। কেক কটতে হাতে ধরালেন অফিসের ভোতড়া চাকু। নিউজ করতে করতে শুধু এক পলক গিয়ে কেকটা কাটলাম। যেনো মুরগীর 2 দিনের বাচ্চা জবাই করছি।

তারপর আবার নিউজে। রাতে রুমে ফিরে মেসমেটদের উষঞ অভিনন্দন আর কিছু চকলেট। রাত 12 টার আগে আরো কিছু ফোন। শেষ হলো আমার আরেকটি 13 ডিসেম্বর।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.