চলতি অর্থবছরে (২০১২-১৩) মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৩ শতাংশের কম হবে না বলে মনে করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এমনকি অর্থনীতির সব খাত সঠিকভাবে হিসাবের মধ্যে আনতে পারলে তা ৬ দশমিক ৭ থেকে ৬ দশমিক ৮ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াতে পারে।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ইউএই-বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইউবিইসিএল) লভ্যাংশ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর বোরো, আলু ও ভুট্টার উচ্চ ফলন হয়েছে। একই সঙ্গে সরকারি খাতে বিনিয়োগ বেড়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ।
এসব বিবেচনায় নিলে জিডিপি কমপক্ষে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হবে, এমনকি তা ৬ দশমিক ৭ কিংবা ৬ দশমিক ৮ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াতে পারে। ’
মুহিত বলেন, ‘বাজেট উপলক্ষে প্রকাশিতব্য অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ হবে বলে প্রাক্কলন করেছে। আমার মতে, বিবিএসের এই হিসাব রক্ষণশীল। এ ছাড়া এখানে যেসব হিসাব ধরা হয়েছে, সেগুলো আট মাসের। ’
বাসসের এক খবরে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের বাজেটে সরকার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ৭ দশমিক ৩ শতাংশ।
বিগত চার বছর ৬ শতাংশের ওপরে অব্যাহতভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হওয়াকে মহাজোট সরকারের অন্যতম সাফল্য বলেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেটের আকার প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, বাজেট উচ্চাভিলাষী হবে। মন্ত্রণালয়গুলোর লক্ষ্যও উচ্চাভিলাষী। আর এটাই স্বাভাবিক।
অনুষ্ঠানে ইউবিইসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আকবর ২০১২ সালের পঞ্জিকা বছরের প্রায় ১৪ কোটি টাকার লভ্যাংশের চেক অর্থমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
এ সময় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এম আসলাম আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইউএই-বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের শেয়ার ৪০ শতাংশ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।