আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অযথা!



এতদিন ঘ্যানঘ্যান করতাম একটা চাকরীর জন্য এখন সত্যি যখন একটা চাকরীর সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে তখন আমার সব উৎসাহ হঠাৎ কোথায় উবে গেল! শরীর খারাপ হয়ে বাসায় পরে আছি এই কারনেই হয়ত। শরীর ভাল থাকলে কি ভাল লাগত আবার দিনের পর দিন বাসায় বসে থাকতে? ভাস্কর কে ভয়ে ভয়ে বল্লাম যে এখন আর চাকরী করতে ইচ্ছা করছে না, মনে হচ্ছে বাসায় শুয়ে বসে দিন কাটান এমন কিছু খারাপ না,,,সে বলে তাহলে কইরো না! আমি কি সাধে এই লোকটাকে এত পছন্দ করি? যে পরিমান জ্বালাইছি এই চাকরী না পাওয়া নিয়ে! একটা কড়া ধমকের ভয়ে ছিলাম! এইসব চিন্তায় হঠাৎ মনে হল যখন হলে ছিলাম,,সারাদিন তো একা একাই কাটাতাম,,,তখন কেন এরকম বোর লাগত না? কারন মনে হয় হল-টা নিজেই। সকালে ঘুম থেকে উঠে অবধারিত ভাবে নাস্তা মিস্ ,, 11 টার সময় আমার জন্য ক্যান্টিন খুলে রাখার কোন কারন-ই ছিলনা। নিচে নামতাম স্ট্রেইট টু বাবলি-র রুম,,,সেখানে গেলেই দলবল পাওয়া যেত,,,,জুঁই,চৈতি,ইলোরা কেউ না কেউ তো থাকতই,,ওদের-ই কেউ একজন আমাকে বগলদাবা করে নিয়ে যেত ওদের কোন কাজে সঙ্গি করে। আমি বেকার মানুষ,,,একটু ঢং ঢাং করে রাজি হয়ে যেতাম,,,সেই বের হওয়া তারপর সারাদিন টো টো করে একদম সন্ধ্যার পর ফেরা,,তখন শুরু হত একলা থাকা,,বাবলি টিউশনে,,তুহি ডেইটে,,আমি একা একা মাঠে হাটতাম,,,নাহয় বিরাট রেইন ট্রি টার নিচে শুয়ে শুয়ে তারা দেখতাম,, তারপর যখন সাড়ে নয়টা বাজতো তুহি বাবলি ফিরতো,,,শুরু হত আমাদের আড্ডা,,,কোন কোন দিন সারারাত,,আবার কোন কোন দিন 12টা-য় ওরা চলে যেত ঘুমাতে,, ভালোই ছিলাম,, কোন কাজ নাই,,বেকার মানুষ কিন্তু সারাদিন কত কত ব্যস্ততা! এখন সারাদিন আর কাটতেই চায়না,,ঘুম থেকে উঠে এখন বাবলির রুমে যেতে যেই পরিমান সময় লাগবে সেটা ভাবলে আর যাবার উপায় থাকেনা,,বসে বসে অপেক্ষা বিকালবেলার জন্য,,সময় আর কাটেনা,,এ-ঘর ও-ঘর করি,,এ-সাইট ও-সাইট করি,,এ-বই ও-বই,, কিচ্ছু ভাল্লাগেনা,,কিচ্ছুনা,,,,, নাহ্, চাকরী টা নিয়েই ফেলব!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।