অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা
একটা আক্ষেপ থাকবে সবার, ইশ আর কয়েকটা রান, কেউ হিসাব করে বলবে যদি 190 হতো তবেই আজ হারানো সম্ভব ছিলো।
বাংলাদেশ ইংল্যান্ড খেলা নিয়ে বলতে গেলে ছোট একটা গল্পদিয়ে শুরু করতে হবে-
লন্ডন চিরিয়াখানায় জন্ম নিলো এক সিংহ, জন্মসূত্রে ব্রিটিশ নাগরিক- বিশ্বের সবচেয়ে বড় চিরিয়া খানার ভেতরে অনেক প্রাণীই আছে- পাকে চক্রে এক রয়েল বেঙ্গল টাইগার খাঁচা ভেঙে বেরিয়েছে- আকাশে পূর্ণিমা চাঁদ- রক্তে খলবল খলবল করে- আমিষের নেশায় পাগল হয়ে ঘুরছে টাইগার-
ঘুরতে ঘুরতে সেই সিংহের খাঁচার সামনে দাঁড়ালো টাইগার মামা- ক্লান্ত সিংহ থাবায় মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে- এলোমেলো ঘুম- খাঁচার বাইরে ল্যাজ পড়ে আছে- সেটা দেখে টাইগার মামার আমিষাশী বাঘ হয়ে যায়- শালার সিংহে হোগা মারবো- কায়দা করে খাঁচার সামনে দাঁড়ায়- তবে খাঁচার শিক আর হোগা একই সরল রেখায় বলে কোনো ভাবেই কাঙ্খিত এলাকায় পৌঁছায় না- বেশ কায়দা কসরত করে অবশেষে হাল ছেড়ে চলে আসে-
ইশপের গল্পের একটা মোরাল থাকে- একটা শেষ বক্তব্য থাকে- আঙ্গুর ফল টক এই ধাঁচের- এখানেই থাকতেই হবে- এই গল্পে টাইগার গজরাতে গজরাতে খাঁচার সামনে থেকে চলে আসে-
শালার একটা কনডম থাকলে আইজকা সিংহের হোগা মাইরা খাল কইরা ফেলাইতাম-
বাংলাদেশের হারার প্রধান কারণ দল বাছাই- জাভেদ আর তামিম প্রথম 20 ওভারে তেমন বড় স্কোর দিতে না পারলেও ওরা যা করতো সেটা শাহরিয়ার- বাশার- তামিম করতে পারে নাই একদিনও- জাভেদ থাকলে তামিম স্বাভাবিক খেলতে পারে না- এটা অনেকে বলছে আমাকে- আমার কথা তামিম স্বাভাবিক অবস্থায় ছাগলের মতো খেলে- পিঞ্চ হিটার হলেও এখনও টেকনিক তেমন সলিড না- কালকে ও আউট হয়েছে ওর নিজের দূর্বলতায়- বুকের সমান উচ্চতার বলে ওর কেনো বাংলাদেশের সব ব্যাটসম্যানের সমস্যা হয়- এইটা বুঝে খেলতে হতো- কিন্তু নিজের দূর্বলতা না বুঝে খেলা সবগুলো মানুষই যেদিন কপালে থাকে সেদিন খুব ভালো কিন্তু বোলার একবার দূর্বলতা বুঝতে পারলে কোনো দিনও আসলে তেমন ভাবে খেলতে পারে না-
জাভেদ থাকলে তামিম গুটিয়ে নিলেও নিজেকে- ওরা অন্তত বলের উপরের যে আস্তরটা বলকে স্কিড করায় পীচের উপরে সেই প্রলেপটা মুছে যাওয়া পর্যন্ত খেলে আসে-
জাভেদ স্লো খেলে- জাভেদের হাতে হিট নাই- জাভেদ বল বাছাই করে মারার বল পেলে মারে কিন্তু স্টাইক রোটেট করতে পারে না- এইসব চোদনের আলাপ বাদ দিয়ে সহজ কথা হইলো জাভেদ পিঞ্চ হিটার না- ও যেইটা করে তাটে পাওয়ার প্লের সুযোগ নিতে পারবে না বাংলাদেশ- এসব সত্য কথার চেয়ে বড় সত্য হলো ও বল ছাড়তে পারে- বাংলাদেশের অধিকাংশ ব্যাটসম্যান যেটা পারে না- বল ছাড়া- এবং এ জন্যই অন্তত শেষ দুই ম্যাচে রান করার চাপে হিট নিতে গিয়ে ছাগলের মতো আউট হয়েছে- তবে প্রথম পাওয়ার প্লে পর্যন্ত টিকে ছিলো-
শাহরিয়ার নাফিসকে অন্তত এক বছর নির্বাসনে পাঠানো উচিত- এর পরও জাভেদকে বাদ দিয়ে এই পিচে নাফিসকে খেলানোর কোনো অর্থ খুঁঝে পাওয়া গেলো না-
গত কালের পিচ ভালে ৈলো- যারা উচুতে উঠা বল ভালো খেলতে পারে- যাদের ব্যক ফুটে গিয়ে খেলতে সমস্যা হয় না তারা এই পীচে খুবই ভালো খেলবে- এমন কি পীচের বাউন্ডও ইভেন ছিলো- এমন পিচ যেখানে বল করার জন্য পেসাররা পাগল হয়ে থাকবে-
একটা দলের প্রথম 7 ব্যাটসম্যানের 3 জন আউট হয়েছে স্টুপিডের মতো- বাকি 3 জন আউট হয়েছে নিজের টেকনিক ভুল ছিলো এ জন্য- এর পর যদি সেই দল কোনো ম্যাচে হারে সেটার দায়ভার বহন করতে হবে সিলেকটরদের- তারা এমন দল কেনো বাছাই করলেন-
বাশার আর নাফিস- অধিনায়ক এবং সহ অধিনায়ক আউট হয়েছেন পর পর- এবং দুজনই ছাগলের মতো -
বাশারকে রান আউট হইতে দেখে একটা কথাই মনে আসলো= চোদানির পোলা কি দেখে খাড়ায়া খাড়ায়া- ঐ খানে কি মজমা দেখায়-
মুশফিকুর রহিম আউট হয়েছে টেকনিকের দোষে- ও লেগ স্ট্যাম্প পর্যন্ত কভার করতে পারছে- ওর অফ স্ট্যাম্প প্রথম থেকেই অরক্ষিত ছিলো-
তামিমের আউটও নিজের টেকনিকের সমস্যা-
আফতাব আউট হয়েছে যে বলে সেটা ও ঠিক ভাবে খেললে হয়তো এই সমস্যা হতো না- শরীর থেকে দুরে গিয়ে খেললে এইসব সমস্যা দেখা যাবে-
একমাত্র আশরাফুল যে বলটাতে আউট হয়েছে সেটায় ওর কিছুই করার ছিলো না- এই একটা উইকেট ইংল্যান্ড আদায় করেছে- এছাড়া বাকি গুলো আমরাই দিয়ে আসছি-
মাশরাফির আউট দেখে দুঃখ হলেও বলতে পারি তার কাছে এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করি নাই-
এরপরও বাংলাদেশ ভালো করলো কিন্তু করলো এমন ভাবে যেই আক্ষেপটা প্রতিটা লো স্কোরিং ম্যাচে আমরা করি- রান কম ছিলো এর পরও যেরকম চাপ তৈরি করেছিলো- অসাধারণ বোলিং করলো সেটা আসলে কখনই ম্যাচ জেতার জন্য যথেষ্ট ছিলো না-
ইংল্যান্ড হারার মতো পরিস্থিতিতে পড়েছে এটাই আশ্চর্য বিষয়- বাংলাদেশের বোলিংএর কৃতিত্ব এখানেই যে তারা খুব বেশী সুযোগ দেয় নি- এই একটা ভালো দিক ছাড়া আসলে পুরো খেলায় আর কিছু নেই-
আমাদের আক্ষেপের কিছু নাই-
যেই দলের প্রথম ছয় জন ব্যাটসম্যা ছাগলের মতো আউট হয় সেই দল রান কম করলো বলে আক্ষেপ করাটা নিতান্ত অনুচিত-
বাশার আর নাফিসের পদত্যাগ নিজ বিবেচনায় করা উচিত-
আমার মনে হয় আমাকে যদি যেকোনো 11 জন দেওয়া হয় 1 মাস প্রাকটিস করার পর এই বাংলাদেশ দলকে আমি হোয়াইট ওয়াশ করবো- 5 ম্যাচের সিরিজ- 3 ম্যাচের সিরিজ- 7 ম্যাচের সিরিজ- হোয়াইট ওয়াশ হবে তারা-
তাদের দূর্বলতাগুলো জানা শুধু সেই দূবলতার সুযোগ নেওয়া-
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।