আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অযথা

অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা

বোধ হয় ক্লোজ আপ ওয়ান বেশ বড় মাপের কিছু হবে, বেইলি রোডের আশে পাশে দেখলাম পোষ্টার লাগিয়েছে রুপক কিংবা এই নামের কোনো এক বেকুব যে 10ই নভেম্বর গান গাইবে, সে সবার এসএমএস চেয়েছে-মেজাজটা খিচরে যাওয়ার মতোই ঘটনা, এরপর দেখলাম সেগুনবাগিচার সামনে দেয়াল লিখন, ফালু ভাইকে চাই- চাইছে মৎস্যজীবি দল, ভীষন রকম চমকে যাওয়া অবস্থাআমার মতিঝিলের আশে পাশে ঝিল নাই কোনো, আর এই উষর শহরে মৎসজীবি দল কেনো কি করছে বুঝলাম না মোটেও। রাজনীতিকে আয় উপার্জনের ব্যাবস্থা ধরে নিয়েছে অনেকেই, এদের অনেকেই সন্ত্রাসী, অনেকেই গড ফাদার, রাজনীতিনির্ভর জীবিকার কারনে এরাই দুর্ন ীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, দিতে হবেই, একই জলায় সবাই কাঁকড়া ধরলে একটা ঐক্য তৈরি করতেই হয়, এই জায়গাটাতে, চুতিয়ামিতে আওয়ামী লিগ, বিএন পি জামাত জাতিয় পার্টি এমন কোনো ব্যাবধান নেই, সব বাঞ্চোতই একই কাজ করে। রাজনীতি নিয়ে বেশ বিরক্ত আছি কয় দিন ধরে, পরশু দিন অবরোধের শুরুতে ঢাকা শহরে পায়ে হাঁটাহাঁটি করলাম, সামগ্র ীক অবরুদ্ধ শহর,বিচ্ছিন্ন এবং উদাসীন, হরতালের আমেজ গায়ে মেখে ঢাকা শহর রোদ পোহাচ্ছে। চার দলীয় ঐক্যজোট বুদ্ধিমান তাই তারা কোনো রকম প্রতিরোধে যায় নি, পর পর 2 দিন এমন নিসপ্রান গেলো। এর মধ্যে একদিন গেলাম কার্জন হল, বাগান আগের মতোই সুন্দর, কার্জন হলের মালীরা কাজ ভুলে নি, গেটের সামনের রাধাচুড়া গাছ এখন ফুলহীন, বসন্ত না আসলে তারা ফুল ফোটায় না, এপ্লাইড ফিজিক্স বিলডিং রং করছে, কটকটে লাল রং, জঘন্য লাগলো দেখতে।

আনার কলির সামনের দোকান থেকে 1 টাকার সিঙ্গারা কিনলাম 10টা। দাম বদলায় নি, টাকার অবমুল্যায়নের সাথে সাথে সিঙ্গারার সাইজ ছোটো হয়ে গেছে, এখন ওটার সাইজ যেমনই হোক 1 টাকার সিঙ্গারা বলে কথা, টি এস সির সামনে দিয়ে গেলাম বহুদিন পর, পুরা জায়গাটার অবনতি হইছে, মামুর দোকান আর নাই, বরং বেশ আড্ডাবাজির জন্য সুবন্দোবস্ত করার চেষ্টা হয়েছে, পুলিশরা দিব্য গ্যাঁট পাকিয়ে বসে আছে, গাচের গোড়াগুলো সুন্দর করে বাঁধাই করা হয়েছে, ভীষন রকম নিস্পৃহ হয়ে পড়ে আছে, শাহবাগের সামনের দোকাংুলোও শহরশোভা কর্তনের নির্মম শিকার, বিশ্ববিদ্যালয়ের আগের চেহারা আর নাই। মধুতে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও সাহস পাচ্ছি না, যদি আগের অবস্থা না দেখি একটু কষ্ট লাগবে, আমাদের স্মৃতিগুলো চেনা আবহ নিয়েই গড়ে উঠে, সেই আবহ বদলে গেলে আমাদের স্মৃতির মৃতু্য হয়। এই বিষয়টাই দেখছি আসলে গত কয়েক দিন ধরে, ঢাকা শহরে পায়ে হাঁটার কারনও ছিলো এই একটা, আস্তে আস্তে আমার স্মৃতির মৃতু্য দেখা। কাকরাইলের সামনের ঝঞ্ঝাট নেই,সেই আদুল গায়ের মুসুল্লি সকল, সেই চিল্লাপ্রেমি জনগন যারা পরিবারের হক আদায় না করে হুদাই রাস্তায় নেমে যায় সেই সকল মানুষকে তেমন সরব দেখলাম না, ইয়াজ মিয়া একটা বেল্লিক বেহায়া, ওর জিভ চাটতে চাটতে এখন কাগজের মতো খসখসে, সেই খসখসে জিভে সে অনবরত চাটছে বাংলাদেশের ভবিষ্যত, নির্ধারিত ছকের বাইরে যেতে পারছে না, আমাদের উন্মাদ আজিজকে লাগম দেওয়া দরকার, টনক নড়ানোর জন্যও রক্ত চাই, মিছিলে যেই ট্রাকটা উঠে গেলো পুলিশের এটা অনিচ্ছাকৃত আমি বিশ্বাস করি না মোটেও, এমন অনিয়ন্ত্রিত মনে হয় নি সেই ট্রাককে, বরং একটা দানবীয় উল্লাস ছিলো, ঢাকা শহরের অর্ধেক পুলিশ অফিসার বি এন পির রিক্রুট, তারা তাদের দলীয় আনুগত্যকে সম্মান করছে, বলতে ইচ্ছা হয়, সব কটা খানকির ছেলেকে, মাকে বাজারে তুলে বসে আছিস ভালো তবে তোর শরীরে যেই উর্দি সেটাও আমাদের টাকায়, তোর হাতের ওয়াকি টকি, ট্রাক, চাকা, টায়ার সবটাই জোগার করি আমরা আমাদের টাকায় তোর ভরন পোষন চলে, এর পর খানকির ছেলেরা ক্যানো এইরম করিস তোরা, আমাদের সেবা করার জন্যই তোদের রাখা হয়েছে, 4 দলীয় ঐক্যজোটের কোনো খানকির ছেলে পকেটের টাকা খরচ করে তোদের বেতন দেয় না, দেয় সাধারন জনতা, এইটার জন্য হইলেও সামান্য সেবাধর্ম মাথায় রাখ, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় মনে রাখ এই যে বিরোধি দল ওরাও তোর বেতনের 70% সরবরাহ করছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।