একটি কুকুর আরএকটি বিড়াল বিড়াল। তাদের মধ্যে বেজায় ভাব। দুজন দুজনকে ছাড়া থাকতে পারে না। বিড়ালকে ছাড়া কুকুরের কোন খাবারই মুখে রোচে না। দুজনে মিলে যা কিছু চুরি চামারী করতো ভাগ বাটোয়ারা করে খেত।
একদিন বিড়াল কুকুরকে বলল, দোস্ত বহুদিন ভালো কিছুখাই না। একটু ভালো খাবারের খোঁজ জানো কি? কুকুর বলে, পাশের গ্রামে আগামীকাল একটি বিয়ের অনুষ্ঠান আছে। ওই অনুষ্ঠানে যাবার জন্য আমার পূরনো বন্ধু মি. হাউ দাওয়াত দিয়েছে। বিড়াল তৎক্ষণাত বলল, বন্ধু কুকুরের আবার দাওয়াত লাগে নাকি?
-না লাগে না । তবে কুকুর হলেও আমার তো প্রেসটিজ আছে।
যাহোক ওই । অনুষ্ঠানে যাবে কি না বল।
বিড়াল মিনমিনে গলায় সম্মতি জানাল। পর দিন পাশের গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে বিড়াল ও কুকুর পেট পুরে মাছ মাংস খেলো। মিস্টার হাউ বিড়ালকে খুব আদর যত্ন করল এবং সুযোগ বুঝে আবার আসতে বলল।
বিকেল বেলা বিড়াল কুকুরকে বলল, দুজনে তো বেশ খেলাম। এবার চলো আমাদের গ্রামে যাই- স্নধ্যা হয়ে এলা।
কুকুর গম্ভীরভাবে বলল, দাঁড়াও আমার পাওনাটা নিয়ে যাই।
বিড়াল আশ্চর্য হয়ে বলল, খাবার পেয়েছ এটাই তো বেশি , আবার পাওনা কিসের?
কুকুর বলল দোস্ত তুমি এখানে একটু দাঁড়াও আমি পাওনাটা না নিয়ে সুখ পাচ্ছি না। পাওনা নিয়ে এখনই আসছি।
কুকুরের কথার আগামাথা না বুঝে বিড়াল পথের পাশে দাড়িয়ে থাকলো। কুকুরটি তখন আস্তে আস্তে বিয়ে বাড়ির রন্ধনশালার মধ্যে ঢুকে পড়ে খাবারের হাঁড়িতে মুখ দিল। অমনি দুতিন জন লোক লাঠি দিয়ে আচ্ছামত ধোলাই দিল। লাঠির ধোলাই খেয়ে মাজা বেঁকিয়ে এসে বিড়ালকে বলল, দোস্ত চলো আমার পাওনা পেয়ে গেছি। বিড়াল চোখ মিটি মিটি করে চেয়ে কুকুরের সাথে হাটতে লাগলো।
করিম সাহেব তার ছোট্ট মেয়েকে এই গল্প শোনানো শেষ হতেই টিভিতে খবর প্রচারের সময় হলো। তিনি তার মেয়ের কপাল চুমু দিয়ে বললেন, মামুণি কালকে আবার গল্প শোনাব, টিভিতে খবরটা দেখে আসি- সিইসি এমএ আজিজ বিদায় নিচ্ছেন কি না?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।