সযতনে খেয়ালী!
বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত সোয়া 9টা। ভেতরে ঢুকেই মনে হলো, লে বাবা! এ যে একেবারে বাঘের গুহার মুখে এসে পড়লাম। ঘর ভর্তি মানুষ, যার সামনেই পড়ছি সে-ই দুইটা কথা শুনিয়ে দিচ্ছে। কোন রকমে ঘর থেকে তোয়ালে টা তুলে নিয়ে সোজা বাথরুমে!
শাওয়ারে দাড়িয়ে ঢাকাই অলি-গলিতে কাটানো সময় স্মৃতিগুলো রোমন্থন করতে করতে বেশ ফ্রেশ একটা "জামাই গোসল" দিয়ে বের হয়ে কাঁধে ভেজা তোয়ালেটা নিয়েই বসে গেলাম টিসিগুলো সাইন করতে। এর মাঝে মা এসে বার কয়েক প্যান প্যান(!) করে গেলো সিক্ত চোখে।
বড় ব্যাগটা খুঁজে পাচ্ছি না, ওটা আগেই গন্তব্যে রওয়ানা করে দিয়েছে আমার বিলম্বে। ভাইয়ার ঝারি খেয়ে হ্যান্ড ব্যাগ খুঁজেও আমার সবুজ বইটা পেলাম না কোথাও। মাথা কাজ করছে না, ভয়ে কিংবা খারাপ লাগায় না, একটা উত্তেজনায়। "ইউরেকার" চাপা উত্তেজনা!
বইটা পাওয়া গেলো সাথে টিকেটও। যেখানে থাকার কথা, ছিলো সেখানেই।
খেতে বসে কেনো জানি গলা দিয়ে কিছুই নামলো না। মায়ের শত জোরাজুরিতেও কোন কাজ হলো না। আবশেষে বিশাল এক পলটুনের সাথে বহর রওয়ানা হলো ভায়া ক্যান্টনমেন্ট, পাছে মহাখালি কিংবা বনানীর ট্রাফিক গুনতে হয় এই ভয়ে।
ফরমালিটি যা করার আগেই শেষ। আমি এলাম, দেখলাম এবং জয় করলাম ভঙিতে সব সেরে প্রিয়জনের চোখের পানি মাড়িয়ে কাঁচের দেয়াল পেরিয়ে গেলাম।
অদৃশ্য হবার আগেই পিছনে না তাকিয়ে হাতটা নাড়িয়ে বিদায় জানালাম। তারপর বিভিন্ন ঘূর্ণী পথে ঘুরতে ঘুরতে এক সময় মনে হলো, "আমি ইহাকে পাইলাম... আমি ইহাতে উপবিষ্ট হইলাম..."
ঠিক 11:55 তে সিংহপুর গামি উড়োজাহাজটি ছেড়ে গেলো ঢাকার মাটি। মিনিট বিশেক পর স্থিত হবার মুহুর্তে আমার মুগ্ধ হবার পালা। ইয়া বড় একটা চাঁদ আর তার আলোয় ঝলমল করা সাদা মেঘ গুলোর পাশে জানালার কাঁচে লেগে থাকা বৃষ্টির কণাগুলোকে বড়ই বেমানান লাগছিলো তখন।
শিরোনামার ছবিটা দেখে আমার সেদিনের অনুভূতির কথাটাই প্রথমে মনে এসেছিলো...!
ফটুকটার জন্য অবশ্য ইন্টারনেট কে ধন্যবাদ দেয়া যেতেই পারে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।