আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হৃদয়ে আমার গীতাঞ্জলী

উপজেলা পরিষদে গিয়ে জানতে পারলাম যে স্বয়ং এম.পি সাহেবের নির্দ্দেশে প্রু তঞ্চঙ্গ্যা আমার বিরুদ্ধে বান্দরবানে মানহানী মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সাম্প্রতিক বিভিন্ন লেখালেখির কারনে আমার উপড় পুলিশ ও সেনাবাহিনী নাখোশ। আড়াল থেকে সম্ভবত তারাই ইন্ধন জুগিয়ে প্রু কে ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে এই মামলা করতে যাচ্ছে। আলীকদমে সম্প্রতি দূর্বলের প্রতি সবলের নির্যাতনের ঘটনা,নিরাপত্তা হীনতার ঘটনা এবং ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে লেখার ঘটনা এবং বাঙালীদের সর্ম্পকে লেখার ব্যাপারে আমার বিরুদ্ধে সংখ্যা গরিষ্ঠরা তুষের অনলের মত জ্বলছে। তারা যত চক্রান্ত করছে তত আমি কঠোর মনোভাব পোষন করে লেখে যাচ্ছি।

আমি তাদের চক্রান্তে আমার বাবার রোষানলের শিকার হয়েছিলাম। তাদের চক্রান্তে আমার বড় ভায়ের রোষানলের শিকার হয়েছিলাম, যে নাকি মদ পান করে কত বার দা নিয়ে তাড়া করেছে তার কোন হিসেবে নেই। আমার আপনজনদের সবাইকে পর করে দিয়েছে এই চক্র। আজকে নিঃস্ব ও একাকী চলাফেরা করা মনের কত যে দুঃখ তা ভাষায় বলাবাহুল্য মাত্র। একদিকে স্বার্থলোভী সংখ্যা গরিষ্ঠ বাঙালী,অন্যদিকে সামাজ্যবাদী দালাল চক্র।

আমাকে নানা ভাবে ব্লাক মেইলিং করার চেস্টা করেছে সেই নারী দিয়ে কিংবা অর্থ দিয়ে। সেই ব্লেক মেইলীং এ যখন আটকানো সম্ভব হচ্ছে না তখন চলছে সর্ব মহলে নানা পায়তারা। আমি আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি নিরপেক্ষ থাকার জন্য। যে কোন পক্ষ পাতিত্ব করলে আজ হয়ত সমাজ সেবার কাজ সহ অনেক কিছু করতে পারতাম। বিবেক দংশনে তা করতে পারিনি।

সেই ৯০সাল থেকে হাজার হাজার চিঠি পত্র লেখেছি দাতা প্রাপ্তীর প্রত্যাশায়। বাংলাদেশে এমন কোন দাতা সংস্থা বা কুথনৈতিক মিশন নেই যেখানে আমার পত্র যায়নি। সম্ভবত স্থানীয় ভাবে আমাকে কোন অপরাধে জড়াতে না পারার কারনে তারা আমার থেকে অনেক দূরে রয়েছে কিংবা কোন তহবিল প্রদান করলে ও সুস্থভাবে কাজ করতে পারার পরিবেশ নেই বলেই দাতারা জেনে ও না জানার ভান করে আছেন তাই এই ব্যাপারে আমি কোন এনজিও করার আশা ও ছেড়ে দিয়েছি। এই সরকারের আমল শুরুতে আমি চাকুরী হারিয়েছি। নিজের সেগুন বাগান ছিল,তাও প্রতারনার মাধ্যমে লুটে নিয়েছে।

কোন বিচার পাইনি। তিনটি ঠিকাদারী লাইসেন্স ছিল, উন্নয়ন বোর্ডে কাজ পাবার পর কাজ করা সত্বেও বিল বাতিল করে দিয়েছে। এই সরকারের প্রথম আমল শুরুতে বিভিন্ন মিডিয়া কর্মীদের সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ইঞ্জিনিয়ারীং ইন্সটিটিউটে বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে যোগদানে সবাই সিকিউরিটি পাশ পেলেও আমাকে তা দেয়া হয়নি। নিজের অর্থ ব্যয়ে এতদূর যাতায়াত করে কোন সভায় যোগদানের অনুমতি না পাওয়া বড় অপমান বোধ বটেই।

মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর লোকজনের আঘাত এখান থেকে শুরু। তারপর নিজের এম,পি কে না পাওয়া,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের না পাওয়া,নিজের এলাকায় প্রশাসন ও চেয়ারম্যান মেম্বারদেরকে না পাওয়া এবং আপন লোকদের পর করে দেয়া কত দুঃখ,কত অপমান। এই দুঃখ শুধু আওয়ামীলীগ নয়। এই সংখ্যা গরিষ্ঠ বাঙালী মুসলমানরাই দিয়ে যাচ্ছে। এখন হিন্দু বন্ধুদের সাথে মেলামেশা করলে ভারতীয় হয়ে যাচ্ছি।

কাউকে আপন বলে ভাবতেই পারছি না। আপনজন অনুসন্ধান করলে ও হীংসা করবে,কেমন হীংসাত্মক দেশে জন্মগ্রহন করেছি? তারা আওয়ামীলীগ করুক আর বি,এন,পি করুক, স্বভাব তো একই,জাতে মুসলমান। আমরা হিন্দু,বৌদ্ধ,খৃষ্টান ঐক্যের স্বপ্ন দেখলেই সাম্প্রদায়িক ও ভারতীয় হয়ে যাচ্ছি। আজকে আলীকদম থেকে থানছি সড়ক উন্নয়নে এককোটি টাকা সংসদে কিংবা কেবিনেটে অনুমোদন হলে রাতারাতি এলাকায় কয়েকটা ব্রিক ফিল্ড হয়ে যাচ্ছে। তারা লেখা পড়া জানুক আর নাই জানুক সেই রাস্তার মাঝি থেকে হোটেলের বয় কিংবা পানের দোকানদার পযন্ত আই,এস,আই,সি,আই,এ,রও ইত্যাদি সর্ম্পকে ওয়াকী বহাল।

আমরা কলেজ ইউনিভার্সিটি ঘুরে এসেও এই সব ধারনা পাচ্ছি না কেন? তারা ক্ষমতাসীনদের পৃষ্ঠপোষকতা পায় আর আমাদের কে পৃষ্ঠপোষকতা করার মত কেউ নেই। আমরা সেই বনের বাঘ,হাতী,গয়াল,হরিণ,বানরের মত রয়ে গেছি যাদের কে সময়মত গুলি মেরে ভোগ করছে। একটা প্রকৃত সত্য ঘটনা সবাইকে অবহিত করা আমার অপরাধ হতে পারে না। আমি নিজেই সদা সর্বদা নিরাপত্তাহীনতায় আছি,এটা বলা কি অপরাধ? আমার ফেসবুকে আমার নিজের মতামত কিংবা সরকারে সমালোচনা করা কি অপরাধ? প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে কত হাজার হাজার লোক গালাগালি করে তাদের তো অপরাধ বলে গণ্য করে না। বরং এটা কত শতাংশ ভাল আর কত শতাংশ মন্দ দৈনিক জড়িপ চলে।

অধিকন্তু শ্রেষ্ঠ সমালোচকের জন্য পুরস্কার ঘোষনা আছে। আমার কোন কাজ নেই, লেখালেখি করা ছাড়া আর কি আছে? এই সরকারের কাছে নাগরীক হিসেবে কোন সূযোগ সুবিধা পেলাম না। এই সরকারে সমালোচনা করা আমার অধিকার রয়েছে। তাই যা ইচ্ছে লেখবো,এটাই তো স্বাভাবিক। অনুরুপ তোমরা যদি তোমাদের ক্ষমতা প্রয়োগ কর আমি কোন ব্যথিত বিচলিত হবো না।

কয়েক মাস আগে শাহজাহান নামে আমার জনৈক হিতাকাঙ্খী বলল, তুই একটু সাবধানে চলাফেরা কর। আমি তাকে বললাম,তোদের যা খুশী তাই কর। উপজেলা পি,আই ও অফিস থেকে একটা শব্ধ শুনলাম। সি,আই,ডি। এই শব্ধটার সর্ম্পকে আমার কৌতুহল ছিল।

আমি তো সি,আই,ডির পরিপন্থি কোন কাজ করি না। বরং তারাই আমাকে দেখে পালাই কিংবা লুকিয়ে থাকে। ঢাকায় একটি ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল। আমি ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারে গিয়ে বটবৃক্ষে মোমবাতী জ্বালিয়ে বন্দনা করার পর বটবৃক্ষে সংক্রমন করছিলাম। হটাত শব্ধ এলোstop.আমি অবাক এবং কোন দিক থেকে শব্ধটা আসল তা অনুসন্ধান করতে লাগলাম।

এই ভাবে তিনবার শব্দ এলো,আমার মেজাজ প্রায় বিগড়ে যাচ্ছে । মুসলমানদেরকে নামাজ পড়তে পড়তে তা বন্ধ করতে বললে কেমন লাগবে? আমি বটবৃক্ষের দিকে তাকিয়ে পরম করুনাময় বুদ্ধের বাণী স্মরন করতে লাগলাম,*রাগ,দ্বেষ,মোহ, দূর করতে হবে*। আমি বটবৃক্ষে সংক্রমণ শেষে বন্দনা করে বের হবার সময় জুতা অনুসন্ধান করতেছিলাম। কিন্তু পুকুর পাড়ে সিড়িতে শ্রদ্ধেয় ভন্তের পাশে বসা সেই শব্দকারী ভদ্র লোক দিল ভো দৌড়। আমি অবাক হয়ে গেলাম।

শ্রদ্ধেয় ভন্তেকে বিনয়ের সহিত বন্দনা করে জিজ্ঞেস করলাম,ভন্তে আপনার কাছ থেকে উঠে যে লোকটা দৌড় দিল,উনি কে? তিনি হাসতে হাসতে উত্তর দিলেন সিআইডির লোক। বর্তমান ক্ষমতাসীন লোকজন আমার সাথে সুসর্ম্পক ও গড়ে তুলবে না আরো বিশাল এক পদ দেবে-বান্দরবান জেলা বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদের সভাপতি। পেটে ভাত নেই,আমি বঙ্গবন্ধুর চামচামী করবো?তাই মনে ক্ষোভ নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে তাদের সমালোচনা করে লেখতে চেয়েছিলাম । কিন্তু সব কিছুর তো সীমা আছে। হাদিসে আছে* সীমা লংগন কারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না।

* আমি তাই এই রাজনৈতিক লেখালেখি বন্ধ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এই যে বিধির বাম। সম্প্রতি আমাদের পাড়ার ঘটনা। আমার প্রতিবেশী রইচরণ তঞ্চঙ্গ্যার বাড়ী। সেদিন সে মদ খেয়ে মাতাল।

তার বাড়ীর পাশে ঝি জামাইয়ের বাড়ী। তার কাছে কাঠ পরিবহন বাবদ টাকা পাওনা আছে জনৈক কাঠব্যবসায়ী। সেই কাঠব্যবসায়ী সেই পাওনা টাকা চাইতে এসে দেখে দেনাদার নেই,তাই তার ন্ত্রীর সাথে কথা বলছিল। এদিকে মাতাল অবস্থাই রই চরন তঞ্চঙ্গ্যা তার মেয়ের কাছে চীতকার করে জিজ্ঞাসা করে,সেই বাঙালীটা কে? এই ভাবে কয়েকবার চীতকার করার পর কোন শব্দ না পেয়ে দেখতে নাকি যাচ্ছিল। এই দেখতে যাওয়াতে সেই ব্যবসায়ী গলায় ধরে ফেলে, আমি কে,চিনস না কেন? সম্ভবত রই চরন নিজেকে ছাড়িয়ে আক্রমণ করার চেষ্টা করলে সেই ছড়ে যায় এবং দূরে গিয়ে মোবাইলে কয়েকজনকে মিথ্যা খবর দেয়,একজনের স্থানে বহু শব্দ ব্যবহার করে অথাত আমাকে চাকমারা আক্রমণ করছে বলে চীতকার করে ।

এটা বাস্তব মনে করে কয়েকটা মোটর সাইকেলে ৬/৭ জন এসে রইচরন কে এলোপাথারী কিলঘুষি লাথি মেরে ধরাসায়ী করে। পা দিয়ে গলা চেপে ধরে মেরে ফেলার চেষ্টা কালে তার ছেলেমেয়েরা বাচানোর জন্য এলে তাদের কে লাঠি কিলঘুষি মেরে পালিয়ে যায়। সন্ধ্যায় আমি বাড়ীতে এলে তা জানতে পারি । আমার বাড়ীর পূর্ব দিকে তার বাড়ী। সেখানে গিয়ে দেখলাম কেউ নেই।

জানলাম তাদেরকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। অতপর পানবাজারে এসে বিস্তারিত জানলাম। অতপর যে এইগুলি নিয়ে মাথা ঘামায় সেই প্রু তঞ্চঙ্গ্যাকে মোবাইলে ঘটনাটা জানালাম, সেই জানাল,আহতদের হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য। থানার ওসি সাহেবকে জানালাম। অতপর আলীকদম সেনানীবাসের জোন কমান্ডার লেঃকর্ণেল আলমগীর কবির কে ঘটনার কথা জানালাম।

পরে জানলাম,স্থানীয় ভাবে তা বিচার হবে। আমি ত্ াচাই। কিন্তু বিচারক যে আসামীদের মনোনীত তা আমার বোধজ্ঞান ছিল না। অনেকটা বিচারমানী কিন্তু তালগাছটা আমার মত অবস্থা। পাড়ার প্রতিবেশী এবং কার্বারী অনুপস্থিতিতে কাবার্রীর সন্তান হিসেবে আমার উপস্থিতি প্রয়োজন বলে মনে করে গেলাম।

পানবাজারে আমার অপছন্দনীয় মেম্বারের অফিসে সে বিচার শুরু হল। বিচারক ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বান্দরবান জেলা শাখার সদস্য ও প্রাক্তন মেম্বার জনাব মোজাম্মেল হক এবং প্রু তঞ্চঙ্গ্যা। আমাকে দেখে প্রুর ভীষন কৌতুহল,বাহিরে গিয়ে কোথায় নাকি মোবাইল করছে, সে এখানে কেন? বিচারের পরিবেশ ও সন্দেহ জনক। বাদীরা মাটিতে বসা আর আসামীরা বিচারকদের আশেপাশে বসা , আমি পর্যন্ত ভীত শংকিত অবস্থা। তখাপি আমার ব্যাপারে জোন কমান্ডার এবং ওসি যখন জানেন তখন আর যাই হোক এর শেষ দেখতেই হবে।

বাদী সেই ভীত শংকিত রইচরন আর তার ছেলেমেয়েদের কে জিজ্ঞাসা করা হলেও বিবাদীদেরকে তেমন জিজ্ঞাসা করা হল না। এতে চিকিতসার খরচ ৫হাজার টাকা ধায্য হল মাত্র। বাই ফোর্স করে জিজ্ঞাসা করল, তোমরা বিচার মানছ? তারা ভয়ে মাথা নাড়তে বাধ্য হল। আমি সাথে সাথে প্রতিবাদ করলাম। তারা মানলেও আমি এই বিচার মানলাম না।

কিন্তু প্রু ডাল হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় মোজাম্মেল হক মেম্বারকে আমার কথার মনোযোগ আকর্ষন করাতে পারলাম না। সেখানে যে পরিবেশের লোক সেই পরিবেশের কথাই বললাম। এখানে মুরুং কাং বা তঞ্চঙ্গ্যাদের পাড়া বন লংঘন করা হয়েছে। ভূলেও বলিনি নিষিদ্ধ এলাকায় অনধিকার প্রবেশে ১৪৪ ধারা লংঘন করা হয়েছে। তারা আমার কথা উপহাস করে উড়িয়ে দিল।

আগে আদিবাসী পাড়ায় কিছু বিধি নিষেধ ছিল মুরুংরা বলে খাং আমাদের বলে পাড়া বন। এটা লংঘন করলে জড়িমানা দিতে হয়। পাড়ায় কারো সাথে সমস্যা হলে প্রথমে কার্বারীকে অবহিত করতে হয় । কার্বারী যদি বিচার না করেন কিংবা সমাধান করতে না পারেন তবে অন্য কথা। এই ছাড়া সেই শান্তিবাহিনী আমলের ঘটনা।

পাড়ায় অপরিচিত এমনকি আত্মীয় স্বজন আসলে ও থানা কিংবা সেনাবাহিনীকে খবর দিতে হয়। এই প্রথা কলেজ ্ইউনিভার্সিটি বিভিন্ন হলে কিংবা শহরে বিভিন্ন গলিতে কারো গতিবিধি লক্ষ্য করার বিধি মনে হয় আজো বলবদ আছে। সম্ভবত বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনার কারনে হয়ত এই বিধি নিষেধ বা নজরদারী চলছে। বন বিভাগে ও এই বিধি নিষেধ চালু আছে। একটি নির্ঝর-নির্ঝরিনীর প্রবাহেই তো স্রোতস্বিনীর সৃষ্টি হয়।

সেই আদি-অনতিকালের পাড়া বন কিংবা মুরুদের পাড়া কাং থেকে ১৪৪ ধারা উতপত্তি বলেই আমার ধারনা যদিও আইন বিষয়ে আমার কোন অধ্যাপনা নেই। রাজতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হিসেবে একজন কার্বারীর সন্তান হিসেবে রয়েল ব্লাডের অংশ হিসেবে সবাই উপহাস করলেও আমাকে যে এমন কথা বলে যেতেই হবে। আমাকে ্উপহাস করায় অপমানে একটি রিপোট গ্রুপ মেইল কোথায় কোথায় পাঠিয়েছি আমার বোধগম্য নয়। যা জেলা প্রশাসন থেকে সরে জমিনে তদন্তের জন্য সেনানীবাসে ও থানায় পাঠানো হয়। আগের মত আর সেনানীবাসের জোন কমান্ডারের সাথে যখন তখন সাক্ষাত করা যাচ্ছে না।

প্রতিবন্ধকতায় নন কমিশনের অফিসাররা। নবাগত জোন কমান্ডারের সৌজন্য সাক্ষাতের চেষ্টা করেছি অনেকবার কিন্তু সম্ভব হচ্ছিল না তাই আমি আমার বন্ধুবান্ধবদের প্রায় বলি,যিনি এলাকার শীর্ষ নিরাপত্তাকারী তিনি যদি আমাকে অবজ্ঞা করে সাক্ষাত না করেন, আমার নিরাপত্তা কোথায়? অনেক দেন দরবারের পর জোন কমান্ডারের সাক্ষাতের এপয়েন্টমেন্ট পেলাম। কিন্ত আরপি গেইটে ওয়ারেন্ট অফিসার সার্জেন্টের প্রতিবন্ধতা, কি বিষয়ে আলোচনা তা বলতেই হবে। সৌজন্য সাক্ষাতকার তাও বিশ্বাস করে না। পাড়ার ঘটনা কথা বললে অবাক হয়ে ওয়ারেন্ট অফিসার বলেন, এটা কেমন রাজাকারের মত কথা! যাক এই সরকারের আমলে আমি রাজাকার হয়ে গেলাম।

স্বাধীনতা যুদ্ধে আমার বয়স কত ছিল ? তাও তাদের বিবেষ্য বিষয় নয়। আমার ও তো মনে মনে প্রশ্ন,এই বাঙালীরা কেন এত ইবলিশ শয়তানের মত? স্বার্থের কারনে এবং অধিকার কেড়ে নেয়ার লক্ষ্যে এত মিথ্যা অপবাধ লাগাই কেন? অনেক দেনদরবারের পর জোন কমান্ডারের সাক্ষাত পেলাম। কিন্তু আমার নিরাপত্তার ব্যাপারে কারো কাছে কোন নিরাপত্তা যে পাবো তা ও আশা করতে পারছি না। বর্তমানে সেনা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনে আমি কেমন জানি চক্ষু চুল হয়ে গেছি। চেয়ারম্যান মেম্বার ও সিভিল প্রশাসনের আতংক, তাদের চাল গম কেলেংকারী,অপরাধ ফাঁস হয়ে যাচ্ছে।

আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত লেগেই আছে। যার কারনে এই প্রু কে ব্যবহার করে আমাকে মিথ্যা মানহানী মামলায় জড়ানোর পায়তারা চলছে। এই মামলা বা কাঠ গড়ায় দাড়ানো অভিজ্ঞতার হয়ত প্রয়োজন আছে। জেলে গেলেও আমার দৃঢ় বিশ্বাস ভাল থাকবো। আমার স্ত্রী ও পরিবার পরিজনকে আগাম নির্দেদশ দেয়া আছে।

আমি শ্রমণ অবস্থায় দেড় বছর পর্যন্ত শুধু বিভিন্ন স্থানে ভ্রমন করেছিলাম। তখন যেভাবে সংসার দেখা শুনা করেছেন আমার সহধর্মীনি আমি জেলে গেলে ঠিক সেই ভাবে যেন সংসার চালিয়ে যাবার চেস্টা করে। যেন মনে করে আমি মারা গেছি। আমার মুক্তির ব্যাপারে কারো পরামর্শ গ্রহন কিংবা কোন নেতা নেত্রীর শরনাপন্ন হলে আমি ভীষন দুঃখ পাবো। আমার বুদ্ধ,ধর্ম,সংঘ ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়া আছে কিনা জানা নেই।

অনেক বন্ধু বান্ধবের সাথে মিতালী করার চেষ্টা করেছি ফেসবুকে। জানি না মৈত্রী পারমিতে তাদের সহানুভূতি পাবো কিনা? আমি কাঠগড়ায় দাড়ালে আমার জন্য কে আইনজীবি অনুসন্ধান করবেন তাও জানি না। শুধু যাদের কথা মনে পড়ে তারা হলেন সিষ্টার রোজলিন কষ্টা,আমার প্রিয় কবি সুফিয়া কামালের কন্যা,সাবেক তত্তাবধায়ক সরকারে উপদেষ্ঠা,আইন ও শালিশী কেন্দ্রের প্রধান এডভোকেট সুলতানা কামাল ,বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম দিলদার,কিংবা রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়, এডভোকেট দীননাথ তঞ্চঙ্গ্যা,এডভোকেট তপন কুমার দাস,এডভোকেট মহতুল হোসেন যত্ন। জানি না,আমার এই স্মরন বার্তা তাঁদের কাছে পৌছবে কিনা? মনে মনে পাঠ করি শুধু কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের *গীতাঞ্জলী*। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।