চিহ্নহীন পথের কথা
লালচে একট পাহাড়ে একটা কাঠের বাংলো - নিচে উপসাগরের যে অংশটা খাড়ির মতো ঢুকে গেছে তার দিকে ঝুকে আছে , মাথার উপরে আকাশটা কেমন তামাটে রঙের। কোনদিন আমি ঐ বাড়ি, ঐ রকম লালচে পাহাড় আর তামাটে আকাশ আমি দেখিনি কিন্তু ঠিক এই রকম একটা জায়গা যেন আমার খুব চেনা।মিনাক্ষি হৈ চৈ করে বেড়াচ্ছে - এবং এইরকম একটা জায়গায় নিয়ে আসার জন্য কেন আমি তাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি না এটা নিয়ে অনর্গল বকে যাচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমি ঠিক এই জায়গায় আগে এসেছি, এবং সেবার মিনাক্ষিও সাথে ছিলো, সবচেয়ে বড় কথা ঠিক যা যা ঘটছে অবিকল যেন আগে ঘটেছে - ও হৈচৈ করে ঘুরে এক বোতল বিয়ার, আর কাগজে মুড়ানো এক বার্গার ছুড়ে দিয়ে নেচে বেড়াতে লাগলো।আমি পরিস্কার বুঝতে পারছিলাম এই সময়টা অতীতের কোন প্রতিবিম্ব। এই ঘর থেকে একটা বুড়ো বের হলো , লালচে মুখে বয়সের রেখা, সাদা চুল সরিয়ে মাঝখানে টাক বেরিয়ে গেছে, লোকটা যখন বের হলো তখনই মনে হলো আগে লোকটা ঠিক এইভাবে জলের দিকে তাকাবে।লোকটা রেলিং ঝুকে জলের দিকে তাকিয়ে দুরে দৃষ্টি দিল।
আমি বুঝতে পারি না - মিনাক্ষিকে ডাক দিয়ে বলি - মিনাক্ষি আগে কি আমরা এখানে একসাথে এসেছিলাম , মিনাক্ষি গটমট করে তাকিয়ে তাকে, এই এক ওর স্বভাব, তারপর অনুযোগের সুর গলায় ঢেলে দিয়ে বলে - ক্রেডিট দিতে চাস না সেটা বললেই হয় -
মিনাক্ষি রেগে মেগে চলে গেলো - কিন্তু আমি নিশ্চিত আমি আর মিনাক্ষি ঠিক এইদিনে এইভাবে এই আকাশের নীচে এই বাড়িটার সামনে যেখানে একটা বুড়ো এইভাবে উপসাগরের জলের দিকে তাকিয়েছিল -
আমি কাউকে বুঝাতে পারি না আমার এটা প্রায়ই হয় - ঠিক এই সময়টাই আমার জীবনে আরেকবার অতীতে এসেছিলো কিন্তু ডায়েরীতে লেখা নেই।
আপনাদেরও কি এমন হয় , মনে হয় এই ঘটনাটা আগেও ঘটেছিল?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।