আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্ষণ নি:সন্দেহে এক জঘন্যতম অপরাধ

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুর্নীতিবাজদেরকে অপসারন করুন ধর্ষণ নি:সন্দেহে এক জঘন্যতম অপরাধ । যে কাজ করে ধর্ষণকারী নিজেকে, সমাজকে, রাষ্ট্রকে এমনকি গোটা বিশ্বকেও কলুষিত করে। কিন্তু ধর্ষণ এতই মারাত্মক অপরাধ যে এর চিন্তা করাও মারাত্মক গুনাহের কাজ। রাসূলে পাক সা: এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘যে কেউ কুদৃষ্টিতে তাকাল তা সে চোখের যিনা করল আর যে কেউ অন্তরে কল্পনা করল তা সে অন্তরের যিনা করল’। কাজেই কাউকে ধর্ষণ করা দূরে থাক শুধু চোখে বা অন্তরে এর কল্পনা করাও মহা পাপ।

আল্লাহ তায়ালা সূরা বনী ইসরাইলের মধ্যে ঘোষণা করেছেন, ‘তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। ওটা একটা অশ্লীল কাজ এবং খারাপ পন্থা। আল্লাহ তায়ালা অন্যত্র ঘোষণা করেন,‘ব্যভিচারের সাজা আখিরাতে দ্বিগুণ হবে। ’ (সূরা ফুরকান ৬৮)। আখিরাতে এর শাস্তি দ্বিগুণ হলে ইহকালে যিনাকারীর শাস্তি কিরূপ হতে পারে? তাদের শাস্তির ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা সূরা নূরের ২ নম্বর আয়াতে ঘোষণা করেন, ‘ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী প্রত্যেককে ১০০ চাবুক মারবে।

আল্লাহর বিধান পালনে তাদের প্রতি যেন দয়াপরবশ না হও। এ হচ্ছে শুধু অবিবাহিতদের জন্য। বিবাহিতদের জন্য অথবা জীবনে একবার হলেও বিয়েবন্ধনে আবন্ধ হয়েছিল তাদের একমাত্র শাস্তি হচ্ছে স্কন্ধ পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা। এটা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে তাদের শাস্তি প্রদানে কোনোরূপ কার্পণ্য, শিথিলতা বা দয়া দেখানো যাবে না। কারণ আল্লাহ তায়ালা তাদের শাস্তি দিয়েই দুনিয়ায় শান্তি কায়েম করতে চান।

আর এটা বাস্তব যে এরূপ শাস্তি কল্যাণেরই পরিচায়ক। স্বয়ং রাসূলে পাক সা:-এর কাছে এসে এক নারী যিনা করার কথা জানাল। রাসূলে পাক সা: তাকে বাচ্চা প্রসব হওয়া পর্যন্ত সময় দিলেন। বাচ্চা প্রসব হলে দুধ পান করা পর্যন্ত তাকে আবার সময় দিলেন। এরপর নারীটি এলে রাসূলে পাক সা: তাকে পাথর নিক্ষেপে হত্যার নির্দেশ দিলেন অথচ ওই নারীটিকে আল্লাহ তায়ালা এমনভাবে ক্ষমা করেছিলেন যে স্বয়ং হুজুরে পাক সা: বলেন, যদি তার তওবাকে আমার সব উম্মতের মধ্যে বন্টন করে দেয়া হয় তবে তা তার ৭০ ভাগের এক ভাগেরও সমান হবে না।

আল্লাহ তায়ালা তাকে এরূপ ক্ষমা করার পরেও দুনিয়ার বিচার থেকে তাকে রেহাই দেয়া হয়নি। এই একটি ঘটনা থেকেই বুঝা যায় তওবা করে কান্নাকাটি করলেও দুনিয়ায় এর শাস্তি অবশ্যই পেতে হবে। স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা পাক কুরআনে এই ধর্ষণকারীদের সম্পর্কে বলেছেন যে, ‘মুমিনদের জন্য এটা সম্পূর্ণ হারাম। ’ (সূরা নূর-৩) যিনাকারী ব্যক্তি ঈমানদার হলেও আসলে তাকে ঈমানদার বলা চলে না। একারণে যে পাক-পবিত্রতা লজ্জাশীলতা ইতাদি ঈমানের ৭০টি শাখার অন্যতম।

আর যিনাকারী ব্যক্তি পাকপবিত্রতা দূরে থাক নিজের লজ্জাশীলতা বা সম্ভ্রমকেও সে রক্ষা করতে পারে না। আর লজ্জা না থাকা মানে হলো শয়তানের আলামত, কুরআন ও হাদিসে আরো অসংখ্য জায়গায় ধর্ষণকারীদের ব্যাপারে প্রচণ্ড হুঁশিয়ারি ও শাস্তির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সমাজ, রাষ্ট্র বা পরিবার কেউ তাকে ক্ষমা করে না। অতএব প্রত্যেকের উচিত এ মারাত্মক কবিরা গুনাহ থেকে অবশ্যই বেঁচে থাকা বি:দ্রঃ-ইসলামী শরীয়তের বিধান অনুযায়ী শাস্তি দেয়া রাস্ট্রের দায়ীত্ব। কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী শাস্তি দেয়ার অধিকার রাখে না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।