১৯২৫ সালে পাহলাভি সাম্রাজ্য দেশটির ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে দ্রুততার সঙ্গে আধুনিক ইরানি সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলে। সেনা কর্মকর্তাদের ইউরোপ এবং আমেরিকার সামরিক একাডেমীতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সর্বাধিক অস্ত্র আসত মিত্র রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ১৯৪১ সালে ইরানি সামরিক বাহিনী ব্রিটিশ-সোভিয়েত আক্রমণ প্রতিহত করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ওমানের সুলতানের পক্ষাবলম্বন করে।
বিপ্লব-পূর্ববর্তী সময়ে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল ইরানের। আয়াতুল্লাহ খামেনির নেতৃত্বে ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের পরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে মোড় নেয়। মার্কিন অবরোধের জন্য ইরান নিজেদের অস্ত্রশস্ত্র নিজেরাই রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা শুরু করে। ১৯৮০-র দশকে দেশটিকে প্রতিবেশী ইরাকের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হয়। ১৯৮৯ সালে ইরান সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে অস্ত্র আমদানি করে সামরিক বাহিনী পুনর্গঠন শুরু করে।
মার্কিন-ইসরায়েলের শত বাধার পরও দেশটি বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্ত সামরিক শক্তি। ড্রোন প্রযুক্তির অধিকারী শীর্ষ পাঁচটি দেশের অন্যতম ইরান। ইরান বিশ্বের সবচেয়ে পর্বতময় দেশগুলোর একটি। ইরানে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ভাণ্ডার আছে। ইরান প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত অস্তিত্বশীল বৃহৎ সভ্যতাগুলোর মধ্যে অন্যতম।
দেশটির মোট আয়তন ১৬,৪৮,০০০ বর্গকিলোমিটার। ইরানের নিয়মিত সেনা সদস্য ৫,২৩,০০০ জন, রিজার্ভ আর্মি ৩,৫০,০০০ জন এবং আধা-সামরিক বাহিনীতে রয়েছে ১৫,১০,০০০ জন সদস্য। সেনাবাহিনী, স্থলবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং আইআপজিসি নিয়ে ইরানি সামরিক বাহিনী গঠিত। দেশটির সামরিক বাজেট ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।