বিজ্ঞানী সফদর আলীর মহা মহা আবিস্কার
শুনতে অবাক লাগলেও, ভবিষ্যতের দুনিয়া, তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবি হিসেবে যাদের একটু বেশী কদর করবে, তাদের কারিগরী দক্ষতা বোধহয় খুব একটা বেশী হবে না। কম্পিউটারওয়ার্লড এর 17 জুলাই সংখ্যার "2010 এর আইটি প্রফেশন" শিরোনামের লেখা এই কথাই বলছে।
প্রোগ্রামিং এর মতো হার্ডকোর টেকনিক্যাল কাজ আর হালকা পাতলা সাপোর্ট বহু আগেই আউটসোর্স হয়ে গেছে ইন্ডিয়া, চীনের মতো দেশে। তাই উন্নত বিশ্বে এখন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের তুলনায় দাম দেওয়া হচ্ছে তাদের যারা ব্যবসার খুটিনাটি ভালো বোঝেন আর সেই জ্ঞান কাজে লাগিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন কার্যকর পরিকল্পনা। এখানে তথ্যপ্রযুক্তিকে ব্যবহার করে ব্যবসার কার্যকারিতা আর মুনাফা বৃদ্ধির দক্ষতাকেই সবচে' দরকারী গুন হিসেবে দেখা হচ্ছে, খোদ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হওয়াটা তাই অনেকটাই গৌন।
এই পরিবর্তনের পিছনে দায়ী করা হচ্ছে দ্রুত পরিবর্তনীয় কনসিউমার বিহেভিয়র, ঘন ঘন ঘটে যাওয়া মার্জার আর অ্যাকুইজিসন, ঢালাও আউটসের্াির্সং, মোবাইল প্রযুক্তির বিকাশ এর মতো কারনগুলোকে।
বদলে যাওয়ার এই সময়ে তাই চাহিদা বাড়ছে ফাইন্যানস, ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যাথেম্যাটিক্স এর মতো ক্ষেত্র থেকে আসা পেশাজীবিদের। অন্তত ইয়াহু, ই-বে আর গুগলের এসব ক্ষেত্র থেকে লোক নিয়োগের চেষ্টা দেখে তাই মনে হচ্ছে।
ভবিষ্যতের তথ্যপ্রযুক্তি পেশায় হয়তো তাই ব্যবসা জ্ঞান, বাগ্মিতা, নন্দনানুভূতি, গণিত এরকম বিভিন্ন বিষয় হয়তো ক্রমশ প্রাধান্য পেতে পারে।
বিখ্যাত গার্টনার গ্রুপ বলছে, ব্যবসা বিষয়ক দক্ষতাই হবে আগামীদিনের বড় শক্তি।
প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট আর অ্যাপ্লিকেশান ডেভেলপমেন্টের দক্ষতা বেশ ব্যাপকভাবে আশা করে হবে তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবিদের কাছ থেকে।
আগামী দিনের (2010) প্রতিষ্ঠানগুলোতে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের আকার 30% পর্যন্ত কমতে পারে । প্রযুক্তির কারনেই, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের 10% থেকে 15% মানুষ হারাতে পারেন তাদের চাকুরী।
ফুট পার্টনার্স এর ডেভিড ফুটের মতে, বিজনেস এন্ট্রাপ্রাইজ আর্কিটেক্ট, বিজনেস টেকনোলজিস্ট, সিসটেম অ্যানালিস্ট আর প্রজেক্ট ম্যানেজারের রোলগুলোই হবে আগামীদিনের "হট জবস"।
ফুট আরও বললেন সবারই উচিত হবে আগামী 5 বছরের মধ্যে এসব রোলে মুভ করা।
অন্তত উনি হলে তাই করতেন। যারা এই শিফটটা করতে পারবেন না, তাদের ভবিষৎ যে সুখের না তা বলাই বাহুল্য।
কেট কাইজার মিলওয়াকির বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তারও একই কথা। "ব্যবসা-বিষয়ক জ্ঞান আর প্রকল্প ব্যবসথাপনাই এখন কদর পাচ্ছে বেশী".... এটা মানে এই না যে প্রযুক্তি জানাটা জরুরী নয়, বিষয়টা হল ব্যবসা বিষয়ক জ্ঞান থাকা এখন অনেক জরুরী।
"
[গাঢ়]আগামী দিনের "হট এরিয়া" [/গাঢ়]
............................................................
এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচার
প্রজেক্ট লিডারশীপ
বিজনেস প্রসেস রি-ইঞ্জিনিয়ারিং
প্রজেক্ট প্লানিং
থার্ড পার্টি প্রোভাইডার মানেজমেন্ট
[গাঢ়]তথ্যপ্রযুক্তির কোন দিকে যাবেন [/গাঢ়]
........................................
সিসটেম অ্যানালাইসিস/ডিজাইন/অডিটিং
নেটওয়ার্ক ডিজাইন
সিকিওরিটি প্লানিং
স্টোরেজ ম্যানেজমেন্ট
বিজনেস ইনটেলিজেনস
ডেটা ওয়্যারহাউজিং / মাইনিং
ওয়েব সার্ভিস
মোবাইল টেকনোলজি
সার্ভিস ওরিয়েন্টেট আর্কিটেকচার
বায়োমেট্রিক্স/আইডেন্টিটি ম্যানেজমেনট
[গাঢ়]তথ্যপ্রযুক্তির কোন দিকে যাবেন না[/গাঢ়]
........................................
প্রোগ্রামিং
সিসটেম টেস্টিং
সাপোর্ট / হেল্পডেস্ক
আইটি অপারেশনস
[ইটালিক](তবে কথা হল এসব উন্নত দুনিয়ার জন্য প্রযোজ্য। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সাপোর্ট/হেল্পডেস্ক ভালো ব্যবসা হতে পারে। আমি লিখছি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের দিকটা ভেবে)[/ইটালিক]
গার্টনারের সার্ভে অনুযায়ী সবচে' খারাপ অবস্থা হবে প্রোগ্রামারদের আর আইটি অপারেশনস এর মানুষদের।
সোজা কথা হল, এখন আর শুধু আইটি বলে লাফ দিলে ভাত জুটবে না। আইটিকে ব্যবসার কার্যকারিতা বাড়ানোর কাজে লাগাতে পারার মতো বুদ্ধি থাকতে হবে, বুঝতে হবে বানিজ্য পদ্ধতি আর মহান কাস্টমারদের।
তাই সময় থাকতে নিজেকে তৈরি করুন..
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।