আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গণসঙ্গীত

লেখক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জাহাঙ্গীরনগরে তখন ছাত্রলীগের দাপট । রেপিস্টদের এক সমর্থক পপাই সুমনের মাইর খাইয়া আন্দোলনের পর পরই ভাগছিল । পরে এর ওর পায়ে ধইরা ফেরত আসার কিছুদিন পরে দলীয় প্রয়োজনে আবার অ্যাক্টিভ হয় । ছিল পুরাপুরি ক্যাডার । বড়সড় না গুড়াগাড়া ।

বামপন্থীদের পিটানোর কাজে ব্যবহার করা হইতো । বামদলে মেয়েদের আধিক্য থাকায় , অতৃপ্ত কৌমার্য্য থিকা এই পোলাপানগুলা বাম পিটানোর মনোবল পাইতো । যাই হোক । আমি আবার সুবিধাবাদী ভদ্রলোক বইলা সকলের সাথেই সুসম্পর্ক ছিল । ( মাইর এড়াইয়া চলাই মূল উদ্দেশ্য ছিল ।

আর ঘরে বইএর স্তুপ কইরা একরকম সাতি্বক ইম্রেশান তৈরী করছিলাম । অত বই সত্যি সত্যি পড়লে এতদিনে একটা কেষ্টু -বিষ্টু হইতে পারতাম । ) যাই হোক । আমার ঘরে ঢুকতেই উলটা দিকের দেওয়ালে চ্যাপলিন, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত আর মানিকবাবুর ছবি ; বিছানার মাথার উপরে এলভিস প্রিসলীর পুরা এক সিরিজ নৃত্যরত পোস্টার ; কাবাডের উপর লিলি-মিয়াঁদাদের যুদ্ধ ; আর জানালার কাঁচে বিটলসের 6 টা অ্যালবামের ছবি । এই ছবির সমাহারে একটা বেশ মিশ্র এক্সপ্রেশান দিতাম ।

তো সেই ক্যাডার একদিন আমার ঘরে কার্ড খেলতে আইলো । এলভিসের ছবির দিকে অনেকক্ষণ চাইয়া থাকলো । ওর ধারনা ছিল যারাই কোন না কোনভাবে লালবই পড়ে তাদের ঘরে যাদের ছবি থাকে তারা সবাই বামপন্থী । আমারে জিগায় , "এই লোক কি বাম রাজনীতি করতো ?" কইলাম "হ । গণসঙ্গীত গাইতো "


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।