সযতনে খেয়ালী!
-[ আগের পর্বটি পড়ুন এখানে : Click This Link ]-
.... বাইরে ঝুম ঝুম শব্দে আকাশ কেঁদে চলেছে। জানালার গ্রীল গলে আসা ঠান্ডা বাতাস টা যেনো সেদিনকার বারান্দার সেই বাতাস। প্রচন্ড রাগে, ঘৃণায় লাল হয়ে যাওয়া মুখের ওপর এলোচুল গুলো ছড়িয়ে দিচ্ছিলো।
উড়ে চলা সাদা সিফনের অাঁচলটা এবার টেনে ধরলো শুভ্রা, চুল গুলো থাকলো সেভাবেই। নষ্টালজিয়া আজ তাকে পেয়ে বসেছে, কোন বাঁধাই আজ মানার নয়।
বাঁধা সে নিজেও দিতে চায় না, আজকে সে মনের গহীণে ঝাপ দিয়ে দেখতে চায়, কি আছে ওখানে। কেন স্বপ্ন গুলো অবাস্তব এখন, কেন আকাশ ও ভয় পায় এমন স্বপ্ন দেখতে!
সেদিনের অনুভূতিটা কতো প্রখর, কতো জীবন্ত আজো, এখনো। সে এখন বসে আছে বিষন্নমনে জানালার ধারে, বৃষ্টিস্নাত পৃথিবীর অপার সৌন্দর্য অবলোকনে। অথচ নিজেকে আবিষ্কার করছে সেদিনের সেই বারান্দায়, অপরিচিত একজনের হাতে নিজের প্রিয় থেকে প্রিয়তর ডায়রীটি ধরা অবস্থায়।
"কে আপনি? কী চান এখানে? আমার ডায়েরী পড়ছেন কেন আপনি, হঁ্যা...?"- আগুন ঝরে পড়লো শুভ্রার কণ্ঠে।
হতভম্ব হয়ে যাওয়া যুবকটি আমতা আমতা করে বললো, "না মানে ইয়ে, আমি.... আমি নিশাতের চাচাতো ভাই....। আন্টি মানে ইয়ে, আপনার মা আমাকে...."
"মা ডেকে পাঠিয়েছেন তো এখানে কি করছেন? আর আপনি আমার ডায়েরী ই বা খুললেন কেনো। এটা তো কোন ভদ্্র মানুষের পরিচয় না"!
এবার মনেহয় যুবকটির কোথাও লাগলো খুব। ঠাশ করে বলে উঠলো,
"তা আপনি যেভাবে কথা বলছেন সেটা বুঝি খুব ভদ্্রতার পরিচায়ক"?
"হাউ ডেয়ার ইয়্যু টু কল মি ইনডিসেন্ট....."
"ইংরেজী গাল দিবেন না দয়াকরে। আমি আপনাকে ইনডিসেন্ট বলিনি।
বলেছি আপনি যেভাবে আমাকে অভদ্্র বলছেন সেটাও কোন ভদ্্র মানুষের বলার ধরণ না। আর বারবার যেটা বলে অপবাদ দিচ্ছেন আপনার ডায়েরীর গুপ্তধন চুরি করে ফেলছি বলে, সেটাও ঠিক না। আমি এসেছি, কারণ আমাকে বলা হয়েছে এই বারান্দাটায় আল্পনার কাজটা দেখতে। সে জন্যেই এখানে আসা। এসে দেখলাম বাতাসে আপনার এই সাতরাজার ধনের প্রায় সব পাতাই উড়ে যাচ্ছিল পতপত করে।
ধরে গুছিয়ে যেইনা বন্ধ করেছি, অমনি শুরু করে দিলেন এক ধামা বুলি। ধামা চিনেন? তা চিনবেন কি করে, চিনেন কতগুলা ইংরেজী শব্দ, আর জানেন কি করে তা যেখানে সেখানে অব্যবহার করা যায়। ধরেণ আপনার সম্রাট অশোকের হারানো সোনার চামচ......"।
ধরাক করে ডায়েরীটা মেঝেতে ফেলে রেখে খটখট করে চলে গেলো ছেলেটা। ধাতস্থ হতে খানিক সময় নিল শুভ্রা।
কী হয়ে গেলো এটা? তার মুখের ওপর তো এমন করে কেউ কথা বলে না। এই ছেলে কি অপমান করে গেলো তাকে? আশ্চর্যতো, ছেলেটার মিনিমাম কোন ডীসেন্সী, ওহ না, নো ইংলিশ - ন্যুনতম শালীনতা জ্ঞান ও কি নেই? একটা মেয়ে মানুষের সাথে কি করে কথা বলতে হয় শেখেনি, ছোঁহ্....!
-[ দৌড়ের ওপর লিখতে হলো এই পর্বটা। আশা করি পরের পর্ব আরেকটু বিশদাকারে আসবে, ধন্যবাদ। ]-
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।