আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা সৌদি গেজেটে

পঁচা মানুষ সৌদি আরবের প্রভাবশালী পত্রিকা ‘সৌদি গেজেট’-এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার প্রকাশিত ‘দেশ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ উপদানসমূহ’ শিরোনামে মতামত কলামে বিশিষ্ট কলাম লেখক তারিক এ আল-মাঈনা বাংলাদেশের শিক্ষা খাত ও গার্মেন্টস খাতসহ দেশের উন্নয়নের নানা দিক তুলে ধরেছেন। তারই সংক্ষিপ্তরূপ জনকণ্ঠ পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো- বাংলাদেশে সম্প্রতিক সফরের পর আমার এক সহকর্মী দেশটি সম্পর্কে আমার ইতিবাচক ধারণার কারণ জিজ্ঞেস করেন। তিনি বাংলাদেশ সম্পর্কে আমার আশাবাদী হওয়ার যৌক্তিক কারণ ব্যাখ্যা করতে বলেছিলেন। আমার সংক্ষিপ্ত জবাব ছিল- একটি স্বতঃস্ফূর্ত শ্রমশক্তি এবং চিন্তাশীল পরিকল্পিত শিক্ষা পদ্বতি।

গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশর গার্মেন্টস খাতে রফতানি ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সস্তা শ্রমিকের লোভনীয় অফারের কারণে বিদেশী উদ্যোক্তারাও বিনিয়োগে আকৃষ্ট হচ্ছে। মতামত কলামে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত বছর বাংলাদেশে ওভেন ও নিট গার্মেন্টস রফতানি খাতে ৮.৮ ভাগ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এটা বাংলাদেশের জিডিপিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় গত চার মাসে এ খাতে আয় হয়েছে ১৬ ভাগ। ইউরোপে ঋণ সঙ্কট এবং মার্কিন অর্থনীতিতে মন্দাভাব থাকার পরও বাংলাদেশে গার্মেন্টস খাতে রফতানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে।

অথচ প্রতিবেশী দেশ ভারতে তৈরি পোশাক খাতে রফতানি উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। গার্মেন্টস খাতে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি হওয়ার পরও ভারত পিছিয়ে পড়েছে। ভারতের তৈরি পোশাক রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর হিসেব অনুযায়ী ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে প্রথম সাত মাসে তৈরি পোশাক খাতে ভারতের রফতানি আয় ৯ ভাগ কমে গেছে। বাংলাদেশ এখন কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি থেকে শিল্প ও সার্ভিসভিত্তিক অর্থনীতির একটি ট্রানজিশন অতিক্রম করছে। তবে দেশের অর্থনীতিতে বেসরকারী খাত অব্যাহতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে এবং সরকার অবকাঠামোগত দিকে মনোনিবেশ করছে।

এমনকি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহ, ঐতিহ্যগতভাবে অদক্ষ আমলাতন্ত্রিক ব্যবস্থাকেও ঢেলে সাজানো হচ্ছে। তবে যদি শ্রমশক্তির সম্প্রসারণ বা উন্নয়ন না ঘটানো যেত তাহলে এ সব অব্যাহত রাখা বা ধরে রাখা কঠিন হতো। লক্ষ্য অর্জনে সরকার ২০১৫ সালের মধ্যে নিরক্ষরতা দূরীকরণসহ উচ্চাভিলাসী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সরকারের সেই কর্মসূচী এখন চলছে যা স্কুল পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের শতভাগ উপস্থিতিতে সহায়তা করবে। কেবল শ্রেণী কক্ষে উপস্থিতিই নয় মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি ন্যূনতম প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান শিক্ষানির্ভর একটি নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার পারিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে।

এ বছর থেকে ডিগ্রী পর্যায়ে বিনা বেতনে সবার জন্য শিক্ষা কর্মসূচী চালুর আগ্রহ রয়েছে সরকারের । ২০০৯ সালের শিক্ষা নীতি এ্যাক্টে সরকারের উচ্চাভিলাসী লক্ষ্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। লক্ষ্য অর্জনে যুব সমাজের ৭০ ভাগেরও বেশি লোককে শ্রমশক্তিতে রূপান্তরিত কারার পরিকল্পনা রয়েছে ঐ এ্যাক্টে । ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় শিক্ষাবিষয়ক একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে এবং এই প্রকল্পের অধীনে ১৫০টি বহু ভাষাভাষী প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা হয়েছে। এর মাধ্যমে বেশি সংখ্যক শিশু শিক্ষার সুযোগ পাবে।

বাংলাদেশ এখন ২০১৫ সালের মধ্যে বিদ্যালয়ে শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করার কর্মসূচী বাস্তবায়নের কাজে লিপ্ত রয়েছে। দেশের উন্নয়নের যে উপাদান রয়েছে একটি তার মধ্যে অন্যতম। Click This Link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.