শত হতাশার ভীরে মাঝে মাঝে হারিয়ে যাওয়া এই আমিই তো একলা ছিলাম বেশ! গিগাবাইটের দেশে সামান্য কয়েকটি বাইট হয়েই কাম্যুর সিসিফাসকে দেখেছিলাম কি অদম্য চেতনায় বারবার মৃত্যুর বিরুদ্ধে নিয়তির লড়াইয়ে চোরাবালিময় রাস্তায় পরম শূন্যতায় মায়াদেবী হয়ে। তবুও আমাকে প্রায় সবাই অপ্রযোজনীয় তলব করে স্ট্রিং বানিয়ে রাখে ল্যাবরেটরীতে ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় স্টিকার চাপিয়ে এক্সপেরিমেন্টের পর এক্সপেরিমেন্ট, সবার কাছে কতই না বিতর্কিত এই আমি! অথচ এই আমিই বাস্তব জীবনে শুধু এক প্রয়োগহীন তত্ত নিকট ভবিষ্যত পরিভ্রমন করি আলোর গতিতে উষ্ণতা ছড়িয়ে দিই চারিদিকে দূষিত পোড়া কার্বনে মিশিয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খন্ড মিছিলে এই আমি কতই না শক্তি সঞ্চালন করে চলেছি মূল্যহীন অস্তিত্বগুলো যখন চারপাশে শিকলবন্দী মানুষকে জাগ্রত করে তখনি সবাই আমাকে বিপ্লবের অনুঘটক বলে ডাকে। আমি যেমন গড়ি, তেমনি মরি ও মারি অসংখ্য জীবন যুদ্ধে অস্ত্র হাতে ভূল রাস্তায় হারিয়ে যাওয়া কমরেড পূঁজিবাদের নর্দমা সাতার কেটে পাড়ি দেবে বলে বলেগিয়েছিলো উড়ো চিঠিতে, এই আজব দেশে যেমন আমরা সবাই মানুষ নয় শুধু তারাই মানুষ যারা শাসন করে, তারা মানুষ ও বাঙ্গালি দুই স্টিকার লাগিয়ে বেড়ায় ঘুড়ে আদিবাসী মানুষের মানবিক অধিকারকে পিষ্ট করে শান্ত সুবোধ সীমিত চাওয়া তোমরা কি তাকে দেখ নি পাহাড়ের বুকে সুন্দর সাজে জুমিয়াদের আদাম, বিস্তৃত কর্ণফুলি-চেঙে- মেইনী- কাজলং উপত্যকা স্বাধীন বাংলার ৪১ বছর ও ১৫ তম সাংবিধানিক সংশোধন এখনো সেই বঞ্চিত মানুষের আত্মপরিচয়ের কথা লিখে নি তাইতো আজ আমি বারবার মরি এবং মারি তবুও আজ আমি বারবার গড়ে তুলি কমিউনিজমের স্মৃতিসৌধ। ---হেগা। (সংবিধানের ১৫ তম সংশোধন পর অনুভতি প্রকাশ করে লেখা)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।