বাংলাদেশ নিয়ে ভাবনা, প্রত্যাশা ও সম্ভাবনার সংগ্রহমালা
বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে জামাতীরা কেমন ভোট পাবে? তাদের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা কতোটুকু? দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ধারায় মৌলবাদী জামাতে ইসলামীরা কতোটুকু শক্তি প্রদর্শন করতে পারবে? বর্তমান অস্থিতিশীল রাজনৈতিক ধারায় এই প্রশ্নগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা ও স্বীকৃতির ভিওিতে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল নির্বাচন কমিশন ও অন্তবর্তীকালীন সরকারকে প্রভাবিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ভোটার তালিকা প্রণয়নে নির্বাচন কমিশন প্রতারণামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। নির্বাচন কমিশন, ভোটার তালিকা ও অন্তবর্তীকালীন সরকার নিয়ে স্বচ্ছতার অনুপস্থিতি ও ক্রমাগত বিতর্ক দেশকে ক্রমেই নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
প্রোবনিউজ ম্যাগাজিনের মে মাসের 26 তারিখের সংখ্যায় জামাতীদের ভোট ও ভবিষ্যত নিয়ে একটি চমৎকার বিশ্ল্লেষণী লেখা প্রকাশ পায়। 1986 সাল থেকে শুরু করে গত 4টি নির্বাচনে জামাতের ভোটের সংখ্যা তেমন একটা বাড়েনি। 2001 সালে বিএনপি'র সাথে জোটবদ্ধ হওয়ার কারণে যদিও জামাতীরা 31টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে 17টি আসন জয় লাভ করে তবুও তারা মোট ভোটের মাএ 4.29% ভোট পায়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, আগামী নির্বাচনে জামাত 50টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে জামাতীদের নির্বাচিত এলাকায় বিএনপি'র সাথে দ্বন্দ্ব বাড়ছে।
এসব এলাকায় জামাতীরা নির্বাচন করলে স্থানীয় বিএনপি নেতারা স্বাধীন প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারে যা জোট সরকারের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হবে। বর্তমানে জামাতের 16টি আসনের মধ্যে কেবল 5টি আসন নিরাপদ বলে মনে করা হয়। বাকীগুলোতে জামাত আদৌ জয় লাভ করতে পারবে কি-না এব্যাপারে যথেস্ট সংশয় আছে। গত 15 বছরে জামাতের ভোট বৃদ্ধির হার মাএ 2.87%। প্রতিবেদনটিতে স্পস্ট করে বলা হয়, জামাতীদেরকে স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপি'র পুরোপুরি সমর্থন দরকার।
না হলে তারা পরবর্তী নির্বাচনে সম্পূর্ণভাবে পর্যুদস্ত হবে।
মূল প্রতিবেদনটি পড়তে চাইলে: http://tinyurl.com/el4py
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।