নওগাঁ পোরশা উপজেলায় কৃষি জমিতে এখন আমগাছ রোপনে আগ্রহী হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। তবে আমগাছের নিচে ধানসহ বিভিন্ন জাতের ফসলও চাষ করতে পারছেন তারা। একই জমিতে একাধিক ফসল ফলে বাড়তি আয়ের সুফল ভোগ করছেন কৃষকরা। এতে কৃষকদের আয়ের উৎস অনেক বেড়ে গেছে। তবে ভবিষ্যতে আম গাছের নিচে আর অন্য কোন ফসল হবে না বলে অনেকেই মনে করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত চার বছর থেকে খরচের তুলনায় ধানের দাম তেমন না পাওয়ায় আর্থিক লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। অতিরিক্ত ব্যয় আর শ্রম দিয়ে তারা ধানের ফলন ভাল করতে পারলেও দামে পোষাতে না পারায় আম গাছ রোপনে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকরা।
উপজেলার বেশ কয়েকজন কৃষক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ঠাঁ ঠাঁ বরেন্দ্র এলাকা হিসেবে অধ্যুষিত পোরশা উপজেলায় খরা মৌসুমে সেচ ব্যস্থাপনায় গভীর ও অগভীর নলকুপ স্থাপন না হওয়ায় এবং পানির তেমন কোন সু-ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মওসুমে আকাশের পানি দিয়ে আমন চাষের পর জমিগুলি পতিত থাকে। তাই বিগত দিনগুলোতে অত্র উপজেলার কৃষকরা হতাশ হলেও গত ২০০০ সালে উপজেলা কৃষি সমপ্রসারন অধিদপ্তরের পরামর্শে এবং এলাকার কৃষকদের উদ্যোগে পতিত জমিতে নানান প্রজাতির আম গাছ লাগানো শুরু করেন। এতে তারা কাঙ্ক্ষিত আমন বা বোরো চাষের চেয়েও অধিক আয়ের মুখ দেখেন।
অনেক কৃষকের সাফল্য অর্জনের পর উপজেলার ছয় ইউনিয়নের সমতল ও উঁচুসহ সকল ধরনের আবাদি জমিতে পর্যায়ক্রমে আম গাছ রোপন শুরু করেন কৃষকরা। আম গাছগুলি রোপনের পর থেকে গাছের নিচে সমান তালে ধান চাষের ফলে অধিকের চেয়েও অধিক আয়ের সুফল ভোগ করছেন কৃষকরা।
এ বিষয়ে পোরশা উপজেলা কৃষি সমপ্রসারন কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, খাদ্য ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত নওগাঁর পোরশা উপজেলায় মোট সাড়ে ২২ হাজার হেক্টর আবাদি জমি রয়েছে। এর মধ্যে ৫শ হেক্টর আবাদি জমিতে অনেক পূর্বেই আম গাছ রোপন করা হয়েছিল। যেগুলি পুরাতন বাগান নামে পরিচিত।
অপরদিকে গত ২০০১ সালের পর থেকে এখন (২০১৩ সাল) পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আম গাছ রোপন করা হয়েছে এবং এর বাইরেও রোপন অব্যাহত রেখেছেন কৃষকরা। এতে কৃষকরা অনেক লাভবান হচ্ছেন। তাই তারা কৃষি জমিতে আম গাছ রোপন করছেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।