উসাইন বোল্টের আশঙ্কাটাই শেষপর্যন্ত সত্যি হলো। সার্জিও অ্যাগুয়েরোই হয়ে উঠলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রধান হুমকি। জোড়া গোল করে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের ডোবালেন ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারের লজ্জায়। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ঠিক এই ব্যবধানেই ম্যানচেস্টার সিটি জিতেছিল ২০০৪ সালে। আকাশী নীলদের বাকি দুইটি গোল এসেছে ইয়া তোরে ও সামির নাসরির পা থেকে।
ম্যাচের একেবারে শেষমুহূর্তে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পক্ষে সান্তনাসূচক গোলটি করেছেন ওয়েইন রুনি। নিজেদের মাঠে গতবারের শিরোপাজয়ীদের রীতিমতো বিধ্বস্তই করেছে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটি।
ইনজুরির কারণে আজ লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে মাঠে নামতে পারেননি রবিন ভন পার্সি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও বেশ ভালোমতোই টের পেয়েছে ডাচ স্ট্রাইকারের অভাবটা। প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে ভীতি ছড়ানোর মতো মুহূর্ত খুব কমই এসেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের।
বরং নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটিই ছিল বেশি ভীতিকর। ১৬ মিনিটের মাথায় ম্যাচের প্রথম গোলটি গোলটি এসেছে সার্জিও অ্যাগুয়েরোর পা থেকে। আলেক্সান্ডার কোলারোভের নিচু একটি ক্রস থেকে চমত্কারভাবে জালে বল জড়িয়েছেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। প্রথমার্ধের একেবারে শেষমুহূর্তে ব্যবধান দ্বিগুন করেছেন ইয়া তোরে। ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে হয়তো ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন ডেভিড ময়েসের শিষ্যরা।
কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই হার নিশ্চিত হয়ে যায় গতবারের শিরোপাজয়ীদের। ৪৭ মিনিটের মাথায় নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন অ্যাগুয়েরো। পরমুহূর্তেই আবারও বল জড়ায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জালে। ৪-০। এবারের গোলদাতা নাসরি।
নিশ্চিতই হয়ে যায় নিজেদের মাঠে ম্যানচেস্টার সিটির গুরুত্বপূর্ণ জয়টা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।