জন্মের ২ বছর পরে পরীক্ষা করে যে ছেলেটির সম্বন্ধে ডাক্তারদের পর্যবেক্ষণ ছিল একজন মানসিক প্রতিবন্ধী; পড়তে বা কথা বলতে পারবে না।
ছেলেটি যে দিন কথা বলা শুরু করল সেদিন থেকে ৪ টা ভাষায় কথা বলা আরম্ভ করল। সাড়ে ৩ বছর বয়সে সেই ছেলেটি অবাক করে দিয়েছিল জ্যোতিঃ পদার্থবিজ্ঞানীকে যখন তার মা তাকে নিয়ে গিয়েছিলেন একটি বিজ্ঞান যাদুঘরে। সেই বয়সে সে উত্তর দিয়েছিলেন পৃথিবীর, মঙ্গল গ্রহ বিষয়ক প্রশ্নের।
সেই ছেলেটি ১১ বছর বয়সে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে ১৪ বছর বয়সে পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
১৪ বছর বয়সে মাস্টার্সের পাঠ নিচ্ছেন পৃথিবীর সবচেয়ে কম বয়সী জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী হিসাবে।
অনুমান করা হচ্ছে জেকোব যার বর্তমান আই কিউ লেভেল ১৭০ এই শতাব্দীর সেরা বৈজ্ঞীক আইনস্টাইন এর চেয়েও বেশি মেধাবী। সংবাদ মাধ্যমে বিবিসি ইতিমধ্যেই মন্তব্য করেছে পদার্থ বিদ্যায় ভবিষ্যৎ নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী হিসাবে। বিবিসি প্রকাশ করেছেন সরাসরি ইন্টার্ভিউ। বিবিসি এর খবরের টাইটেল ছিল
"Autistic teenager tipped for Nobel Prize"
তাকে নিয়ে বিশেষ আর্টিকেল প্রকাশ করেছেন বিখ্যাত ব্লগ হাফিংটন পোষ্ট, কানাডার সি বি সি টেলিভিশন।
তাকে নিয়ে করা হাফিংটন পোষ্টের টাইটেলটি নিম্নরূপ
"Jacob Barnett, 14-Year-Old With Asperger's Syndrome, May Be Smarter Than Einstein"
বর্তমানে সে অধ্যয়ন করছেন কানাডার ওয়াটারলু শহরের বিখ্যাত পেরিমিটার তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে । পেরিমিটার বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সেরা তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট হিসাবে ধরে নেওয়া হয়।
এই তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান ইন্সটিটিউটি প্রতিষ্ঠা করেছেন ব্লাকবেরি মোবাইল কোম্পানির প্রতিষ্টাতা মাইক ল্যাজার্ডি। যিনি আমার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স পাস না করা ছাত্র। যিনি ব্লাকবেরি মোবাইল কোম্পানি প্রতিষ্ঠার জন্য চতুর্থ বর্ষ ২য় সেমিষ্টার শেষ না করেই বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।