যে কোনো মানুষের জীবনে বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাধারণত আমরা অনেক আশা নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসি। কিন্তু সবার জীবনে এই বিয়ে নামক অধ্যায়টি সুখের হাওয়া বয়ে নিয়ে আসে না। বিচ্ছেদ ঘটে যায় কিছুদিন যেতে না যেতেই। আসলে এর পেছনে যে কারণগুলো কাজ করে সেগুলো সম্পর্কে আমরা জানার আগেই ঘটে যায় জীবনের বড় একটি সম্পর্কের পরিসমাপ্তি।
১) অতীত স্মৃতি, নাম ডাক, শব্দের অপব্যবহার এবং মর্যাদাহানি প্রভৃতি বিষয়গুলো সাধারণত একটি সমস্যা হিসেবে দুই জনের সামনে আসতে পারে। এ বিষয়গুলোকে পরিহার করুন।
২) সামান্য বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি চেষ্টা করুন সাথেসাথে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে।
এবং সেদিন একটু দেরি করে বাসায় ফিরুন। এছাড়াও মাঝে মাঝে খুবই তুচ্ছ বিষয় নিয়ে দু’জনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া বেঁধে যেতে পারে, যেখানে হয়তো আপনার কিছু করার থাকে না। সেক্ষেত্রে ঝগড়া বেশিদূর আগাতে না দিয়ে যে কোনো একজন চুপ করে যান অথবা স্থান ত্যাগ করুন।
৩) একসাথে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে বেশি আলোচনা করবেন না। কেননা সেখানে নিজের যুক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করতে ঝগড়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
৪) গোপনে কোনো কাজ করার চেষ্টা করবেন না। কেননা বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে বড় ধরণের কোনো দূঘর্টনা ঘটতে পারে।
৫) পরিবারকে কখনও একার ভাববেন না। তাহলে সম্পর্কের মাঝে দেয়াল তৈরি হয়ে যাবে। পরিবারকে সবসময় স্বামী-স্ত্রী দু’জনের করে ভাবুন।
৬) যদি আপনি প্রতারক হন তাহলে দাম্পত্য জীবন বেশিদূর এগোবেনা। যেটি পারিবারিক জীবনে দুর্ভোগ ডেকে আনবে এবং এ বিষয়টি ক্ষমার অযোগ্য একটি ভুল, যেটি আপনার পারিবারিক জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটাবে।
৭) স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে সেক্সকেই প্রধানরূপে উপস্থাপন করবেন না। দু'জনের সম্মতিতে দৈহিক মিলনে প্রবৃত্ত হন। সেক্ষেত্রে মানসিক প্রশান্তির সাথে উভয়ের সম্পর্কও গভীর হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।