বহুবছর আগে (সম্ভবত ১৯৫৮-'৬০ সাল এর দিকে) একগ্রামে বাস করিতো এক জাঁদরেল টাইপের মেয়ে। সেসময় সে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া... যেনতেন কথা না... তো তার পিতা কন্যাদায়গ্রস্থ অবস্থা হইতে মুক্তি পাইবার জন্য কন্যার বিবাহের এন্তেজাম শুরু করিলেন... কিন্তু কন্যার কোন পাত্রই পছন্দ হয় না... বিশাল ধনীর পুত্র থেকে শুরু করে সাধারন যুবক সবাইকে কন্যা রিফিউজ করিলো... একে একে রিফিউজের সংখ্যা ১১তে যাইয়া ঠেকিলো... কন্যা বিবাহ না করিতে পুরোপুরি অনড় কন্যার পিতা মহা ফ্যাসাদে পড়িলেন... ১১টা পাত্র যেখানে রিফিউজ, গ্রামের মানুষজন তো আর ঘাটিয়া দেখিবে না কারন কি...!! তারা তো কুৎসা রটনা করিবে যে কন্যার বিবাহ হয় না... !!! ইতিমধ্যে কাহিনী হল যে এক যুবক (কন্যা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে সেখানকার এক ছাত্র) কন্যাকে মনে মনে খুব ভালা পাইতো...!! মানে জাঁদরেল হওয়া সত্ত্বেও কন্যাকে পছন্দ করিতো কিন্তু সাহসে কুলাইতো না সে কথা কন্যার কানে পৌছানোর... কন্যার বিবাহের এন্তেজামের কথা শুনিয়া যুবক বিচলিত হইলো... "নাহ, আর পারা যায় না...কিন্তু কিভাবে যে কি করা যায়..." ভাবিতে ভাবিতে যুবক তাহার ভাবী ও মাতার মাধ্যমে পিতার কানে পৌছাইয়া দিলেন নিজের বিবাহের বাসনার কথা... পুত্রের পিতা যাইয়া কন্যার পিতার সাথে কথা বলিয়া দিনক্ষন পাকা করিলেন... কিন্তু কন্যা এবারো অনড়... কিন্তু পুত্র এইবার সাহস করিয়া তাহার পিতা এবং হবু শ্বশুর মশায়কে বলিলেন, "আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন...বিবাহ ক্যানসেল হইবে না... বিবাহের বাকি যাবতীয় সাজ-সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা হউক" নিশ্চিন্ত থাকিতে বলিয়া যুবক বন্ধুদের নিয়া ফন্দি আঁটিতে লাগিলেন যে কিভাবে কন্যাকে বাঘিনী হইতে ম্যাঁও তে রুপান্তরিত করা যায়... এবং একটা মাষ্টার প্ল্যান দাঁড় করাইলেন... বিবাহের দিন ঘটিবে আসল কাহিনী... বিবাহের দিন যথারীতি সবাই আনন্দ উদযাপন করিতে লাগিলো, কন্যা মনে মনে অতিশয় ক্ষুদ্ধ...সে কোন ভাবে কনের সাজে সজ্জিত হইতেছে না... ইতিমধ্যে বরপক্ষ পৌছাইয়া গেছে কন্যার বাড়ির সদর দরজায়... পূর্ববর্তী প্ল্যান মোতাবেক বরের বন্ধুরা কন্যার বাড়ির গেটে্র অদূরে একখানা ছাগল বাধিয়া রাখিয়াছিল, যে বর পৌছাইলো ওমনি ছাগল প্রহারিত হইলো এবং ম্যা ম্যা স্বরে ম্যাতকার করিয়া উঠিলো...!! বর কপট রাগের বিশাল অঙ্গভংগি করিয়া উহার বন্ধুদের রাগত স্বরে হুংকার ছাড়িয়া কহিলো, "এটা কি হইল!!! শুভক্ষনে শুভকাজে আসিয়াছি আর এখানে ছাগল ডাকিতেছে...। এটাকে আর জীবিত রাখিবো না... যেখান থেকে পারিস রাম'দা নিয়ে আয়...!! এটাকে এখনি জবাই করিবো...!!!" বরের এমন ভয়ংকর রুদ্রমূর্তি রুপ দেখিয়া কন্যা একেবারে বিলাই সাজিয়া গেল... কন্যার রাগ, জাঁদরেলি আচরন মূহূর্তে গলিয়া পানি হইয়া গেল... বুঝিতে পারিলো ইহা যেমন তেমন পোলা নহে... একবারে আগুনের গোলার হাতে পড়িতে যাইতেছে সে... অতঃপর শুভ বিবাহ সম্পন্ন হইলো... বর মুচকি হাসিয়া কন্যাকে লইয়া নতুন জীবনে প্রবেশ করিলো... {স্যার, জীবনের আর যেকটা দিন আছে, আপনারা যেন আগের মতই সুখী চিরতরুন এক দম্পতি হউন এই শুভকামনায় }
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।