বিশ্বটাকে সুন্দর করে সাজানোর জন্যই এত কথা বলি.. । বলা হয়ে থাকে-
একজন উকিল বিয়ের আগে মামলা পেলে বিয়ের পর শেষ করে
আর বিয়ের পর মামলা পেলে ছেলে উর্পাজনক্ষম হওয়া পযর্ন্ত মামলা চালান!
এই ধরনের উকিলদের কারণে অনেক সম্মানের আইন পেশাকে আজ প্রতারণা বলে ও অসম্মান করা হয়।
কিন্তু প্রকৃত পক্ষে অনেক আগে থেকে আইনজীবীদের সম্মান সমাজের সবার উপরে ছিল। পরিবারে একজন আইন জীবী থাকলে সেই পরিবারের সম্মান বেড়ে যেত।
আইন পেশা একটি সম্মান ও ঐতিহ্যের পেশা হিসেবে যুগ যুগ ধরে স্বীকৃত।
আইনপেশাজীবীদের 'কৌশলী' হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়। সমাজের নানাবিধ অসংগতি ও বৈষম্য দূর করতে আইন পেশাজীবীদের রয়েছে অগ্রগামী ভূমিকা। আইনজীবী হচ্ছেন স্বাধীন পেশার মানুষ।
তবে এটাও বলা হয়ে থাকে, যার নাই কোন গতি সে করে উকালতি।
আইন পড়ার কোন বয়স সীমা নেই।
যার করণে যে কেও চাইলে পড়তে পারেন আইন বিষয়ে। তবে সরকারের উচিত একটি নিদ্রিষ্ট বয়সসীমা নির্ধারণ করে দেয়া। আর না হলে সেটাই প্রমাণীত হয় যে, যার নাই গতি সেই করবে উকালতি। এবং এই সব বুড়ো ছাত্র(উকিল) দের কারণে এই পেশার সম্মান হানী ঘটছে। তারা অনেক কিছু জানেনা বা কাজে পারদর্শী না, কিন্তু মানুষ ভুল করে তাদের অনেক সিনিয়র ভেবে তাদের কাছে মামলা নিয়ে যায়।
আর ধরা খাচ্ছে।
একজন আইনজীবী চাইলেই একটি মামলা অনেক কম সময়ে শেষ করে দিতে পারেন। কিন্তু লোভ ও দুর্নীতির সুযোগ থাকায় অনেক আইনজীবী এটি কাজে লাগান। দিনের পর দিন মক্কেল কে দৌড়ের উপর রাখেন। কারণ মক্কেল জানেনা কিভাবে কি করতে হবে।
মক্কেল না জানাটাই আইনজীবীর জন্য সহজ হয়ে যায় তাকে ঠকাতে। গুটি কয়েকজন আইনজীবী এই সব কাজ করে থাকেন কিন্তু দোষ হয় পুরু আইনজীবী সমাজের। যা অনেক কষ্ট কর।
নতুন অনেকেই আজকাল আইন পেশায় আসতে চাইছে না শুধু মাত্র এই সব কারনে। সিনিয়র রা অনেক বেশি খারাপ ব্যবহার করে তাকেন নতুন শিক্ষানবীশদের সাথে, যা তাদের মনে অনেক বড় আঘাত ফেলে।
আইনপেশা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে থাকে। এর প্রধান লক্ষ্য হল বিচারকার্যে সাহায্য করা এবং নানাবিধ সমস্যা ও বিতর্কে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করা। আইনজীবীরা বিচারকার্য পরিচালনা এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠায় বিচারককে সাহায্য করেন। একজন সৎ ও বিবেকসম্পন্ন এবং সত্য প্রতিষ্ঠায় শংকিত নন এমন আইনজীবীর সাহায্য পাওয়া একজন সাধারনের মৌলিক অধিকার। আত্মরক্ষা করা যে কোন অভিযুক্ত ব্যক্তির মৌলিক অধিকার।
অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজে কিংবা অন্য কাউকে তার আত্মরক্ষার কাজে নিযুক্ত করতে পারেন।
বিশ্বে যত বিখ্যাত রাষ্ট্রপ্রধান বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রয়েছেন তাদের বেশির ভাগ আইনের ছাত্র। একমাত্র আইনের ছাত্ররা জানে কিভাবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে চলতে হয়।
আমাদের দেশের বাঘ-শেরে বাংলা একে ফজলুল হক ছিলেন আইনজীবী। যুক্তির মাধ্যমে লড়াই করতেন বৃটিশদের সাথে।
যুক্তি,তর্কের মাধ্যমে নিজের সৃজনশীলতা ফুটিয়ে তোলা যায় আইন জানার মাধ্যমে।
সব শেষে বলল,
আইন পেশাকে যারা কলুষিত করছেন তারা চিন্হিত, কয়েকজনের কারনে গোটা একটি সমাজ কলুষিত হতে পারে না। আজ বা কাল আপনাদের আসন ছাড়তে হবে নতুন দের কাছে আত্বসমর্পন করে। মানুষের কাছে এই পেশাকে প্রতারণার সামিল করে তুলছেন আপনারা। সম্মান ফিরিয়ে আনা হবে নতুন দের প্রবেশের মাধ্যমে।
শুধু সময় প্রয়োজন আমাদের।
Where there is none to say, there is a Lawyer n
Wherer there is nothing to say, there is the Law.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।