সিলেটের মদনমোহন কলেজের ৭০ লাখ টাকা মেরে দেওয়া ‘বদমাশ’ ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে না কলেজ কর্তৃপক্ষ। উল্টো সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে বকেয়া বেতন ও ফি চেয়ে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাঁরা তো কলেজের অফিসেই বেতন-ফি জমা দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে ছাত্রনেতারা উপস্থিত থেকে জোর করে তাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিয়েছেন। ছাত্রনেতারা বলেছিলেন, তাঁরা এই টাকা অফিসে জমা দিয়ে দেবেন।
একজন অভিভাবক বলেন, অফিস কক্ষের ভেতরে বা বাইরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কলেজ কর্তৃপক্ষের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। অথচ সেখানে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের অছাত্রনেতারা বিকল্প প্রশাসন গড়ে তুলেছেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ এঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে এখন বকেয়া বেতন-ফি না দিলে শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব বাতিলের কথা বলছে। অন্য অভিভাবকেরাও কলেজ কর্তৃপক্ষের এ আচরণে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
গত মঙ্গলবার সিলেটে এক সভায় মদনমোহন কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ছাত্রনেতারা শিক্ষার্থীদের প্রায় ৭০ লাখ টাকা মেরে দিয়েছেন।
তিনি এসব ছাত্রনেতাকে ‘বদমাশ’ বলে অভিহিত করেন।
কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, ভুক্তভোগী কোনো শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ না করায় ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেবে না।
টাকা মেরে দেওয়ার ঘটনার মূল অভিযুক্ত ছাত্রলীগের সভাপতি অরুণ দেবনাথ ও ছাত্রদলের সভাপতি কাজী মেরাজকে গতকাল কলেজে দেখা যায়নি।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, যেসব শিক্ষার্থীর কাছে বকেয়া পাওনা রয়েছে, তাঁদের আগামী ২৪ অক্টোবরের মধ্যে তা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নইলে তাঁদের ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে।
অধ্যক্ষ আবুল ফতেহ ফাত্তাহ ছাত্রত্ব বাতিলের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীরা ছাত্রনেতাদের দ্বারস্থ হয়ে ফরম পূরণ-প্রক্রিয়ায় জড়িত হওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। সাধারণ শিক্ষার্থীরা সরাসরি কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা জমা দিয়ে ফরম পূরণ করতে পারত। অভিযুক্ত ছাত্রনেতাদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বলেন, ‘যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা আমার কলেজের শিক্ষার্থীই না। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব কীভাবে?’
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।