বিচ্ছিন্নতাও একটা ভাবাবেগ যা আমাকে প্রায়ই ভাবিত করে-জব্দ করে অহর্নিশ। !!
গত কয়েকদিন ধরে কী হয়েছে বুঝে উঠছে না...। । হঠাৎ করে সাহিত্যপ্রীতি উথলে উঠেছে। এই বই খুজি,ঐ বই খুজি।
একটার দুই পাতা পড়ি তো আরেকটার কয়েকপাতা পড়ে ছেড়ে দেই। মনে বুঝিতেছি __ বিরাগভাজন আত্মা সহজে পরিশুদ্ধ হয় না। কোন বইয়ে স্থিতি নিতে না পেরে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিলাম অরুন্ধতী রায়ের “The God of small things” বইটা পড়বোই পড়বো। । কিন্তু ঠিক রিদম আসলো না।
লাইনগুলো বারবার জড়িয়ে যাচ্ছে। চরিত্রগুলোর ইন্টার্যা্কশন ঠাহর করতে গোলমেলে ঠেকছে। বই পড়ার অনভ্যাসের মাত্রা কী পরিমাণ গুরুতর আকার ধারন করেছে তা খুব ভাল করে অনুধাবন করছি। একে তো আমার পাঠক সত্তার বেহাল দশা তার উপর কঠিন-কঠিন আর উদ্ভট বাচনভঙ্গি। লেখককে সমালোচনা করার সাহস পাচ্ছি না কিংবা করতেও চাচ্ছি না।
হাজার হোক বুকার পুরষ্কার পাওয়া লেখক। কোন দোষ যদি থেকে থাকে তা পুরোটাই “বুকার পুরস্কারের”। লেখকের কাজ তো লেখাই তা যেমনই হোক যে মাত্রারই হোক না কেন। কোন ধরনের সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে অযাচিত-বিরুপ মন্তব্য করা আমার এখতিয়ারের বাইরে, যদিও সমালোচনা করতে কোন যোগ্যতা থাকতে হয় না। কিন্তু আমি সমালোচনার দিকে যাচ্ছি না।
আমার অনুভূতি থাকতে পারে এবং তা পজিটিভ নেগেটিভ দুইই হতে পারে।
আসলে আমি বইটার বাংলা অনুবাদ পড়ছি...। । মূল বইটা পড়লে এমন ফিলিংস হবে কিনা জানি না। ভাবছিলাম অনুবাদ শেষ করার পর মূল বই পড়ব।
কিন্তু অনুবাদ পড়তেই আমার যে গলদ্ঘর্ম অবস্থা তাতে ইংলিশ ভার্সন পড়াটা অসম্ভব কল্পনা হয়ে দাড়িয়েছে। যা শুরু করেছি তাই শেষ করা নিয়ে আমি যথেষ্ট সন্দিহান।
আজ সারাদিনে শুধুমাত্র “প্যারাডাইস পিকলস এন্ড প্রিজার্ভস” ___ প্রথম অনুচ্ছেদটা পড়লাম। এটুকুতেই যতগুলো চরিত্র পেয়েছি তাদের সবার পারষ্পরিক সম্পর্ক বোধকরি আমার পক্ষে বলা সম্ভব হবে না। যত কষ্টই হোক না কেন ইহাতেই যেন আমার বই পড়ার দ্বিতীয় প্রজন্মের শুরু হয়।
পুনশ্চঃ আনাড়ি শব্দচয়ন এবং অদক্ষ পরিপাটি। ভুলত্রুটি মার্জনীয়। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।